ঢাকা ১১:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হোয়াইটওয়াশে তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
  • / 103
শেষ ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় নার্ভ ধরে রাখতে পারেনি। শেষ টি-টোয়েন্টি পাকিস্তান জিতে নিয়েছে ৫ উইকেটে। তাতে দেশের মাটিতে এই প্রথম ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার তিক্ত স্বাদ পেল মাহমুদউল্লাহর দল।

সব নাটক জমা ছিলো শেষ ওভারে। শেষ ৬ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিলো ৮ রান। বোলিংয়ে এসেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেই। পরপর দুই বলে সরফরাজ ও হায়দারকে ক্যাচ বানালেন মাহমুদউল্লাহ। ৩ বলে পাকিস্তানের দরকার ৮ রান। এবার ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে ক্যাচ দিলেন ইফতেখারও। শেষ বোলে পাকিস্তানের দরকার ২ রান। শেষ বলের রোমাঞ্চে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করল নাওয়াজ।

তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি জিততে সতর্ক শুরু করেছিলো পাকিস্তান। অবশ্য মিরপুরের স্লো পিচে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। ১২৫ রানের লক্ষ্যে দুই ওপেনার ৩২ রান যোগ করেছিলেন। সপ্তম ওভারে মেরে খেলতে গিয়ে তালুবন্দী হয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। রিজওয়ানের বিদায়ে ভেঙেছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তার পরেও জয়ের পথেই আছে পাকিস্তান। তাদের সংগ্রহ ১৭ ওভারে ২ উইকেটে ১০৬ রান। ক্রিজে আছেন সরফরাজ আহমেদ (২) ও হায়দার আলী (৩৯)।

লক্ষ্যে খেলতে নামা পাকিস্তান এতই সতর্ক ছিল যে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের চেয়েও কম রান তুলতে পেরেছে- ২৮ রান। পাওয়ার প্লের ওভারে তাসকিন আহমেদ অবশ্য চোট নিয়ে বাইরে বের হয়ে গেছেন। তার ওভার পূরণ করেন অভিষিক্ত শহীদুল। পরের ওভারে আমিনুল ইসলামের লেগ স্পিনেই বিপদ ডেকে আনেন বাবর। ক্যাচ তুলে দেন নাঈমের হাতে। ২৫ বলে বাবর করেন ১৯ রান। তাতে ছিলো ২টি চার।

এরপর পাকিস্তানের ইনিংস সামলেছেন রিজওয়ান-হায়দার আলী। ৫১ রানের জুটি গড়লেও সেটি ছিল ধীর গতির। রানের চাপ বেড়ে যাওয়ার মুহূর্তেই জুটি ভেঙে চাপ সৃষ্টির মুহূর্ত এনে দিয়েছিলেন অভিষিক্ত শহীদুল। তার বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন রিজওয়ান। ফেরার আগে ৪৩ বলে ৪০ রান করেন তিনি। অথচ এই চাপ সৃষ্টির ওভারেই দুটি ছয় মেরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে সক্ষম হয় সফরকারীরা।

দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের সামনে এখন বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করেছে স্বাগতিকরা।

শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামলে পাওয়ার প্লের সুযোগ কাজে না লাগিয়ে শ্লথ গতিতে খেলতে দেখা গেছে তাদের। নাঈম একপ্রান্ত আগলে খেলেছেন কিন্তু পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ ছিলেন। মাঝে শামীম-আফিফ পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তবে নাঈমের ব্যাট থেকেই এসেছে সর্বোচ্চ ৪৭ রান। খেলেছেন ৫০টি বল। শামীম ২৩ বলে ২২ ও আফিফ ২১ বলে ২০ রান করেছেন।

পাকিস্তানের হয়ে ১৫ রানে দুটি উইকেট নেন পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম। ৩৫ রানে দুটি নেন লেগ স্পিনার কাদিরও। একটি করে উইকেট নেন শাহনেওয়াজ দাহানি ও হারিস রউফ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হোয়াইটওয়াশে তিক্ত স্বাদ পেল বাংলাদেশ

আপডেট : ০১:৫১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ২২ নভেম্বর ২০২১
শেষ ম্যাচে উত্তেজনা ছড়িয়ে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় নার্ভ ধরে রাখতে পারেনি। শেষ টি-টোয়েন্টি পাকিস্তান জিতে নিয়েছে ৫ উইকেটে। তাতে দেশের মাটিতে এই প্রথম ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টিতে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার তিক্ত স্বাদ পেল মাহমুদউল্লাহর দল।

সব নাটক জমা ছিলো শেষ ওভারে। শেষ ৬ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিলো ৮ রান। বোলিংয়ে এসেছেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিজেই। পরপর দুই বলে সরফরাজ ও হায়দারকে ক্যাচ বানালেন মাহমুদউল্লাহ। ৩ বলে পাকিস্তানের দরকার ৮ রান। এবার ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে ক্যাচ দিলেন ইফতেখারও। শেষ বোলে পাকিস্তানের দরকার ২ রান। শেষ বলের রোমাঞ্চে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করল নাওয়াজ।

তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি জিততে সতর্ক শুরু করেছিলো পাকিস্তান। অবশ্য মিরপুরের স্লো পিচে এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। ১২৫ রানের লক্ষ্যে দুই ওপেনার ৩২ রান যোগ করেছিলেন। সপ্তম ওভারে মেরে খেলতে গিয়ে তালুবন্দী হয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। রিজওয়ানের বিদায়ে ভেঙেছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তার পরেও জয়ের পথেই আছে পাকিস্তান। তাদের সংগ্রহ ১৭ ওভারে ২ উইকেটে ১০৬ রান। ক্রিজে আছেন সরফরাজ আহমেদ (২) ও হায়দার আলী (৩৯)।

লক্ষ্যে খেলতে নামা পাকিস্তান এতই সতর্ক ছিল যে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের চেয়েও কম রান তুলতে পেরেছে- ২৮ রান। পাওয়ার প্লের ওভারে তাসকিন আহমেদ অবশ্য চোট নিয়ে বাইরে বের হয়ে গেছেন। তার ওভার পূরণ করেন অভিষিক্ত শহীদুল। পরের ওভারে আমিনুল ইসলামের লেগ স্পিনেই বিপদ ডেকে আনেন বাবর। ক্যাচ তুলে দেন নাঈমের হাতে। ২৫ বলে বাবর করেন ১৯ রান। তাতে ছিলো ২টি চার।

এরপর পাকিস্তানের ইনিংস সামলেছেন রিজওয়ান-হায়দার আলী। ৫১ রানের জুটি গড়লেও সেটি ছিল ধীর গতির। রানের চাপ বেড়ে যাওয়ার মুহূর্তেই জুটি ভেঙে চাপ সৃষ্টির মুহূর্ত এনে দিয়েছিলেন অভিষিক্ত শহীদুল। তার বলে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন রিজওয়ান। ফেরার আগে ৪৩ বলে ৪০ রান করেন তিনি। অথচ এই চাপ সৃষ্টির ওভারেই দুটি ছয় মেরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে সক্ষম হয় সফরকারীরা।

দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশের সামনে এখন বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করেছে স্বাগতিকরা।

শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামলে পাওয়ার প্লের সুযোগ কাজে না লাগিয়ে শ্লথ গতিতে খেলতে দেখা গেছে তাদের। নাঈম একপ্রান্ত আগলে খেলেছেন কিন্তু পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ ছিলেন। মাঝে শামীম-আফিফ পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তবে নাঈমের ব্যাট থেকেই এসেছে সর্বোচ্চ ৪৭ রান। খেলেছেন ৫০টি বল। শামীম ২৩ বলে ২২ ও আফিফ ২১ বলে ২০ রান করেছেন।

পাকিস্তানের হয়ে ১৫ রানে দুটি উইকেট নেন পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম। ৩৫ রানে দুটি নেন লেগ স্পিনার কাদিরও। একটি করে উইকেট নেন শাহনেওয়াজ দাহানি ও হারিস রউফ।