ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুন করে আত্মহত্যা প্রমাণের চেষ্টা, লুকিয়ে বাঁচতে সাংবাদিক ছদ্মবেশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৬:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 182
সাংবাদিক ছদ্মবেশে ১৭ বছর ধরে পলাতক হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. আশরাফ হোসেন ওরফে কামালকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে সাভার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব বলছে, ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে পারিবারিক কলহের কারণে গ্রেপ্তার আশরাফ তার শিশুপুত্রের সামনে শ্বাসরোধ করে নিজ স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনা গোপন করার উদ্দেশ্যে মৃতের ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে দেয় এবং প্রচার করে তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তে হত্যা প্রমাণিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, এর ১২ দিন পর তার শ্বশুরের সহায়তায় জামিনপ্রাপ্ত হয়ে সে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর আশুলিয়া এলাকায় চলে আসে। পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশাকে গ্রেপ্তার এড়ানোর ছদ্মবেশ হিসেবে বেছে নেয়।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সাংবাদিক ছদ্মবেশে থাকা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. আশরাফ হোসেন ওরফে কামাল

র‍্যাব জানায়, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ২০২১ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানা থেকে একটি অধিযাচনপত্রে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মো. আশরাফ হোসেন ওরফে কামালকে (৪৭) গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাবের কাছে অনুরোধ করা হয়। এর পর র‍্যাব-১১ এর অভিযানে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা জেলার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে এবং সংশ্লিষ্ট চার্জশীট পর্যালোচনায় করে র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টায় পারিবারিক কলহের কারণে গ্রেপ্তার আশরাফ তার শিশুপুত্রের সামনে শ্বাসরোধ করে নিজ স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনা গোপন করার উদ্দেশ্যে মৃতের ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে দেয় এবং প্রচার করে তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার আত্মহত্যা করেছে।

এ নিয়ে অপমৃত্যু মামলা হয়। লাশের সুরতহাল শেষে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ঘটনাটি সন্দেহমূলক হওয়ায় আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়। সে ১২ দিন পর তার শ্বশুরের সহায়তায় জামিনপ্রাপ্ত হয়। জামিন পাওয়ার পরপরই হঠাৎ করে একদিন সে আত্মগোপনে চলে যায়। আত্মগোপনথাকাকালীন কখনই সে নিজ স্থায়ী ঠিকানা নোয়াখালী ও কর্মস্থল, নিজ সন্তান ও আত্মীয় পরিজন কারো সাথে যোগাযোগ রাখেনি।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, শ্বাসরোধ করে সানজিদা আক্তারকে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসে। পরে সোনারগাঁও থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে যার নম্বর ৪২। উক্ত মামলার এজাহারে একমাত্র আসামী মো. আশরাফ হোসেন ওরফে কামাল। মামলার তদন্তে জানা যায় যে, সিলিং ফ্যানের নিচে খাট ছিল এবং খাটের উপর থেকে সিলিং ফ্যানের উচ্চতা খুবই কম ছিল। তাই সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়, আসামী আশরাফ হোসেন তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার কে হত্যা করেছে।

আরো জানা যায় যে, আসামী আশরাফ প্রায়ই তার স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে মারধর করতো। সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামী মো. আশরাফ হোসেন এর বিরুদ্ধে দন্ডবিধি অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় আসামীর বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানার অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করা হয়। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিচার শেষে মামলার পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন।

কে এই আশরাফ?

র‍্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. আশরাফ হোসেন ১৯৯৮ সালে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে বি.কম (পাস) করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার একটি প্রতিষ্ঠিত সিমেন্ট কোম্পানীতে ২০০১ সাল থেকে চাকরী শুরু করে। পরবর্তীতে সে ২০০৩ সালে ভিকটিমের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সস্ত্রীক কোম্পানীর স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস শুরু করে। ঘটনার পর সে ছদ্মবেশে আশুলিয়ায় বসবাস শুরু করে এবং প্রথম স্ত্রীর ঘটনা গোপন করে আবার ২য় বিয়ে করে। পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশাকে গ্রেপ্তার এড়ানোর ছদ্মবেশ হিসেবে বেছে নেয়।

সাংবাদিকতায় যেভাবে আসা

গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব কর্মকর্তা মঈন জানান, আশুলিয়া এলাকায় সে ২০০৬ সালে সাপ্তাহিক মহানগর বার্তা এর সহকারী সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। এরপর সে ২০০৯ সালে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ লাভ করে। পরবর্তীতে সংবাদ প্রতিক্ষণ পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত হয়। সে ২০১৩-১৪ মেয়াদে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। ২০১৫-১৬ মেয়াদে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সহ-সম্পাদক পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আশরাফ আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের ২০১৬-১৭ মেয়াদে নির্বাহী সদস্য পদ লাভ করে। ২০২০ সালে দৈনিক সময়ের বাংলা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করে। ২০২১-২২ মেয়াদে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের পুনরায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করে হেরে যায়। বর্তমানে সে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছে।

এই দীর্ঘ সময়ে সে সংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টস ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। নিজের নামে একটি কনসালটেন্সি ফার্মও খোলেন তিনি। ফার্মটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিবেশ যাচাইয়ের নীরিক্ষার কনসালটেন্সি করত বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খুন করে আত্মহত্যা প্রমাণের চেষ্টা, লুকিয়ে বাঁচতে সাংবাদিক ছদ্মবেশ

আপডেট : ০৬:৪৯:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সাংবাদিক ছদ্মবেশে ১৭ বছর ধরে পলাতক হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. আশরাফ হোসেন ওরফে কামালকে (৪৭) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। বৃহস্পতিবার রাতে সাভার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব বলছে, ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে পারিবারিক কলহের কারণে গ্রেপ্তার আশরাফ তার শিশুপুত্রের সামনে শ্বাসরোধ করে নিজ স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনা গোপন করার উদ্দেশ্যে মৃতের ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে দেয় এবং প্রচার করে তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তে হত্যা প্রমাণিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, এর ১২ দিন পর তার শ্বশুরের সহায়তায় জামিনপ্রাপ্ত হয়ে সে আত্মগোপনে চলে যায়। এরপর আশুলিয়া এলাকায় চলে আসে। পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশাকে গ্রেপ্তার এড়ানোর ছদ্মবেশ হিসেবে বেছে নেয়।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সাংবাদিক ছদ্মবেশে থাকা মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. আশরাফ হোসেন ওরফে কামাল

র‍্যাব জানায়, গত বছরের ২১ ডিসেম্বর ২০২১ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানা থেকে একটি অধিযাচনপত্রে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী মো. আশরাফ হোসেন ওরফে কামালকে (৪৭) গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাবের কাছে অনুরোধ করা হয়। এর পর র‍্যাব-১১ এর অভিযানে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা জেলার সাভার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে এবং সংশ্লিষ্ট চার্জশীট পর্যালোচনায় করে র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, ২০০৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০ টায় পারিবারিক কলহের কারণে গ্রেপ্তার আশরাফ তার শিশুপুত্রের সামনে শ্বাসরোধ করে নিজ স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে হত্যা করে। হত্যাকান্ডের ঘটনা গোপন করার উদ্দেশ্যে মৃতের ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে দেয় এবং প্রচার করে তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার আত্মহত্যা করেছে।

এ নিয়ে অপমৃত্যু মামলা হয়। লাশের সুরতহাল শেষে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। ইতোমধ্যে ঘটনাটি সন্দেহমূলক হওয়ায় আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়। সে ১২ দিন পর তার শ্বশুরের সহায়তায় জামিনপ্রাপ্ত হয়। জামিন পাওয়ার পরপরই হঠাৎ করে একদিন সে আত্মগোপনে চলে যায়। আত্মগোপনথাকাকালীন কখনই সে নিজ স্থায়ী ঠিকানা নোয়াখালী ও কর্মস্থল, নিজ সন্তান ও আত্মীয় পরিজন কারো সাথে যোগাযোগ রাখেনি।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, শ্বাসরোধ করে সানজিদা আক্তারকে হত্যা করা হয়েছে বলে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসে। পরে সোনারগাঁও থানা পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে যার নম্বর ৪২। উক্ত মামলার এজাহারে একমাত্র আসামী মো. আশরাফ হোসেন ওরফে কামাল। মামলার তদন্তে জানা যায় যে, সিলিং ফ্যানের নিচে খাট ছিল এবং খাটের উপর থেকে সিলিং ফ্যানের উচ্চতা খুবই কম ছিল। তাই সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করা সম্ভব নয়, আসামী আশরাফ হোসেন তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার কে হত্যা করেছে।

আরো জানা যায় যে, আসামী আশরাফ প্রায়ই তার স্ত্রী সানজিদা আক্তারকে মারধর করতো। সার্বিক তদন্তে প্রাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণে আসামী মো. আশরাফ হোসেন এর বিরুদ্ধে দন্ডবিধি অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হওয়ায় আসামীর বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানার অভিযোগ পত্র আদালতে দাখিল করা হয়। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত বিচার শেষে মামলার পলাতক আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করার আদেশ দেন।

কে এই আশরাফ?

র‍্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. আশরাফ হোসেন ১৯৯৮ সালে হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ে বি.কম (পাস) করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার একটি প্রতিষ্ঠিত সিমেন্ট কোম্পানীতে ২০০১ সাল থেকে চাকরী শুরু করে। পরবর্তীতে সে ২০০৩ সালে ভিকটিমের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সস্ত্রীক কোম্পানীর স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস শুরু করে। ঘটনার পর সে ছদ্মবেশে আশুলিয়ায় বসবাস শুরু করে এবং প্রথম স্ত্রীর ঘটনা গোপন করে আবার ২য় বিয়ে করে। পাশাপাশি সাংবাদিকতা পেশাকে গ্রেপ্তার এড়ানোর ছদ্মবেশ হিসেবে বেছে নেয়।

সাংবাদিকতায় যেভাবে আসা

গ্রেপ্তারকৃতকে জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাব কর্মকর্তা মঈন জানান, আশুলিয়া এলাকায় সে ২০০৬ সালে সাপ্তাহিক মহানগর বার্তা এর সহকারী সম্পাদক হিসেবে যুক্ত হন। এরপর সে ২০০৯ সালে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্যপদ লাভ করে। পরবর্তীতে সংবাদ প্রতিক্ষণ পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত হয়। সে ২০১৩-১৪ মেয়াদে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। ২০১৫-১৬ মেয়াদে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সহ-সম্পাদক পদে নির্বাচন করে পরাজিত হয়।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আশরাফ আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের ২০১৬-১৭ মেয়াদে নির্বাহী সদস্য পদ লাভ করে। ২০২০ সালে দৈনিক সময়ের বাংলা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করে। ২০২১-২২ মেয়াদে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের পুনরায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করে হেরে যায়। বর্তমানে সে আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং স্বদেশ বিচিত্রা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছে।

এই দীর্ঘ সময়ে সে সংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন গার্মেন্টস ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। নিজের নামে একটি কনসালটেন্সি ফার্মও খোলেন তিনি। ফার্মটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মপরিবেশ যাচাইয়ের নীরিক্ষার কনসালটেন্সি করত বলেও জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।