‘পারদ যুক্তপণ্য বন্ধ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • / 171

পারদযুক্ত পণ্য পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার জন্য মিনামাতা কনভেনশন অবিলম্বে অনুমোদন করা প্রয়োজন। সোমবার (২২ নভেম্বর ) ডাবলিউভিএ মিলনায়তনে এনভায়রনমেন্ট অ্যাণ্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন – এসডো কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীরা এই আহ্বান জানান।বাংলাদেশ প্রেক্ষিতে পারদযুক্ত পণ্যের বর্তমান অবস্থা, এগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার কার্যকারিতা, বাজারে পারদযুক্ত পণ্যের বিকল্পের উপস্থিতি এবং মিনামাতা কনভেনশন অনুমোদনের গুরুত্ব তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিসেস কেয়া খান।
তিনি বলেন ‘পারদের ক্ষতিকারক স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত প্রভাবের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ থেকে পারদ যুক্তপণ্য পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

মিনামাতা কনভেনশন অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে, বেশিরভাগ বক্তা বলেন, অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশে পারদযুক্ত পণ্যের ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে কাজ করতে পারে। এই কনভেনশনের অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হওয়ার যে ব্যবস্থা হগ্রহণের প্রয়োজন তা অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন এসডো এর চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক সচিব সৈয়দ মার্ঘুব মোর্শেদ। অধ্যাপক ড. আবু জাফর মাহমুদ, সাবেক চেয়ারম্যান, রসায়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক ড. আবুল হাসেম, সাবেক চেয়ারম্যান, রসায়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; এস এম আবু সৈয়দ, সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআই; ইসমত জেরিন খান, হেড অফ লিগ্যাল, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড; ড. তানভীর আহমেদ, অধ্যাপক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বুয়েট, ড. মাহফুজার রহমান, কান্ট্রি ডিরেকটর, পিওর আর্থ বাংলাদেশ, মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; মো. সাইদুর রহমান খান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়; ড. শাহরিয়ার হোসেন, মহাসচিব, এসডো; সিদ্দীকা সুলতানা, নির্বাহী পরিচালক, এসডো এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা এবং এনজিও এর কর্মকর্তাগণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসডো এর চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক সচিব সৈয়দ মার্ঘুব মোর্শেদ এর মতে, এসডো এই বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করছে। বিশেষ করে রেটিফিকেশনের ক্ষেত্রে। এসডো আশাবাদী যে সরকার দ্রুতই রেটিফিকেশনের সিদ্ধান্ত নিবে।

বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ এর মতে মিনামাতা কনভেনশন বাংলাদেশে পারদযুক্ত পণ্যের ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ অবিলম্বে মিনামাতা কনভেনশন অনুসমর্থনের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার।

এসডো এর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে ‘ WHO-এর মতে, মানবদেহে পারদের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। পারদযুক্ত পণ্যের বিকল্প বাজারে বিদ্যমান এবং ভোক্তারা এখন পারদমুক্ত পণ্যের দক্ষতা এবং শক্তি সঞ্চয় মানের জন্য পছন্দ করছে। আমরা সরকারের কাছে পণ্যে পারদের বিষাক্ততা দূর করার আহ্বান জানাই।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘পারদ যুক্তপণ্য বন্ধ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে’

আপডেট : ১২:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২২ নভেম্বর ২০২১

পারদযুক্ত পণ্য পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার জন্য মিনামাতা কনভেনশন অবিলম্বে অনুমোদন করা প্রয়োজন। সোমবার (২২ নভেম্বর ) ডাবলিউভিএ মিলনায়তনে এনভায়রনমেন্ট অ্যাণ্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন – এসডো কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশবাদীরা এই আহ্বান জানান।বাংলাদেশ প্রেক্ষিতে পারদযুক্ত পণ্যের বর্তমান অবস্থা, এগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার কার্যকারিতা, বাজারে পারদযুক্ত পণ্যের বিকল্পের উপস্থিতি এবং মিনামাতা কনভেনশন অনুমোদনের গুরুত্ব তুলে ধরে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিসেস কেয়া খান।
তিনি বলেন ‘পারদের ক্ষতিকারক স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত প্রভাবের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ থেকে পারদ যুক্তপণ্য পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।’

মিনামাতা কনভেনশন অনুমোদনের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে, বেশিরভাগ বক্তা বলেন, অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশে পারদযুক্ত পণ্যের ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে কাজ করতে পারে। এই কনভেনশনের অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দিকে অগ্রসর হওয়ার যে ব্যবস্থা হগ্রহণের প্রয়োজন তা অনুষ্ঠানে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন এসডো এর চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক সচিব সৈয়দ মার্ঘুব মোর্শেদ। অধ্যাপক ড. আবু জাফর মাহমুদ, সাবেক চেয়ারম্যান, রসায়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; অধ্যাপক ড. আবুল হাসেম, সাবেক চেয়ারম্যান, রসায়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়; এস এম আবু সৈয়দ, সহকারী পরিচালক, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআই; ইসমত জেরিন খান, হেড অফ লিগ্যাল, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড; ড. তানভীর আহমেদ, অধ্যাপক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বুয়েট, ড. মাহফুজার রহমান, কান্ট্রি ডিরেকটর, পিওর আর্থ বাংলাদেশ, মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; মো. সাইদুর রহমান খান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়; ড. শাহরিয়ার হোসেন, মহাসচিব, এসডো; সিদ্দীকা সুলতানা, নির্বাহী পরিচালক, এসডো এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা এবং এনজিও এর কর্মকর্তাগণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসডো এর চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক সচিব সৈয়দ মার্ঘুব মোর্শেদ এর মতে, এসডো এই বিষয়টি নিয়ে অনেকদিন ধরে কাজ করছে। বিশেষ করে রেটিফিকেশনের ক্ষেত্রে। এসডো আশাবাদী যে সরকার দ্রুতই রেটিফিকেশনের সিদ্ধান্ত নিবে।

বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ এর মতে মিনামাতা কনভেনশন বাংলাদেশে পারদযুক্ত পণ্যের ব্যবহার পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশ সরকারের উচিৎ অবিলম্বে মিনামাতা কনভেনশন অনুসমর্থনের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার।

এসডো এর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন যে ‘ WHO-এর মতে, মানবদেহে পারদের কোনো নিরাপদ মাত্রা নেই। পারদযুক্ত পণ্যের বিকল্প বাজারে বিদ্যমান এবং ভোক্তারা এখন পারদমুক্ত পণ্যের দক্ষতা এবং শক্তি সঞ্চয় মানের জন্য পছন্দ করছে। আমরা সরকারের কাছে পণ্যে পারদের বিষাক্ততা দূর করার আহ্বান জানাই।’