রাজধানীতে আবারও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / 161
রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনগুলোতে আবারও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসে ভাড়ার তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক হলেও বেশির ভাগই রাখছেন না। ভাড়া নির্ধারণের দুই মাসের মধ্যেই একই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাম করছে যাত্রীরা।

এর আগে গত নভেম্বরের শুরুর দিকে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সব ধরনের জ্বালানিচালিত বাসে বাড়তি ভাড়া নেয়া শুরু হয়। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বাড়তে শুরু করে। পরে নভেম্বরের মাঝামাঝি বাসমালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

নির্ধারণের শুরুর দিকে বেশির ভাগ গণপরিবহনই নির্ধারিত ভাড়া নিত। এখন পাল্টে গেছে পুরো চিত্র। যাত্রীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছেন না গণপরিবহনের মালিক-কর্মচারীরা।

রাসেল মিয়া নামে এক যাত্রী জানান, মোহাম্মদপুর থেকে সাইন্সল্যাব পর‌্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা হলেও তার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে ১৫ টাকা। ভাড়া কম দেয়ায় হেলপার তার সঙ্গে তর্ক শুরু করে।

আরেক যাত্রী অনন্যার অভিযোগ, বাস যেখানে সেখানে থামাচ্ছে, গাদাগাদি করে নেয়া হচ্ছে যাত্রী। সিটিং সার্ভিসের নামে বাড়তি ভাড়া নেয়া হলেও বাসে আসনের অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হচ্ছে। নেয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও।

অনেকে বলছেন, নির্ধারিত ভাড়ার দেড় গুণ চাওয়া হচ্ছে। তালিকা দেখতে চাইলে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বিকাশ পরিবহনের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, ওয়েবিলের হিসাবে নির্ধারণ না করলে বাসচালক ও চালকের সহকারীদের অনেকে সঠিক ভাড়ার হিসাব দেন না। ফলে বাসমালিকের লাভ কম হয়। সে জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়া মানা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া অনেক বাসের তুলনায় আসন ভালো হওয়া, ফ্যানের (পাখা) সুবিধা রাখায় ভাড়া কিছুটা বেশি নেয়া হয়।

দেওয়ান পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজাহারুল ইসলাম বলেন, ওয়েবিলের মাধ্যমে এ রুটে আগে যে দূরত্বে ২৫ টাকা রাখা হতো, এখন রাখা হচ্ছে ২০ টাকা। এ কারণে দৈনিক দুই হাজার টাকার বদলে এখন লাভ হচ্ছে এক হাজারের মতো। সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় গেলে লাভ আরও কমবে।

এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগ পেলেই মালিকদের সমিতি অফিসে ডাকা হচ্ছে ও আলোচনা করা হচ্ছে। তারপরও অনেকে নিয়ম মানতে চান না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রাজধানীতে আবারও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়

আপডেট : ১১:১৭:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
রাজধানী ঢাকায় গণপরিবহনগুলোতে আবারও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, বাসে ভাড়ার তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক হলেও বেশির ভাগই রাখছেন না। ভাড়া নির্ধারণের দুই মাসের মধ্যেই একই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাম করছে যাত্রীরা।

এর আগে গত নভেম্বরের শুরুর দিকে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির পর সব ধরনের জ্বালানিচালিত বাসে বাড়তি ভাড়া নেয়া শুরু হয়। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও এ ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বাড়তে শুরু করে। পরে নভেম্বরের মাঝামাঝি বাসমালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

নির্ধারণের শুরুর দিকে বেশির ভাগ গণপরিবহনই নির্ধারিত ভাড়া নিত। এখন পাল্টে গেছে পুরো চিত্র। যাত্রীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছেন না গণপরিবহনের মালিক-কর্মচারীরা।

রাসেল মিয়া নামে এক যাত্রী জানান, মোহাম্মদপুর থেকে সাইন্সল্যাব পর‌্যন্ত ভাড়া ১০ টাকা হলেও তার কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে ১৫ টাকা। ভাড়া কম দেয়ায় হেলপার তার সঙ্গে তর্ক শুরু করে।

আরেক যাত্রী অনন্যার অভিযোগ, বাস যেখানে সেখানে থামাচ্ছে, গাদাগাদি করে নেয়া হচ্ছে যাত্রী। সিটিং সার্ভিসের নামে বাড়তি ভাড়া নেয়া হলেও বাসে আসনের অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হচ্ছে। নেয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও।

অনেকে বলছেন, নির্ধারিত ভাড়ার দেড় গুণ চাওয়া হচ্ছে। তালিকা দেখতে চাইলে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বিকাশ পরিবহনের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, ওয়েবিলের হিসাবে নির্ধারণ না করলে বাসচালক ও চালকের সহকারীদের অনেকে সঠিক ভাড়ার হিসাব দেন না। ফলে বাসমালিকের লাভ কম হয়। সে জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়া মানা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া অনেক বাসের তুলনায় আসন ভালো হওয়া, ফ্যানের (পাখা) সুবিধা রাখায় ভাড়া কিছুটা বেশি নেয়া হয়।

দেওয়ান পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজাহারুল ইসলাম বলেন, ওয়েবিলের মাধ্যমে এ রুটে আগে যে দূরত্বে ২৫ টাকা রাখা হতো, এখন রাখা হচ্ছে ২০ টাকা। এ কারণে দৈনিক দুই হাজার টাকার বদলে এখন লাভ হচ্ছে এক হাজারের মতো। সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় গেলে লাভ আরও কমবে।

এ বিষয়ে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগ পেলেই মালিকদের সমিতি অফিসে ডাকা হচ্ছে ও আলোচনা করা হচ্ছে। তারপরও অনেকে নিয়ম মানতে চান না।