বান্দরবানে ডায়রিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:১৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
  • / 192

সংগৃহীত ছবি

::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় দুর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত সাত দিনে ডায়রিয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ জনে।

বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান সেভেন ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া আশঙ্কাজনক আরো তিনজনকে বুধবার দুপুরে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তারা হলেন- আংচং ম্রো (৭০), মেনলে ম্রো (৫) ও রেপং ম্রো (১৫)।

পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারে করে ওষুধ ও বিশুদ্ধ খাবার পানি পৌঁছে দেয় এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানে সেখানে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে।

কুরুকপাতা ইউপির (৫ নং ওয়ার্ড) সদস্য কাইংক্য ম্রো জানান, সকালে মাংরুং পাড়ায় কাইকেউ ম্রো (১৮) নামের আরো একজন মারা যায়। এর আগে বুধবার আরো দুজন মারা যায়। আক্রান্ত এখনো ২০০ জনের মতো রয়েছে। সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

বান্দরবান সেভেন ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মোট ১১ জন মারা গেছে। আশঙ্কাজনক ৩ জনকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হয়েছে। সদর হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী যে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর যেকোনো বিপদে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে আসছে, এটি তারই একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ। সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ সব জাতি ও ধর্মের মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে সর্বদা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে জেলার থানচি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তের পাতওয়া ম্রো পাড়ায় ১৬টি পরিবারের মধ্যে ৯ থেকে ১০ পরিবারের সব সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং সেখানে পাঠানো হয় মেডিকেল টিম। এরপর সেখানে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বান্দরবানে ডায়রিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

আপডেট : ১১:১৩:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন ২০২১
::যুগের কন্ঠ ডেস্ক::
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় দুর্গম কুরুকপাতা ইউনিয়নে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত সাত দিনে ডায়রিয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ জনে।

বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান সেভেন ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ছাড়া আশঙ্কাজনক আরো তিনজনকে বুধবার দুপুরে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তারা হলেন- আংচং ম্রো (৭০), মেনলে ম্রো (৫) ও রেপং ম্রো (১৫)।

পরে খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারে করে ওষুধ ও বিশুদ্ধ খাবার পানি পৌঁছে দেয় এবং আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানে সেখানে একটি ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করে।

কুরুকপাতা ইউপির (৫ নং ওয়ার্ড) সদস্য কাইংক্য ম্রো জানান, সকালে মাংরুং পাড়ায় কাইকেউ ম্রো (১৮) নামের আরো একজন মারা যায়। এর আগে বুধবার আরো দুজন মারা যায়। আক্রান্ত এখনো ২০০ জনের মতো রয়েছে। সেনাবাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

বান্দরবান সেভেন ফিল্ড অ্যাম্বুলেন্সের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মোট ১১ জন মারা গেছে। আশঙ্কাজনক ৩ জনকে হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হয়েছে। সদর হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হবে।

তিনি জানান, সেনাবাহিনী যে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সব ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর যেকোনো বিপদে তাদের সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে আসছে, এটি তারই একটি দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ। সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ সব জাতি ও ধর্মের মানুষের যেকোনো প্রয়োজনে সর্বদা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে জেলার থানচি উপজেলার মিয়ানমার সীমান্তের পাতওয়া ম্রো পাড়ায় ১৬টি পরিবারের মধ্যে ৯ থেকে ১০ পরিবারের সব সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় এবং সেখানে পাঠানো হয় মেডিকেল টিম। এরপর সেখানে ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়।