রামপুরায় বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৮০০

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:১৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 147
রাজধানীর রামপুরায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় বাসচাপায় নিহত হওয়ার জেরে গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত পৃথক দুটি মামলা করেছে। দুটি মামলায় প্রায় আটশ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা। আর রামপুরা থানায় অপর মামলাটি করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মারুফ হোসেন।

দুপুরে দুটি মামলা দায়েরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

হাতিরঝিল থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা ডিআইটি সড়কে মোল্লা টাওয়ারের সামনে ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’ বেআইনিভাবে সমাবেশ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সড়কে চলমান গাড়ি ভাঙচুর ও পেট্রলবোমা দিয়ে গাড়িতে আগুন এবং পথচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করে।

এর আগে মাইনুদ্দিন ইসলামের মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এছাড়া গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এ মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করেন উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামপুরায় বাসে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, আসামি ৮০০

আপডেট : ০১:১৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ডিসেম্বর ২০২১
রাজধানীর রামপুরায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় বাসচাপায় নিহত হওয়ার জেরে গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত পৃথক দুটি মামলা করেছে। দুটি মামলায় প্রায় আটশ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা করেন ওই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা। আর রামপুরা থানায় অপর মামলাটি করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মারুফ হোসেন।

দুপুরে দুটি মামলা দায়েরের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন।

হাতিরঝিল থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা ডিআইটি সড়কে মোল্লা টাওয়ারের সামনে ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’ বেআইনিভাবে সমাবেশ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সড়কে চলমান গাড়ি ভাঙচুর ও পেট্রলবোমা দিয়ে গাড়িতে আগুন এবং পথচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করে।

এর আগে মাইনুদ্দিন ইসলামের মা রাশেদা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এছাড়া গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। এ মামলায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

গত সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করেন উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস।