নাহিদ হত্যাকাণ্ডে ফুটেজের চুলচেরা বিশ্লেষণে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট : ০৪:৩২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
  • / 194
নিউমার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ হত্যাকাণ্ডের যে ফুটেজ রয়েছে সেই ফুটেজের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। চিহ্নিতকরণের কাজটি অনেক দূর এগিয়েছে।

বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষকালে হেলমেট পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া সবাই সন্ত্রাসী। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। এসব হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, নিউমার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন তরুণ নিহত হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তাধীন। একটি নাহিদ হত্যায় এবং অপর মামলাটি হয়েছে মোরসালিন হত্যার ঘটনায়।

গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা কলেজের হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বাড়ি চলে গেছে অথবা আত্মগোপনে আছে। তবে ডিবির একাধিক টিম তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে। শিগগির এ বিষয়ে ভালো ফল জানানো হবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, সেখানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই৷ তবে যারা হেলমেট পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল তারা সবাই সন্ত্রাসী। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ।

এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর ফের দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। দিনভর সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সংঘর্ষের তৃতীয় দিন বুধবার (২০ এপ্রিল) সারাদিন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও সন্ধ্যার পর আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

তিনদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ (ঢামেক) বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ পুলিশের অনেক সদস্যও আহত হয়েছেন।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের দোকান ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় প্রায় ১৩৫০ জনকে মানুষকে আসামি করে ৪টি মামলা হয়েছে।

এর মধ্যে বিস্ফোরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেয়ার অভিযোগ দুটি মামলা করেছেন নিউমার্কেট থানার এসআই মেহেদী হাসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির।

আর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়ার চাচা মো. সাঈদ হত্যার অভিযোগ এনে অন্য মামলাটি দায়ের করেছেন।

অন্যদিকে দোকান কর্মচারী মোরসালিন নিহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ মামলাতেও অজ্ঞাত পরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নাহিদ হত্যাকাণ্ডে ফুটেজের চুলচেরা বিশ্লেষণে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে

আপডেট : ০৪:৩২:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২
নিউমার্কেটের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ হত্যাকাণ্ডের যে ফুটেজ রয়েছে সেই ফুটেজের চুলচেরা বিশ্লেষণ করে জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। চিহ্নিতকরণের কাজটি অনেক দূর এগিয়েছে।

বুধবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষকালে হেলমেট পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া সবাই সন্ত্রাসী। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। এসব হেলমেটধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, নিউমার্কেটের সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন তরুণ নিহত হয়। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তাধীন। একটি নাহিদ হত্যায় এবং অপর মামলাটি হয়েছে মোরসালিন হত্যার ঘটনায়।

গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা কলেজের হোস্টেল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বাড়ি চলে গেছে অথবা আত্মগোপনে আছে। তবে ডিবির একাধিক টিম তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে। শিগগির এ বিষয়ে ভালো ফল জানানো হবে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, সেখানে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই৷ তবে যারা হেলমেট পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল তারা সবাই সন্ত্রাসী। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

গত সোমবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ।

এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার পর ফের দফায় দফায় চলে সংঘর্ষ। দিনভর সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সংঘর্ষের তৃতীয় দিন বুধবার (২০ এপ্রিল) সারাদিন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করলেও সন্ধ্যার পর আবারও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

তিনদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ (ঢামেক) বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ পুলিশের অনেক সদস্যও আহত হয়েছেন।

ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও নিউ মার্কেটের দোকান ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় প্রায় ১৩৫০ জনকে মানুষকে আসামি করে ৪টি মামলা হয়েছে।

এর মধ্যে বিস্ফোরণ, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাওপোড়াও, পুলিশের কাজের বাধা দেয়ার অভিযোগ দুটি মামলা করেছেন নিউমার্কেট থানার এসআই মেহেদী হাসান ও পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির।

আর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়ার চাচা মো. সাঈদ হত্যার অভিযোগ এনে অন্য মামলাটি দায়ের করেছেন।

অন্যদিকে দোকান কর্মচারী মোরসালিন নিহতের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ মামলাতেও অজ্ঞাত পরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।