ঢাকা ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:১৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 149
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে সপরিবারে হত্যা, হত্যার ষড়যন্ত্র, ছবি ভাঙচুর এবং কটূক্তি করার অভিযোগ এনে সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি’র বিরুদ্ধে পটুয়াখালী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বাউফল উপজেলার বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল হক বাদী হয়ে পটুয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেনের বাউফল আদালতে (২য় আমলি) মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আদেশের জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে বসে গত ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতা ঝাটা লাগিয়ে আনন্দ মিছিল করেছি। তাতেই কিছু হয়নি, আর বাউফল আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা যারা আমার বিরুদ্ধ করে, তাদের ডজন খানেক খুন করলেও আমার (আ স ম ফিরোজ) কোনো ক্ষতি হবে না।

ওইদিন বাদী সেখানে উপস্থিত থেকে এই কথা শুনে শিওরে ওঠেন এবং পরবর্তীতে তিনি ৭৫ সালের সেই ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন বলে জানান। এরপর গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাউফল থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার খবরে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। আনন্দ মিছিলটি তৎকালীন আওয়ামী লীগ অফিস অশ্বীনি কুমার টাউন হলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে তাতে জুতা ও ঝাটার মালা পরিয়ে আনন্দ মিছিল করে। এরপর বিভিন্ন অফিসে গিয়েও একইভাবে ভাঙচুর চালানো হয়।

এই মামলায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ১৭৭৫ সালের বরিশাল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজীসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট : ০২:১৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালে সপরিবারে হত্যা, হত্যার ষড়যন্ত্র, ছবি ভাঙচুর এবং কটূক্তি করার অভিযোগ এনে সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এমপি’র বিরুদ্ধে পটুয়াখালী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বাউফল উপজেলার বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল হক বাদী হয়ে পটুয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেনের বাউফল আদালতে (২য় আমলি) মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আদেশের জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

মামলার আর্জিতে বলা হয়, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে বসে গত ৯ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতা ঝাটা লাগিয়ে আনন্দ মিছিল করেছি। তাতেই কিছু হয়নি, আর বাউফল আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা যারা আমার বিরুদ্ধ করে, তাদের ডজন খানেক খুন করলেও আমার (আ স ম ফিরোজ) কোনো ক্ষতি হবে না।

ওইদিন বাদী সেখানে উপস্থিত থেকে এই কথা শুনে শিওরে ওঠেন এবং পরবর্তীতে তিনি ৭৫ সালের সেই ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন বলে জানান। এরপর গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাউফল থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৮টায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার খবরে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। আনন্দ মিছিলটি তৎকালীন আওয়ামী লীগ অফিস অশ্বীনি কুমার টাউন হলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে তাতে জুতা ও ঝাটার মালা পরিয়ে আনন্দ মিছিল করে। এরপর বিভিন্ন অফিসে গিয়েও একইভাবে ভাঙচুর চালানো হয়।

এই মামলায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ১৭৭৫ সালের বরিশাল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজীসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।