কল্যাণপুরে হবে নতুন ‘হাতিরঝিল’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০৩:০৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 214

হাতিরঝিল

রাজধানীর কল্যাণপুরে হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন জলাধার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।সোমবার গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এ্যাসফল্ট প্লান্টের জমি উদ্ধার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা জানান তিনি।

মেয়র আতিকুল বলেন, কল্যাণপুরে হাতিরঝিলের অনুরুপ আরেকটি দৃষ্টিনন্দন জলাধার নির্মাণ করা হবে। এতে ওয়াকওয়ে ও সুইমিংপুলও সংযুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সুপরিকল্পিত জলাধার খুবই প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হলেও তার অধিকাংশই রয়েছে অবৈধ দখলে, যা খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, কল্যাণপুর জলাধারের জন্য নির্ধারিত ১৭৩ একর জমির মধ্যে ১৭০ একর জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে রয়েছে। গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এ্যাসফল্ট প্লান্ট ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য নির্ধারিত ৫২ একর জমির মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অবৈধ দখলে রয়েছে।

অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসি থেকে অবৈধ দখলদারদের নামে কোন বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি বলেন, জনগণের সহায়তায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। পরিদর্শণকালে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কল্যাণপুরে হবে নতুন ‘হাতিরঝিল’

আপডেট : ০৩:০৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজধানীর কল্যাণপুরে হাতিরঝিলের মতো দৃষ্টিনন্দন জলাধার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।সোমবার গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এ্যাসফল্ট প্লান্টের জমি উদ্ধার ও অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম পরিদর্শনকালে একথা জানান তিনি।

মেয়র আতিকুল বলেন, কল্যাণপুরে হাতিরঝিলের অনুরুপ আরেকটি দৃষ্টিনন্দন জলাধার নির্মাণ করা হবে। এতে ওয়াকওয়ে ও সুইমিংপুলও সংযুক্ত থাকবে।

তিনি বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানে সুপরিকল্পিত জলাধার খুবই প্রয়োজন। এজন্য প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণ করা হলেও তার অধিকাংশই রয়েছে অবৈধ দখলে, যা খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, কল্যাণপুর জলাধারের জন্য নির্ধারিত ১৭৩ একর জমির মধ্যে ১৭০ একর জমি অবৈধভাবে দখল হয়ে রয়েছে। গাবতলী বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এ্যাসফল্ট প্লান্ট ও অন্যান্য কার্যক্রমের জন্য নির্ধারিত ৫২ একর জমির মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি অবৈধ দখলে রয়েছে।

অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মেয়র বলেন, ডিএনসিসি থেকে অবৈধ দখলদারদের নামে কোন বৈধ নোটিশ ইস্যু করা হবে না, বিনা নোটিশেই তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।

তিনি বলেন, জনগণের সহায়তায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। পরিদর্শণকালে ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।