মর্টারশেলটি বিস্ফোরিত হলে ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা ছিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • / 176
রাজধানীর মিরপুরের বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিন সড়কে একটি বাড়ির মাটি খননের সময় উদ্ধার হওয়া ৬০ মিলিমিটার আয়তনের মর্টারশেলটি সক্রিয় ছিল বলে জানিয়েছে র‍্যাব। এছাড়া এটি বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো বলেও জানানো হয়।

মর্টারশেলটি উদ্ধারের পরে বেরিবাঁধ সংলগ্ন গোড়ান চটবাড়ি এলাকায় নিয়ে ডিসপোজাল (বিস্ফোরিত) করেছে র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট। এ সময় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত আশেপাশের লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে মর্টারশেল উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের উপ-পরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান।

তিনি বলেন, মর্টারশেলটি ছিল দীর্ঘদিনের পুরোনো। এর আয়তন ছিল ৬০ মিলিমিটার। এটি সক্রিয় ছিল এবং বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনো মানুষ থাকলে স্প্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো।

বোম ডিসপোজাল ইউনিটের উপ-পরিচালক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে একটি বাসার খননকাজের সময় মর্টারশেল পাওয়া যায়। প্রথমে র‍্যাব-৪ মর্টারশেলের খবর পেয়ে র‍্যাব সদরদপ্তরের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। আমরা এসে দেখতে পাই, মর্টারশেলটি ৬০ মিলিমিটার। এর গায়ে ময়লা ও জং ধরে থাকার কারণে এটি কোথায় তৈরি তা বলা যাচ্ছে না।

মেজর মো. মশিউর রহমান আরও বলেন, সেখানে আরও কোনো বোম রয়েছে কিনা, খনন করা মাটিতে বোম ডিসপোজালের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সার্চ করে দেখেছি। তবে আমরা আর কোনো বোমের সন্ধান পাইনি।

মর্টারশেলটি কোথা থেকে এলো এবং কীভাবে এলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর মো. মশিউর রহমান বলেন, বোমটির দুটি উৎস হতে পারে, একি এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অথবা পরবর্তীতে কেউ এটি মাটির নিচে পুঁতেও রাখতে পারে। বোমটির গায়ে মার্কিনগুলো দেখা যাচ্ছে না বলে প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না কোথায় তৈরি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মর্টারশেলটি বিস্ফোরিত হলে ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা ছিল

আপডেট : ০১:৩০:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
রাজধানীর মিরপুরের বীর বিক্রম হেমায়েত উদ্দিন সড়কে একটি বাড়ির মাটি খননের সময় উদ্ধার হওয়া ৬০ মিলিমিটার আয়তনের মর্টারশেলটি সক্রিয় ছিল বলে জানিয়েছে র‍্যাব। এছাড়া এটি বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো বলেও জানানো হয়।

মর্টারশেলটি উদ্ধারের পরে বেরিবাঁধ সংলগ্ন গোড়ান চটবাড়ি এলাকায় নিয়ে ডিসপোজাল (বিস্ফোরিত) করেছে র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট। এ সময় আধা কিলোমিটার পর্যন্ত আশেপাশের লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে মর্টারশেল উদ্ধারের পর ঘটনাস্থলে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের উপ-পরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান।

তিনি বলেন, মর্টারশেলটি ছিল দীর্ঘদিনের পুরোনো। এর আয়তন ছিল ৬০ মিলিমিটার। এটি সক্রিয় ছিল এবং বিস্ফোরিত হলে ৩৫ মিটার পর্যন্ত চারদিকে কোনো মানুষ থাকলে স্প্লিন্টারের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি হতে পারতো।

বোম ডিসপোজাল ইউনিটের উপ-পরিচালক বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে একটি বাসার খননকাজের সময় মর্টারশেল পাওয়া যায়। প্রথমে র‍্যাব-৪ মর্টারশেলের খবর পেয়ে র‍্যাব সদরদপ্তরের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। আমরা এসে দেখতে পাই, মর্টারশেলটি ৬০ মিলিমিটার। এর গায়ে ময়লা ও জং ধরে থাকার কারণে এটি কোথায় তৈরি তা বলা যাচ্ছে না।

মেজর মো. মশিউর রহমান আরও বলেন, সেখানে আরও কোনো বোম রয়েছে কিনা, খনন করা মাটিতে বোম ডিসপোজালের আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সার্চ করে দেখেছি। তবে আমরা আর কোনো বোমের সন্ধান পাইনি।

মর্টারশেলটি কোথা থেকে এলো এবং কীভাবে এলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর মো. মশিউর রহমান বলেন, বোমটির দুটি উৎস হতে পারে, একি এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অথবা পরবর্তীতে কেউ এটি মাটির নিচে পুঁতেও রাখতে পারে। বোমটির গায়ে মার্কিনগুলো দেখা যাচ্ছে না বলে প্রাথমিকভাবে বলতে পারছি না কোথায় তৈরি।