ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর আদালতের সাবেক এক বিচারককে হাইকোর্টে তলব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
  • / 98
চাঁদপুরের তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরে আলমকে (বর্তমানে বাগেরহাটের নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক) তলব করেছেন হাইকোর্ট। একটি হত্যা মামলার জবানবন্দি রেকর্ড করাকে কেন্দ্র করে তাকে আগামী ২২ নভেম্বর সকালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে কিশোর আসামির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রিমি নাহরিন।

এর আগে ১৪ মার্চ হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ১৬ বছর বয়সী আসামিকে নির্যাতনের কথা জেনেও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করায় বিচারক মো. নূরে আলমের কাছে ব্যাখ্যা চান। আদালতের আদেশে বিচারক ব্যাখ্যা দাখিল করেন। এরপর আজ কিশোর আসামির জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির শুনানিকালে বিচারকের ওই ব্যাখ্যা হাইকোর্টের নজরে আসে। তার ব্যাখ্যা আদালতের কাছে সন্তোষজনক মনে না হওয়ায় তাকে তলব করা হয়েছে।

মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, দামি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে তার বন্ধু ও স্বজনরা হত্যা করে। ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত রানার ভাই। ওই মামলার পর তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। যারা প্রত্যেকেই স্বীকার করেন যে, তারাই মোবাইলের জন্য সোহেলকে খুন করেছেন।

পরে এ মামলায় মূল আসামি কিশোর ফরহাদ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে আসে। জামিন শুনানির সময় দেখা যায়, ফরহাদের বয়স ১৬ বছর। কিন্তু চার্জশিটে তার বয়স ১৯ বছরদেয়া হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চাঁদপুর আদালতের সাবেক এক বিচারককে হাইকোর্টে তলব

আপডেট : ১১:০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর ২০২১
চাঁদপুরের তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরে আলমকে (বর্তমানে বাগেরহাটের নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক) তলব করেছেন হাইকোর্ট। একটি হত্যা মামলার জবানবন্দি রেকর্ড করাকে কেন্দ্র করে তাকে আগামী ২২ নভেম্বর সকালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিচারপতি আব্দুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে কিশোর আসামির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রিমি নাহরিন।

এর আগে ১৪ মার্চ হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ১৬ বছর বয়সী আসামিকে নির্যাতনের কথা জেনেও পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করায় বিচারক মো. নূরে আলমের কাছে ব্যাখ্যা চান। আদালতের আদেশে বিচারক ব্যাখ্যা দাখিল করেন। এরপর আজ কিশোর আসামির জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির শুনানিকালে বিচারকের ওই ব্যাখ্যা হাইকোর্টের নজরে আসে। তার ব্যাখ্যা আদালতের কাছে সন্তোষজনক মনে না হওয়ায় তাকে তলব করা হয়েছে।

মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, দামি মোবাইল ফোনকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের শিক্ষার্থী সোহেল রানাকে তার বন্ধু ও স্বজনরা হত্যা করে। ২০১৯ সালের ১৯ আগস্ট এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নিহত রানার ভাই। ওই মামলার পর তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। যারা প্রত্যেকেই স্বীকার করেন যে, তারাই মোবাইলের জন্য সোহেলকে খুন করেছেন।

পরে এ মামলায় মূল আসামি কিশোর ফরহাদ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে আসে। জামিন শুনানির সময় দেখা যায়, ফরহাদের বয়স ১৬ বছর। কিন্তু চার্জশিটে তার বয়স ১৯ বছরদেয়া হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত।