ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৩:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২
  • / 129
দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো ধরনের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়ে তার ব্যাখ্যাও দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ হতে দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই অবস্থায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। যার জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে অধিকতর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে আবার ৩০ বছরের ঊর্ধ্ববয়সী কেউ চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব-৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে তখন উলটো হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে তেমন হারে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। যার জন্য শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৩০ বছর নির্ধারণ করা আছে। তাই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরেও সকল চাকরিপ্রত্যাশী অন্ততপক্ষে ছয় থেকে সাত বছর সময় পাচ্ছেন।

তিনি আরও যোগ করেন, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও কোনো প্রার্থী চাকরির আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নেই: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

আপডেট : ০৩:২৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল ২০২২
দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো ধরনের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাবিবে মিল্লাতের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়ে তার ব্যাখ্যাও দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ হতে দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। যার ফলে বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে শূন্য পদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমেছে। এই অবস্থায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরি প্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে যাবে। যার জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রত্যাশীদের মধ্যে অধিকতর প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হতে পারে। যার ফলে আবার ৩০ বছরের ঊর্ধ্ববয়সী কেউ চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব-৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে তখন উলটো হতাশার সৃষ্টি হতে পারে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, অতীতে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে তেমন হারে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে। যার জন্য শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩/২৪ বছরেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ৩০ বছর নির্ধারণ করা আছে। তাই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের পরেও সকল চাকরিপ্রত্যাশী অন্ততপক্ষে ছয় থেকে সাত বছর সময় পাচ্ছেন।

তিনি আরও যোগ করেন, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর হলেও কোনো প্রার্থী চাকরির আবেদন করলে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে এক থেকে দুই বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।