কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বিশেষ নজর সরকারের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
  • / 298
সরকার কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনের বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন থেকে এসে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে আইসিটি ডিভাইস রফতানি। সেই সঙ্গে কৃষিপণ্য, খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত করা। এভাবে একটার পর একটা করলে বাংলাদেশে আর কোনও আর্থিক সমস্যা থাকবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশেষ করে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির দিকে নজর দিচ্ছি। তার জন্য প্রথমেই দরকার ফসল ক্ষেত থেকে তোলার পর তা সংরক্ষণ করা এবং কার্গোতে তুলে দেয়া। তার জন্য কার্গো ভিলেজ করতে হবে।

কার্গো ভিলেজের বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে বিভিন্ন চেম্বার থাকবে। কোন ফসল-কোন তরকারিটা হবে, কোনটা কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভালো থাকে—এগুলোর কিন্তু আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফল আছে।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজে নেদারল্যান্ডসে দেখেছি, আমাদের দেশেও এটা করবো। ক্ষেত থেকে কার্গোতে নিয়ে আসার জন্য সেই ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এখন আমরা কার্গো ভাড়া করে বিদেশে পাঠাই, কিন্তু আমাদের নিজস্ব কয়েকটা কার্গো দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টমেটোর জন্য আলাদা চেম্বার করতে হবে। অন্যান্য সবজির জন্য আলাদা চেম্বার করতে হবে। আমাদের যে অঞ্চলে যে ফসল ভালো হবে, ওই ফসলের প্রক্রিয়াজাত করে যদি আমরা রফতানি করতে পারি, তাহলে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো। আমি মনে করি, কৃষিপণ্য রফতানি করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো।

চলতি বছর আমের মৌসুমে ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও রপ্তানির বিষয়টি মাথায় রেখে আম পাঠানো হয় বলেও জানান শেখ হাসিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কৃষিপণ্য রপ্তানিতে বিশেষ নজর সরকারের

আপডেট : ০২:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
সরকার কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য কৃষিপণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনের বিষয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশন থেকে এসে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে আইসিটি ডিভাইস রফতানি। সেই সঙ্গে কৃষিপণ্য, খাদ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত করা। এভাবে একটার পর একটা করলে বাংলাদেশে আর কোনও আর্থিক সমস্যা থাকবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশেষ করে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির দিকে নজর দিচ্ছি। তার জন্য প্রথমেই দরকার ফসল ক্ষেত থেকে তোলার পর তা সংরক্ষণ করা এবং কার্গোতে তুলে দেয়া। তার জন্য কার্গো ভিলেজ করতে হবে।

কার্গো ভিলেজের বিষয়ে তিনি বলেন, যেখানে বিভিন্ন চেম্বার থাকবে। কোন ফসল-কোন তরকারিটা হবে, কোনটা কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় ভালো থাকে—এগুলোর কিন্তু আন্তর্জাতিক গবেষণার ফলাফল আছে।

তিনি আরও বলেন, আমি নিজে নেদারল্যান্ডসে দেখেছি, আমাদের দেশেও এটা করবো। ক্ষেত থেকে কার্গোতে নিয়ে আসার জন্য সেই ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এখন আমরা কার্গো ভাড়া করে বিদেশে পাঠাই, কিন্তু আমাদের নিজস্ব কয়েকটা কার্গো দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টমেটোর জন্য আলাদা চেম্বার করতে হবে। অন্যান্য সবজির জন্য আলাদা চেম্বার করতে হবে। আমাদের যে অঞ্চলে যে ফসল ভালো হবে, ওই ফসলের প্রক্রিয়াজাত করে যদি আমরা রফতানি করতে পারি, তাহলে আরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো। আমি মনে করি, কৃষিপণ্য রফতানি করে আমরা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো।

চলতি বছর আমের মৌসুমে ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার ও রপ্তানির বিষয়টি মাথায় রেখে আম পাঠানো হয় বলেও জানান শেখ হাসিনা।