মঙ্গরবার বাংলাদেশ জার্নালকে বাদীপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন হাওলাদার এসব তথ্য জানান। ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে এই মামলা করেন ৩৩ বছর বয়সী এক নারী।

মামলার আসামি করার জন্য যাদের নাম দেয়া হয়েছে- হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ, ওসি (তদন্ত) মহিউদ্দিন ফারুক, ওসি (অপারেশন) গোলাম আযম এবং দুই উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ও চয়ন, আলেয়া, কাজী তোফাজ্জল হোসেন, জাভেল হোসেন পাপন, জামাল, রাকিবুল হাসান, তানীম রেজা বাপ্পী, পান্নু হাওলাদার ও ইউসুফ রিপন।

আইনজীবী জাকির হোসেন হাওলাদার জানান, মামলার ১ নম্বর আসামি তানীম রেজা বাপ্পী ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে বিয়ের কথা বলে তাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলো। এ বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি হাতিরঝিল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে নানাভাবে হয়রানি করে। পরবর্তীতে মামলার প্রধান আসামি এবং ভুক্তভোগীর কথিত স্বামী বাপ্পীসহ তার সহযোগীরা নারীকে রিকশা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা ও গুমের চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, হাতিরঝিল থানায় মামলা না নিলে আজ দুপুরে যুবলীগ নেতা জাভেল হোসেন পাপন, হাতিরঝিল থানার ওসি আব্দুর রশিদ, ওসি তদন্ত মহিউদ্দিন ফারুক, ওসি অপারেশন গোলাম আজম ও দুই এসআই’সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ আইনে নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল নং ৭ এ মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী।

মামলার ৫ নম্বর আসামী জাভেল হোসেন পাপন, বর্তমানে ৩৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি, ক্যাসিনো কান্ডে সম্রাটের সহযোগী ছিলেন।