মেয়রের নির্দেশে স্থাপনা উচ্ছেদ, ব্যবসায়ীদের দাবি ব্যক্তি মালিকানা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:২৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
  • / 196
জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুর নির্দেশে শহরের তমালতলা ও চাপাতলা ঘাট এলাকায় সড়কের পাশে স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। রোববার দুপুরে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

এ সময় উচ্ছেদ করা হয় বেশকটি পাটের গোডাউন, ফার্নিচারের দোকানসহ নানা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ব্যবসায়ী ও জমি মালিকদের দাবি, উচ্ছেদকৃত জায়গা অবৈধ না, এমনকি জামালপুর পৌরসভারও না। শেরপুর জেলার অর্ন্তভুক্ত সেগুলো। তাদের ক্রয় করা জায়গা অবৈধভাবে উচ্ছেদ করায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন তারা।

উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, শহরের যানজট নিরসনে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে বাইপাস সড়কের লিংক রোডের সড়ক প্রশস্ত করার জন্য সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। চলমান অভিযানের এরই অংশ হিসেবে আজ রোববার তমালতলা ও চাপাতলা ঘাটে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

উচ্ছেদকৃত জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন বিষয়ে তিনি আরও বলেন, শহরবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ লাগবে জনস্বার্থে উচ্ছেদ অভিযান করেছি। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলে আইনিভাবে মোকাবেলা করা হবে।

স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন উচ্ছেদ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন। জায়গাটি বৈধ দাবি করে তিনি বলেন, এ জায়গা দলিলমূলে আমি মালিক। জায়গাটি জামালপুর পৌরসভার নয়, শেরপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত। কিভাবে, কোন আইন বলে জামালপুর পৌরসভা উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

তিনি বলেন, এই জায়গার দলিল আছে। রেকর্ড ও খারিজও হয়েছে। নিয়মিত ভূমি কর (খাজনা) দিয়ে আসছি। জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি), উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও জামালপুর পৌরসভার মেয়রকে বিবাদী করে শেরপুরে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বিচারাধীন। কোনো নিয়মনীতি-আইনের তোয়াক্কা না করে জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। বেশ কয়েকটি পাটের গুদামসহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা তছনছ করায় প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছি আমরা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মেয়রের নির্দেশে স্থাপনা উচ্ছেদ, ব্যবসায়ীদের দাবি ব্যক্তি মালিকানা

আপডেট : ০১:২৮:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২২
জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানুর নির্দেশে শহরের তমালতলা ও চাপাতলা ঘাট এলাকায় সড়কের পাশে স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। রোববার দুপুরে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

এ সময় উচ্ছেদ করা হয় বেশকটি পাটের গোডাউন, ফার্নিচারের দোকানসহ নানা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ব্যবসায়ী ও জমি মালিকদের দাবি, উচ্ছেদকৃত জায়গা অবৈধ না, এমনকি জামালপুর পৌরসভারও না। শেরপুর জেলার অর্ন্তভুক্ত সেগুলো। তাদের ক্রয় করা জায়গা অবৈধভাবে উচ্ছেদ করায় বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছেন তারা।

উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু বলেন, শহরের যানজট নিরসনে ব্রহ্মপুত্র পাড়ে বাইপাস সড়কের লিংক রোডের সড়ক প্রশস্ত করার জন্য সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে। চলমান অভিযানের এরই অংশ হিসেবে আজ রোববার তমালতলা ও চাপাতলা ঘাটে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

উচ্ছেদকৃত জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন বিষয়ে তিনি আরও বলেন, শহরবাসীর চলাচলে দুর্ভোগ লাগবে জনস্বার্থে উচ্ছেদ অভিযান করেছি। আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলে আইনিভাবে মোকাবেলা করা হবে।

স্থাপনা উচ্ছেদ প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন উচ্ছেদ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন। জায়গাটি বৈধ দাবি করে তিনি বলেন, এ জায়গা দলিলমূলে আমি মালিক। জায়গাটি জামালপুর পৌরসভার নয়, শেরপুর জেলার অন্তর্ভুক্ত। কিভাবে, কোন আইন বলে জামালপুর পৌরসভা উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

তিনি বলেন, এই জায়গার দলিল আছে। রেকর্ড ও খারিজও হয়েছে। নিয়মিত ভূমি কর (খাজনা) দিয়ে আসছি। জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (ভূমি), উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও জামালপুর পৌরসভার মেয়রকে বিবাদী করে শেরপুরে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বিচারাধীন। কোনো নিয়মনীতি-আইনের তোয়াক্কা না করে জামালপুর পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। বেশ কয়েকটি পাটের গুদামসহ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা তছনছ করায় প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছি আমরা। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।