সানজিদাকে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৭:১৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
  • / 253
বাবা মায়ের উপর অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে ঢাকা শহরে চলে আসে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী সানজিদা আক্তার রিমি। ঢাকা শহরে প্রথম এসে পথ হারিয়ে দিশেহারা, ভীত সন্ত্রস্ত সানজিদা। তবে তাকে উদ্বার করে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করে বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ট্রাফিক পুলিশ। অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে আসা মেয়েকে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা সানজিদার বাবা-মা।

এ বিষয়ে ট্রাফিক-মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ বলেন, রোববার সকাল ১০ টার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকার সামনে মেয়েটিকে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত লোকজন মেয়েটিকে বাসে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় একজন পথচারী দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. ইকরামুল আলমকে জানান। তিনি তখন মেয়েটিকে মহাখালী ট্রাফিক জোন অফিসে নিয়ে আসেন।

উদ্বারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আশফাক আহমেদ জানান, মেয়েটির নাম সানজিদা আক্তার রিমি। বয়স ১৩ বছর। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায়। গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বিভিন্ন কারণে বাবা-মার সাথে সে অভিমান করে। পরের দিন ভোর সাড়ে ৫টায় সে একা চন্দ্রা মোড় থেকে মহাখালী বাস টার্মিনালের বাসে করে প্রথমবারের মতো ঢাকা শহরে চলে আসে। মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় নেমে ভীত হয়ে পড়ে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরবর্তীতে তার কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার বাবা-মার সাথে যোগাযোগ করা হয়। মেয়ের খোঁজ পেয়ে তারা তড়িঘড়ি করে নিজ বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন।

সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ আরও বলেন, তার বাবা-মা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আসার আগ পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন উৎসাহমূলক এবং মোটিভেশনাল কথাবার্তা বলা হয় যাতে সে স্বাভাবিক হতে পারে এবং খুশিমনে বাবা-মার সাথে ফিরে যেতে পারে। তার বাবা-মা ঢাকায় পৌঁছানোর পর মহাখালী ট্রাফিক জোন অফিসে আসেন এবং তাদের মেয়েকে সুস্থ -স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ বলেন, বাবা-মা এবং সন্তানের মাঝে যেন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে এবং এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে ব্যাপারে তাদেরকে কাউন্সেলিং করা হয়।

মেয়েটির বাবা-মা তাদের মেয়েকে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস টার্মিনাল মহাখালী থেকে অক্ষত এবং সুস্থ অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় ফিরে পাওয়ায় মহাখালী ট্রাফিক জোনের পুলিশ সদস্যদের সকলের প্রতি তিনি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সানজিদাকে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিল পুলিশ

আপডেট : ০৭:১৮:১৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
বাবা মায়ের উপর অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে ঢাকা শহরে চলে আসে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী সানজিদা আক্তার রিমি। ঢাকা শহরে প্রথম এসে পথ হারিয়ে দিশেহারা, ভীত সন্ত্রস্ত সানজিদা। তবে তাকে উদ্বার করে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করে বাবা-মার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ট্রাফিক পুলিশ। অভিমান করে বাড়ি ছেড়ে চলে আসা মেয়েকে পেয়ে খুশিতে আত্মহারা সানজিদার বাবা-মা।

এ বিষয়ে ট্রাফিক-মহাখালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ বলেন, রোববার সকাল ১০ টার দিকে মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকার সামনে মেয়েটিকে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সেখানে উপস্থিত লোকজন মেয়েটিকে বাসে তুলে দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় একজন পথচারী দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. ইকরামুল আলমকে জানান। তিনি তখন মেয়েটিকে মহাখালী ট্রাফিক জোন অফিসে নিয়ে আসেন।

উদ্বারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আশফাক আহমেদ জানান, মেয়েটির নাম সানজিদা আক্তার রিমি। বয়স ১৩ বছর। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তার বাড়ি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানায়। গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বিভিন্ন কারণে বাবা-মার সাথে সে অভিমান করে। পরের দিন ভোর সাড়ে ৫টায় সে একা চন্দ্রা মোড় থেকে মহাখালী বাস টার্মিনালের বাসে করে প্রথমবারের মতো ঢাকা শহরে চলে আসে। মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় নেমে ভীত হয়ে পড়ে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পরবর্তীতে তার কাছ থেকে মোবাইল নম্বর নিয়ে তার বাবা-মার সাথে যোগাযোগ করা হয়। মেয়ের খোঁজ পেয়ে তারা তড়িঘড়ি করে নিজ বাড়ি থেকে ঢাকায় আসেন।

সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ আরও বলেন, তার বাবা-মা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আসার আগ পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন উৎসাহমূলক এবং মোটিভেশনাল কথাবার্তা বলা হয় যাতে সে স্বাভাবিক হতে পারে এবং খুশিমনে বাবা-মার সাথে ফিরে যেতে পারে। তার বাবা-মা ঢাকায় পৌঁছানোর পর মহাখালী ট্রাফিক জোন অফিসে আসেন এবং তাদের মেয়েকে সুস্থ -স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

সহকারী পুলিশ কমিশনার আশফাক আহমেদ বলেন, বাবা-মা এবং সন্তানের মাঝে যেন বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে এবং এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সে ব্যাপারে তাদেরকে কাউন্সেলিং করা হয়।

মেয়েটির বাবা-মা তাদের মেয়েকে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস টার্মিনাল মহাখালী থেকে অক্ষত এবং সুস্থ অবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় ফিরে পাওয়ায় মহাখালী ট্রাফিক জোনের পুলিশ সদস্যদের সকলের প্রতি তিনি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানান এবং বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জানান।