হাফ ভাড়া দেয়ায় কলেজছাত্রীকে ‘ধর্ষণের হুমকি’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৫৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১
  • / 161

হাফ ভাড়া দেওয়ায় রাজধানীর সরকারি বদরুন্নেসা কলেজের এক ছাত্রীকে বাসের চালক ও হেলপার ধর্ষণের হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রবিবার (২১ নভেম্বর) ক্লাস বয়কট ও সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন।

অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বাসা শনিরআখড়ায়। সকাল ৮টার দিকে ক্যাম্পাসে রওনা হই ‘ঠিকানা’ পরিবহনের একটি বাসে। যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার পার হওয়ার পর হেলপার (২৫) আমার কাছে ভাড়া চাইলে ২০ টাকার নোট দিই। বাকি ১০ টাকা ফেরত চাইলে আমাকে ৫ টাকা ফেরত দেয়। স্টুডেন্ট বলায় তিনি আরও ক্ষেপে যান। একপর্যায়ে গালাগাল শুরু করে।’
তিনি আরও জানান, বাকি টাকা ফেরত চাইলে গাড়ির গতি কমিয়ে আমাকে নেমে যেতে বলেন চালক, হেলপার ও তার এক সহযোগী। প্রতিবাদ করলে বলে, ‘দিমু না কি করবি কর’ এরপর আমি উচ্চ গলায় (চিল্লানোর) পর সে বলে ‘গলা বড় করবি না ৫ টাকা নে নাহয় নাইমা যা’।

এ সময় বাসের আরও কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গেও একই ব্যবহার করেন ওই বাসটির হেলপার। অনেক যাত্রী প্রতিবাদ করলেও পরে গালাগালির ভয়ে তারা থেমে যান।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি একাধিকবার টাকা চেয়েছি। ফেরত দেয়নি। কিছু সময় পর কলেজের কিছুটা দূরে আমাকে নামতে বাধ্য করেন। এরপর নামার সময় ৫ টাকা ফেরত দিয়ে ধর্ষণসহ শারীরিক হেনস্থার হুমকি দিয়ে ভাষায় অপ্রকাশযোগ্য মন্তব্য করেন।

বাসটি চলমান থাকায় তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি এবং ওই বাসের নম্বরও নোট করার সুযোগ পাননি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের (গ্রুপে) নিন্দার ঝড় বইছে। আগামীকাল বকশি বাজার মোড় অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া দাবি না মানলে রাস্তা অবরোধ করে কোনো বাস আগামীকাল যেতে দেওয়া হবে না বলেও জানায় তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী বাসে চলাচল করলেও তাদের থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো বাসচালক ও হেলপাররা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাফ ভাড়া দেয়ায় কলেজছাত্রীকে ‘ধর্ষণের হুমকি’

আপডেট : ১১:৫৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ নভেম্বর ২০২১

হাফ ভাড়া দেওয়ায় রাজধানীর সরকারি বদরুন্নেসা কলেজের এক ছাত্রীকে বাসের চালক ও হেলপার ধর্ষণের হুমকি দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা রবিবার (২১ নভেম্বর) ক্লাস বয়কট ও সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন।

অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমার বাসা শনিরআখড়ায়। সকাল ৮টার দিকে ক্যাম্পাসে রওনা হই ‘ঠিকানা’ পরিবহনের একটি বাসে। যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার পার হওয়ার পর হেলপার (২৫) আমার কাছে ভাড়া চাইলে ২০ টাকার নোট দিই। বাকি ১০ টাকা ফেরত চাইলে আমাকে ৫ টাকা ফেরত দেয়। স্টুডেন্ট বলায় তিনি আরও ক্ষেপে যান। একপর্যায়ে গালাগাল শুরু করে।’
তিনি আরও জানান, বাকি টাকা ফেরত চাইলে গাড়ির গতি কমিয়ে আমাকে নেমে যেতে বলেন চালক, হেলপার ও তার এক সহযোগী। প্রতিবাদ করলে বলে, ‘দিমু না কি করবি কর’ এরপর আমি উচ্চ গলায় (চিল্লানোর) পর সে বলে ‘গলা বড় করবি না ৫ টাকা নে নাহয় নাইমা যা’।

এ সময় বাসের আরও কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গেও একই ব্যবহার করেন ওই বাসটির হেলপার। অনেক যাত্রী প্রতিবাদ করলেও পরে গালাগালির ভয়ে তারা থেমে যান।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি একাধিকবার টাকা চেয়েছি। ফেরত দেয়নি। কিছু সময় পর কলেজের কিছুটা দূরে আমাকে নামতে বাধ্য করেন। এরপর নামার সময় ৫ টাকা ফেরত দিয়ে ধর্ষণসহ শারীরিক হেনস্থার হুমকি দিয়ে ভাষায় অপ্রকাশযোগ্য মন্তব্য করেন।

বাসটি চলমান থাকায় তিনি প্রতিবাদ করতে পারেননি এবং ওই বাসের নম্বরও নোট করার সুযোগ পাননি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের (গ্রুপে) নিন্দার ঝড় বইছে। আগামীকাল বকশি বাজার মোড় অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া দাবি না মানলে রাস্তা অবরোধ করে কোনো বাস আগামীকাল যেতে দেওয়া হবে না বলেও জানায় তারা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রতিদিন অনেক শিক্ষার্থী বাসে চলাচল করলেও তাদের থেকে হাফ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো বাসচালক ও হেলপাররা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।