ঢাকা ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেনো সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হলো প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 101
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যেসব সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছে তাদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং তাদের আর্থিক অবস্থাও জানি। কেনো তাদের হিসাব চাওয়া হলো, এটা আমারও প্রশ্ন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাকে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে হচ্ছে। আর আমাকে সাংবাদিকদেরও প্রতিনিধিত্ব করতে হচ্ছে। আমি সবারই স্বার্থ রক্ষা করে কাজ করে যেতে চাই।

সাংবাদিকদের চরিত্র হরণের অধিকার কারও নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেন সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে। আর এই আইন বিদেশেও আছে। কিন্তু এটা নিয়ে অনেকেই সাংবাদিকদের চরিত্র হরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

দেশে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে টেলিভিশনে কারও ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে জনগণের ব্যক্তিগত অধিকার খর্ব হয়। এ বিষয় আমাদের মাথায় রাখা দরকার।

করোনাকালে সাংবাদিকদের সহযোগিতার জন্য চেষ্টা করছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের অব্যবহৃত অর্থ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে বরাদ্দ দিয়ে সাংবাদিকদের এককালীন সহযোগিতা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী প্রেসক্লাবে একবার বলেছিলেন, আমি কতদিন আছি জানি না। তবে আমি সাংবাদিকদের জন্য একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিতে চাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে। ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও সাংবাদিকদের পাশে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দাঁড়িয়েছেন অতীতের সরকারগুলো সঙ্কটকালীন সময়ে সাংবাদিকদের পাশে কেউ এভাবে আসেনি।

সাংবাদিকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী একটি ফান্ড গঠন করে দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা কিন্তু অতীতে কেউ চিন্তা করেনি।

অতীতের সরকারগুলো সাংবাদিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে যেন বাংলাদেশকে তুলে ধরা যায়। বাংলাদেশের জনগণ যেন দেশের বাস্তব চিত্র জানতে পারে।

নেগেটিভ নিউজ একটা সময় বেশি আকর্ষণীয় সংবাদ হতো মন্তব্য করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গত ১২ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে যে প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সেই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সাহসিকতার সঙ্গে বাংলাদেশকে পৃথিবীতে মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন। সে মর্যাদা ও অহঙ্কারকে ধরে রাখার জন্য আমরা আপনাদের (সাংবাদিকতা) মধ্যেও সেই প্রতিফলন দেখতে পাই।

সাংবাদিকদের সাহসিকতার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন দেখতে পাই পদ্মাসেতুর মতো বড় প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো, তখন কিন্তু আপনারা সাংবাদিকরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বর্তমান সরকারকে সাহস যুগিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতাকে আপনারা অনুপ্রাণিত করেছেন। এই অনুপ্রাণিত করা শুধু এখনই নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও মানবতাবিরোধী হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

করোনা মহামারীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, করোনায় অনেকে আশঙ্কা করেছিলো বাংলাদেশে ২/৩ কোটি মানুষ করোনায়, অনাহার-অর্ধাহারে দুর্ভিক্ষে মারা যাবে। সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের কারণে সে অবস্থা তৈরি হয়নি। অনেকে চেয়েছিলো বাংলাদেশে সেরকম অবস্থা তৈরি হোক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে ভয়াবহ অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে আমরা রক্ষা করতে পেরেছি।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল উদ্দিন, প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেনো সাংবাদিকদের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হলো প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

আপডেট : ০২:১৬:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যেসব সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছে তাদের ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং তাদের আর্থিক অবস্থাও জানি। কেনো তাদের হিসাব চাওয়া হলো, এটা আমারও প্রশ্ন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাছান মাহমুদ বলেন, আমাকে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে হচ্ছে। আর আমাকে সাংবাদিকদেরও প্রতিনিধিত্ব করতে হচ্ছে। আমি সবারই স্বার্থ রক্ষা করে কাজ করে যেতে চাই।

সাংবাদিকদের চরিত্র হরণের অধিকার কারও নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেন সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করে। আর এই আইন বিদেশেও আছে। কিন্তু এটা নিয়ে অনেকেই সাংবাদিকদের চরিত্র হরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

দেশে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে টেলিভিশনে কারও ব্যক্তিগত বিষয় প্রকাশ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে জনগণের ব্যক্তিগত অধিকার খর্ব হয়। এ বিষয় আমাদের মাথায় রাখা দরকার।

করোনাকালে সাংবাদিকদের সহযোগিতার জন্য চেষ্টা করছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের অব্যবহৃত অর্থ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে বরাদ্দ দিয়ে সাংবাদিকদের এককালীন সহযোগিতা করেছি।

প্রধানমন্ত্রী প্রেসক্লাবে একবার বলেছিলেন, আমি কতদিন আছি জানি না। তবে আমি সাংবাদিকদের জন্য একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিতে চাই। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছে। ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও সাংবাদিকদের পাশে প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দাঁড়িয়েছেন অতীতের সরকারগুলো সঙ্কটকালীন সময়ে সাংবাদিকদের পাশে কেউ এভাবে আসেনি।

সাংবাদিকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী একটি ফান্ড গঠন করে দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা কিন্তু অতীতে কেউ চিন্তা করেনি।

অতীতের সরকারগুলো সাংবাদিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান সঠিক সংবাদ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে যেন বাংলাদেশকে তুলে ধরা যায়। বাংলাদেশের জনগণ যেন দেশের বাস্তব চিত্র জানতে পারে।

নেগেটিভ নিউজ একটা সময় বেশি আকর্ষণীয় সংবাদ হতো মন্তব্য করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গত ১২ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে যে প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সেই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে সাহসিকতার সঙ্গে বাংলাদেশকে পৃথিবীতে মর্যাদার জায়গায় নিয়ে গেছেন। সে মর্যাদা ও অহঙ্কারকে ধরে রাখার জন্য আমরা আপনাদের (সাংবাদিকতা) মধ্যেও সেই প্রতিফলন দেখতে পাই।

সাংবাদিকদের সাহসিকতার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন দেখতে পাই পদ্মাসেতুর মতো বড় প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো, তখন কিন্তু আপনারা সাংবাদিকরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে বর্তমান সরকারকে সাহস যুগিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসিকতাকে আপনারা অনুপ্রাণিত করেছেন। এই অনুপ্রাণিত করা শুধু এখনই নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও মানবতাবিরোধী হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।

করোনা মহামারীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, করোনায় অনেকে আশঙ্কা করেছিলো বাংলাদেশে ২/৩ কোটি মানুষ করোনায়, অনাহার-অর্ধাহারে দুর্ভিক্ষে মারা যাবে। সরকারের সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পদক্ষেপের কারণে সে অবস্থা তৈরি হয়নি। অনেকে চেয়েছিলো বাংলাদেশে সেরকম অবস্থা তৈরি হোক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে ভয়াবহ অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে আমরা রক্ষা করতে পেরেছি।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজের সভাপতি মোল্লা জালাল উদ্দিন, প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।