ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাণিজ্য মেলা বন্ধ চেয়ে পরামর্শক কমিটির সুপারিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
  • / 153
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিছুদিন আগে করোনা মোকাবেলায় আরোপ করা হয়েছিলো ১১ বিধিনিষেধ। তবে সেখানে চলমান বাণিজ্য মেলা বন্ধের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।

এবার বাণিজ্য মেলা বন্ধের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সেই সঙ্গে আসন্ন বইমেলাও আরও পিছিয়ে দেয়ার সুপারিশ করেন তারা।

মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারকে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে আরও কঠোর হওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

ডা. সহিদুল্লা বলেন, আমরা কয়েক দফায় সরকারকে বিধিনিষেধ কঠোর করার ব্যাপারে বলেছি। এখন শুধু বিধিনিষেধ দিলেই তো হবে না, এর কঠোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করাটা জরুরি। তাই করোনা নিয়ন্ত্রণে পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী ও বাণিজ্য মেলা বন্ধ এবং বইমেলা পেছানো উচিত।

দেশে লকডাউনের সুপারিশ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে নতুন করে লকডাউন দিয়ে কোনো লাভ হবে না। এছাড়া এই মুহূর্তে হাসপাতালগুলোতেও তুলনামূলক রোগী কম। আমরা যখন দেখি হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি হয়ে যায়, চিকিৎসকদের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, তখন লকডাউন দেয়ার সুপারিশ করি।

তিনি আরও বলেন, লকডাউন দিলে জনজীবনে প্রভাব পড়বে, অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে; কাজেই লকডাউনের আগে যে কাজগুলো বেশি কার্যকর সে কাজগুলো যদি আমরা যথাযথভাবে করতে পারি, তাহলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

এসময় স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়ে জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম দেখা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকায়, তারা লকডাউন না দিয়ে শুধু স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাণিজ্য মেলা বন্ধ চেয়ে পরামর্শক কমিটির সুপারিশ

আপডেট : ১২:৪৬:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিছুদিন আগে করোনা মোকাবেলায় আরোপ করা হয়েছিলো ১১ বিধিনিষেধ। তবে সেখানে চলমান বাণিজ্য মেলা বন্ধের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।

এবার বাণিজ্য মেলা বন্ধের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সেই সঙ্গে আসন্ন বইমেলাও আরও পিছিয়ে দেয়ার সুপারিশ করেন তারা।

মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা। তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরকারকে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে আরও কঠোর হওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

ডা. সহিদুল্লা বলেন, আমরা কয়েক দফায় সরকারকে বিধিনিষেধ কঠোর করার ব্যাপারে বলেছি। এখন শুধু বিধিনিষেধ দিলেই তো হবে না, এর কঠোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করাটা জরুরি। তাই করোনা নিয়ন্ত্রণে পরিবহনে অর্ধেক যাত্রী ও বাণিজ্য মেলা বন্ধ এবং বইমেলা পেছানো উচিত।

দেশে লকডাউনের সুপারিশ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওমিক্রন প্রতিরোধে নতুন করে লকডাউন দিয়ে কোনো লাভ হবে না। এছাড়া এই মুহূর্তে হাসপাতালগুলোতেও তুলনামূলক রোগী কম। আমরা যখন দেখি হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি হয়ে যায়, চিকিৎসকদের ওপর চাপ তৈরি হচ্ছে, তখন লকডাউন দেয়ার সুপারিশ করি।

তিনি আরও বলেন, লকডাউন দিলে জনজীবনে প্রভাব পড়বে, অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে; কাজেই লকডাউনের আগে যে কাজগুলো বেশি কার্যকর সে কাজগুলো যদি আমরা যথাযথভাবে করতে পারি, তাহলে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

এসময় স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দিয়ে জানিয়ে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন প্রথম দেখা দেয় দক্ষিণ আফ্রিকায়, তারা লকডাউন না দিয়ে শুধু স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ করেছে। আমাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর আরও গুরুত্ব দিতে হবে।