‘আমরা টিকা এই বস্তিবাসীদের জন্য ব্যবহার করবো’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৩২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
  • / 167
রাজধানীর করাইল বস্তিবাসীদের করোনা টিকার আওতায় আনতে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের টিকাদান কর্মসূচি।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত ২৫টি কেন্দ্রে এ টিকাদান কর্মসূচি চলবে। টিকা প্রদানের আগে তাদের রেজিষ্ট্রেশন করা হচ্ছে কেন্দ্র থেকেই। টিকা কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের থেকে মহিলাদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো।

টিকা নিতে আসা রহিমা বাংলাদেশ জার্নাল বলেন, ‘অনলাইনে কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয় জানতাম না। আজকে তারাই রেজিষ্ট্রেশন করে আমাদের টিকা দিতাছে। টিকা দিতে পেরে ভাল লাগছে। চিন্তা দূর হইছে।’

আমেনা বেগম (৬৩) নামে আরেকজন বলেন, ‘আগে অনেকবার টিকা দিতে গিয়েও নিতে পারি নাই। আজকে অনেক সুন্দর ভাবে লাইন দিয়া টিকা দিতাছে। আমাগো অসুখ হইলে তো আমরা চিকিৎসা করাইতে পারমু না অনেক টাকা লাগবো। আজকে যদি টিকাটা দিতে পারি তাইলে ভালো হইবো।’

টিকাদান কর্মসূচি প্রদর্শনে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের উদ্যোগে এই বস্তিবাসীদের জন্য আমরা পাঁচ লাখ টিকা পেয়েছি। টিকাগুলো আমরা এই বস্তিবাসীদের জন্য ব্যবহার করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে প্রথম ধাপে এক হাজার টিকা দেয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিনে আজ ২৫টি বুথের মাধ্যমে পনেরো হাজার বস্তিবাসীকে টিকা দেয়ার কার্যক্রম চলছে এবং আগামীকাল থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার বস্তিবাসীকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’

সেলিম রেজা বলেন, ‘যে সকল কর্মজীবী মানুষ টিকা নিতে আসতে পারেনি তাদের জন্য শুক্রবার এবং শনিবার টিকা দেয়া হবে। ১৮ বছরের উর্ধ্বে যে সকল বস্তিবাসী রয়েছে তাদের সকলকে যতদিন টিকার আওতায় নিয়ে আসা না হবে ততদিন এ কার্যক্রম চলবে। আমরা সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি যাতে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সুষ্ঠভাবে টিকাদান কর্মসূচি শেষ করতে পারি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

‘আমরা টিকা এই বস্তিবাসীদের জন্য ব্যবহার করবো’

আপডেট : ১১:৩২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর করাইল বস্তিবাসীদের করোনা টিকার আওতায় আনতে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের টিকাদান কর্মসূচি।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেলে ৪টা পর্যন্ত ২৫টি কেন্দ্রে এ টিকাদান কর্মসূচি চলবে। টিকা প্রদানের আগে তাদের রেজিষ্ট্রেশন করা হচ্ছে কেন্দ্র থেকেই। টিকা কেন্দ্রগুলোতে পুরুষের থেকে মহিলাদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পরার মতো।

টিকা নিতে আসা রহিমা বাংলাদেশ জার্নাল বলেন, ‘অনলাইনে কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হয় জানতাম না। আজকে তারাই রেজিষ্ট্রেশন করে আমাদের টিকা দিতাছে। টিকা দিতে পেরে ভাল লাগছে। চিন্তা দূর হইছে।’

আমেনা বেগম (৬৩) নামে আরেকজন বলেন, ‘আগে অনেকবার টিকা দিতে গিয়েও নিতে পারি নাই। আজকে অনেক সুন্দর ভাবে লাইন দিয়া টিকা দিতাছে। আমাগো অসুখ হইলে তো আমরা চিকিৎসা করাইতে পারমু না অনেক টাকা লাগবো। আজকে যদি টিকাটা দিতে পারি তাইলে ভালো হইবো।’

টিকাদান কর্মসূচি প্রদর্শনে এসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের উদ্যোগে এই বস্তিবাসীদের জন্য আমরা পাঁচ লাখ টিকা পেয়েছি। টিকাগুলো আমরা এই বস্তিবাসীদের জন্য ব্যবহার করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে প্রথম ধাপে এক হাজার টিকা দেয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিনে আজ ২৫টি বুথের মাধ্যমে পনেরো হাজার বস্তিবাসীকে টিকা দেয়ার কার্যক্রম চলছে এবং আগামীকাল থেকে প্রতিদিন ২০ হাজার বস্তিবাসীকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’

সেলিম রেজা বলেন, ‘যে সকল কর্মজীবী মানুষ টিকা নিতে আসতে পারেনি তাদের জন্য শুক্রবার এবং শনিবার টিকা দেয়া হবে। ১৮ বছরের উর্ধ্বে যে সকল বস্তিবাসী রয়েছে তাদের সকলকে যতদিন টিকার আওতায় নিয়ে আসা না হবে ততদিন এ কার্যক্রম চলবে। আমরা সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি যাতে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সুষ্ঠভাবে টিকাদান কর্মসূচি শেষ করতে পারি।’