জলাবদ্ধতা থেকে দেলপাড়াবাসীর মুক্তি মিলবে কবে?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:৫১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১
  • / 420

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

মাসের পর মাস, বছরের পর বছর জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন নারায়নগঞ্জ জেলার কতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়াবাসী। সেখানে অল্প বৃষ্টিতেই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয় ফলে ভোগান্তিতে পড়েন এলাকার সাধারণ মানুষ। আজ মঙ্গলবার ছিলো তেমনি একটি দিন। কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার শিকার হয় এলাকাবাসীর সবধরনের চলাচল বন্ধ হয়ে নাভিশ্বাস ওঠে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, র্দীঘ এক যুগের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও পানি নিষ্কাষণের কোন উদ্যোগনেওয়া হয়নি।এসময রাস্তায় পানি জমে সেটি নদীর রুপ নেয়। তবে নির্বাচন আসার আগ মূহুর্তে প্রার্থীরা বরাবরই আশ^াস দেন জনস্বার্থে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করে দেবেন। এরপর নির্বাচন যায় কিন্তু রাস্তাটির কোন সংস্কার হয় না।এমনকি এলাকাবাসীর দুঃখ বেদনা দেখতেও এলাকায় পা রাখেন না কোন জনপ্রতিনিধি।


এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মানর খান ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমাদেরকে স্থানীয় জনপ্রতিধিরা কোন মূল্যায়ন করে না। আমরা আছি না-কি মরে গেছি তাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কিছু যায় আসে না। তাদের একমাত্র প্রয়োজন ভোটের, আর সে বৈতরণী পার হয়ে গেলেই তারা সব ভুলে যান। প্রতিশ্রুতি পাশে ফেলে রেখে আমাদের চাওয়া পাওয়াকে টুটি চেপে ধরেন।


তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নের অনেক সড়ক নির্মান এবং সংস্কার হলেও বাজার সংলগ্ন এই রোডটির ভাগ্যে উন্নয়ন জোটেনি।
এই বিষয়ে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জামান মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তার কাছে রাস্তাটির ভাগ্য এবং পরিবর্তনের কোন সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, এই সড়কটি সর্ম্পকে আমি কিছুই জানতাম না। আপনি বলেছেন তাই অবগত হয়েছি। কিছুদিন আগেও স্থানীয় মন্ত্রনালয় থেকে আমাকে ফোন দিয়ে রাস্তাটির বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়।অতিদ্রুত আমরা সড়কটি সংস্কার বা পুননির্মানের বিষয়ে উদ্যোগ নেব।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি কয়েক মাস হলো এখানকার দায়িত্ব নিয়েছি। আপনার কাছ থেকে শুনলাম তাই সড়কটি উন্নয়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

এই বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জলাবদ্ধতা থেকে দেলপাড়াবাসীর মুক্তি মিলবে কবে?

আপডেট : ০২:৫১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুন ২০২১

::নিজস্ব প্রতিবেদক::

মাসের পর মাস, বছরের পর বছর জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন নারায়নগঞ্জ জেলার কতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়াবাসী। সেখানে অল্প বৃষ্টিতেই জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয় ফলে ভোগান্তিতে পড়েন এলাকার সাধারণ মানুষ। আজ মঙ্গলবার ছিলো তেমনি একটি দিন। কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার শিকার হয় এলাকাবাসীর সবধরনের চলাচল বন্ধ হয়ে নাভিশ্বাস ওঠে।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, র্দীঘ এক যুগের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও পানি নিষ্কাষণের কোন উদ্যোগনেওয়া হয়নি।এসময রাস্তায় পানি জমে সেটি নদীর রুপ নেয়। তবে নির্বাচন আসার আগ মূহুর্তে প্রার্থীরা বরাবরই আশ^াস দেন জনস্বার্থে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচল উপযোগী করে দেবেন। এরপর নির্বাচন যায় কিন্তু রাস্তাটির কোন সংস্কার হয় না।এমনকি এলাকাবাসীর দুঃখ বেদনা দেখতেও এলাকায় পা রাখেন না কোন জনপ্রতিনিধি।


এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মানর খান ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমাদেরকে স্থানীয় জনপ্রতিধিরা কোন মূল্যায়ন করে না। আমরা আছি না-কি মরে গেছি তাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কিছু যায় আসে না। তাদের একমাত্র প্রয়োজন ভোটের, আর সে বৈতরণী পার হয়ে গেলেই তারা সব ভুলে যান। প্রতিশ্রুতি পাশে ফেলে রেখে আমাদের চাওয়া পাওয়াকে টুটি চেপে ধরেন।


তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নের অনেক সড়ক নির্মান এবং সংস্কার হলেও বাজার সংলগ্ন এই রোডটির ভাগ্যে উন্নয়ন জোটেনি।
এই বিষয়ে স্থানীয় ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জামান মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তার কাছে রাস্তাটির ভাগ্য এবং পরিবর্তনের কোন সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, এই সড়কটি সর্ম্পকে আমি কিছুই জানতাম না। আপনি বলেছেন তাই অবগত হয়েছি। কিছুদিন আগেও স্থানীয় মন্ত্রনালয় থেকে আমাকে ফোন দিয়ে রাস্তাটির বিষয়ে খোঁজ নিতে বলা হয়।অতিদ্রুত আমরা সড়কটি সংস্কার বা পুননির্মানের বিষয়ে উদ্যোগ নেব।

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি কয়েক মাস হলো এখানকার দায়িত্ব নিয়েছি। আপনার কাছ থেকে শুনলাম তাই সড়কটি উন্নয়নের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

এই বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।