শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরচেঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৬ জন।

নিহত জোবায়ের হোসেন সোনাদিয়া ৫নং ওয়ার্ডের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি ও ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন। আহতদের মধ্যে মো. ইরাক হোসেন ও মেহেদী জীবনের নাম জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, সকালে চরচেঙ্গা বাজারে জেলেদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান নুর ইসলাম মালেশিয়া। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তোলে স্থানীয়রা। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের লোকজনের সঙ্গে জোবায়েরসহ কয়েকজনের বাগবিতণ্ডা হয়।

এর জের ধরে নুর ইসলাম মালেশিয়ার লোকজন বাজারে অতর্কিত হামলা চালিয়ে জোবায়ের হোসেন, মেহেদী জীবন ও ইরাক হোসেনসহ বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলে জোবায়ের নিহত হন। পরে হামলাকারীরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।

আসন্ন নির্বাচনে সোনাদিয়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেহেদী হাসান অভিযোগ করে বলেন, সকালে চেয়ারম্যানের লোকজন বাজারে ত্রাণ বিতরণ করছিলেন। এ সময় আমার সমর্থক জোবায়ের ও ইরাক দোকানে বসা ছিল। কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়াই মালেশিয়ার লোকজন দোকানে প্রবেশ করে আমার কর্মীদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান জোবায়ের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইরাককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে বর্তমান চেয়ারম্যান নুর ইসলাম মালেশিয়ার মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীদের হামলায় মেম্বার প্রার্থী জোবায়ের নিহত হয়েছেন। ঘটনায় একটি মামলা করা হবে। অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।