শিক্ষিকা হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৭:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • / 195
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কপালে টিপ পরা নিয়ে এক শিক্ষিকাকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের কনস্টেবল নাজমুল তারেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

এর আগে গত শনিবার (২ এপ্রিল) কপালে টিপ পরে হেঁটে যাওয়ার সময় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হয়েছেন বলে রোববার (৩ এপ্রিল) শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার।

অভিযোগে লতা সমাদ্দার জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা থেকে রিকশায় ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমার সামনে আসেন। সেখান থেকে পায়ে হেঁটেই নিজ কর্মস্থল তেজগাঁও কলেজে যাচ্ছিলেন। হাটতে হাটতে সেজান পয়েন্টের সামনে পর্যন্ত আসার পর একটি থেমে থাকা মোটরসাইকেলের উপর পুলিশের পোশাক পরিহিত বসে থাকা এক ব্যক্তি তার কপালে টিপ পরা নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তার বাজে মন্তব্য নিয়ে ঐ নারী প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন পুলিশের পোশাক পরিহিত ঐ ব্যক্তি। তাকে উদ্দেশ্য করে ‘টিপ পরছোস কেন’ মন্তব্য করেন ওই ব্যক্তি। এক পর্যায়ে পুলিশের ওই সদস্য মোটরসাইকেল চালিয়ে তার গায়ের উপর উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে জানান ভুক্তোভুগী ঐ নারী।

এই ঘটনায় জাতীয় সংসদেও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সুবর্ণা মুস্তাফা। সংসদে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের কোন সংবিধানে বা কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না? এখানে হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এমনকি সে বিবাহিত না বিধবা সেটা বিষয় নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিক্ষিকা হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ বরখাস্ত

আপডেট : ০৭:৩০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কপালে টিপ পরা নিয়ে এক শিক্ষিকাকে হেনস্তার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশের কনস্টেবল নাজমুল তারেককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম।

এর আগে গত শনিবার (২ এপ্রিল) কপালে টিপ পরে হেঁটে যাওয়ার সময় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হয়েছেন বলে রোববার (৩ এপ্রিল) শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দার।

অভিযোগে লতা সমাদ্দার জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা থেকে রিকশায় ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমার সামনে আসেন। সেখান থেকে পায়ে হেঁটেই নিজ কর্মস্থল তেজগাঁও কলেজে যাচ্ছিলেন। হাটতে হাটতে সেজান পয়েন্টের সামনে পর্যন্ত আসার পর একটি থেমে থাকা মোটরসাইকেলের উপর পুলিশের পোশাক পরিহিত বসে থাকা এক ব্যক্তি তার কপালে টিপ পরা নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তার বাজে মন্তব্য নিয়ে ঐ নারী প্রতিবাদ করলে এক পর্যায়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন পুলিশের পোশাক পরিহিত ঐ ব্যক্তি। তাকে উদ্দেশ্য করে ‘টিপ পরছোস কেন’ মন্তব্য করেন ওই ব্যক্তি। এক পর্যায়ে পুলিশের ওই সদস্য মোটরসাইকেল চালিয়ে তার গায়ের উপর উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগে জানান ভুক্তোভুগী ঐ নারী।

এই ঘটনায় জাতীয় সংসদেও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সুবর্ণা মুস্তাফা। সংসদে তিনি সকলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশের কোন সংবিধানে বা কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না? এখানে হিন্দু-মুসলমান, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এমনকি সে বিবাহিত না বিধবা সেটা বিষয় নয়।