সাভারে ইভ্যালির ৪ ওয়্যারহাউস সিলগালা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৫৯:১২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৮ নভেম্বর ২০২১
  • / 253
সাভারে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৪টি ওয়্যারহাউজ সিলগালা করে দিয়েছে হাইকোর্ট গঠিত পরিচালনা কমিটি। প্রতিষ্ঠানটির দায় ও সম্পদ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সাভারের আমিনবাজারে ২টি ও বলিয়ারপুরে ২টি ভাড়া করা ওয়্যারহাউজ পরিদর্শন করেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে পরিচালনা কমিটির পাঁচ সদস্য।

এসময় ওয়্যারহাউজটিতে বেশ কিছু টেলিভিশন, কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিক্স মালামাল দেখতে পায় তারা। কমিটির সদস্যদের জানানো হয়, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গত ১৬ সেপ্টেম্বর র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর পরই এই ওয়্যারহাউজ থেকে মূল্যবান অনেক মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়।

পরিদর্শন শেষে বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গণমাধ্যমকে বলেন, ইভ্যালির সম্পদের পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ শেষে অডিট করা হবে। এরপরই এ বিষয়ে বলা যাবে। এখনো অনেক কিছু করা এবং দেখার বাকি রয়েছে। এখন পর্যন্ত বোর্ডের মাত্র তিনটি সভা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যদি সম্ভব হয় বিজনেস চালিয়ে যাওয়া এবং না হলে অডিটের মাধ্যমে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ ও মূল্য নির্ধারণ করে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে হাইকোর্ট। এখন আমাদের প্রথম কাজই হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ইভ্যালির ওয়্যারহাউসগুলো পরিদর্শন এবং অডিটের মাধ্যমে সব সম্পদ নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অডিটের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা আশাবাদী একটি সুষ্ঠু সমাধান হবে।

বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুব কবির মিলন বলেন, আমরা দ্বিতীয় অপশনটি এই মুহূর্তে চিন্তা করছি না। যদি বিজনেস চালিয়ে যেতে পারি, সেটিই হবে মঙ্গলজনক। তবে কোন দিকে আমরা যাব, সেটি এখনই বলা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইভ্যালির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে আমরা তথ্য নেব। এ ছাড়া ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্সসহ বিভিন্ন সংস্থা ও গ্রাহকদের কাছ থেকেও তথ্য নেয়া হবে। এরপর সে তথ্য হাইকোর্ট অনুমোদিত অডিট ফার্মকে দেয়া হবে। অডিট ফার্ম তাদের অডিট করবে এবং অডিটের ওপর ভিত্তি করেই আমরা সামনে অগ্রসর হব।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য এখান থেকে সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য তুলে এনে একটি সঠিক প্রতিবেদন তৈরি করা। ইভ্যালির প্রতারিত গ্রাহকদের তাঁদের কাছে থাকা তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখার অনুরোধ জানান তিনি। নভেম্বর আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবে এই কমিটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাভারে ইভ্যালির ৪ ওয়্যারহাউস সিলগালা

আপডেট : ০১:৫৯:১২ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৮ নভেম্বর ২০২১
সাভারে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ৪টি ওয়্যারহাউজ সিলগালা করে দিয়েছে হাইকোর্ট গঠিত পরিচালনা কমিটি। প্রতিষ্ঠানটির দায় ও সম্পদ পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে সাভারের আমিনবাজারে ২টি ও বলিয়ারপুরে ২টি ভাড়া করা ওয়্যারহাউজ পরিদর্শন করেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে পরিচালনা কমিটির পাঁচ সদস্য।

এসময় ওয়্যারহাউজটিতে বেশ কিছু টেলিভিশন, কোমল পানীয়সহ ইলেকট্রনিক্স মালামাল দেখতে পায় তারা। কমিটির সদস্যদের জানানো হয়, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গত ১৬ সেপ্টেম্বর র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর পরই এই ওয়্যারহাউজ থেকে মূল্যবান অনেক মালামাল সরিয়ে ফেলা হয়।

পরিদর্শন শেষে বোর্ডের চেয়ারম্যান এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক গণমাধ্যমকে বলেন, ইভ্যালির সম্পদের পরিমাণ এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ শেষে অডিট করা হবে। এরপরই এ বিষয়ে বলা যাবে। এখনো অনেক কিছু করা এবং দেখার বাকি রয়েছে। এখন পর্যন্ত বোর্ডের মাত্র তিনটি সভা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যদি সম্ভব হয় বিজনেস চালিয়ে যাওয়া এবং না হলে অডিটের মাধ্যমে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ ও মূল্য নির্ধারণ করে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছে হাইকোর্ট। এখন আমাদের প্রথম কাজই হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা ইভ্যালির ওয়্যারহাউসগুলো পরিদর্শন এবং অডিটের মাধ্যমে সব সম্পদ নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অডিটের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা আশাবাদী একটি সুষ্ঠু সমাধান হবে।

বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুব কবির মিলন বলেন, আমরা দ্বিতীয় অপশনটি এই মুহূর্তে চিন্তা করছি না। যদি বিজনেস চালিয়ে যেতে পারি, সেটিই হবে মঙ্গলজনক। তবে কোন দিকে আমরা যাব, সেটি এখনই বলা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইভ্যালির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে আমরা তথ্য নেব। এ ছাড়া ভ্যাট, ইনকাম ট্যাক্সসহ বিভিন্ন সংস্থা ও গ্রাহকদের কাছ থেকেও তথ্য নেয়া হবে। এরপর সে তথ্য হাইকোর্ট অনুমোদিত অডিট ফার্মকে দেয়া হবে। অডিট ফার্ম তাদের অডিট করবে এবং অডিটের ওপর ভিত্তি করেই আমরা সামনে অগ্রসর হব।

তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য এখান থেকে সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য তুলে এনে একটি সঠিক প্রতিবেদন তৈরি করা। ইভ্যালির প্রতারিত গ্রাহকদের তাঁদের কাছে থাকা তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখার অনুরোধ জানান তিনি। নভেম্বর আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেবে এই কমিটি।