ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদাবাজি বন্ধে জবির ‘টিএসসি’ বন্ধ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:২১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২২
  • / 218

চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য জবির ‘টিএসসি’ বন্ধ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সাধারণের হয়রানীর কথা চিন্তাকরে টিএসসির সকল দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছে তারা। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ আসায় এই টি এস সি বন্ধকরা হয় বলে জানান জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি।

তিনি বলেন, ‘দোকানের জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের আড্ডার জন্য পার্কের মতো ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার্থীদের খাওয়ার ব্যবস্থারজন্য ক্যাম্পাসে ক্যান্টিনের পাশাপাশি নতুন করে ফুডকোড বা খাবারের দোকান খোলা হবে।’

রবিবার (৯ জানুয়ারি) সরজমিনে দেখা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী টিএসসির সকলদোকান বন্ধ রয়েছে এবং মুষ্টিমেয় ছাত্রছাত্রী টিএসসিতে আড্ডা দিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজ সকালে চা খেতে এসে দেখি টিএসসির সকল দোকান বন্ধ।ক্যান্টিনে নিয়মিতজায়গা না পাওয়ায় আমরা সাধারনত টি এস সিতে চা নাস্তা, ভাত খেয়ে থাকি। যাম্পাসে আসপাশে রায় সাহেব বাজার আরসদরঘাট যাওয়া ছাড়া চায়ের দোকান নেই। আজ হঠাৎ এটা কেন বন্ধ বুঝলাম না।’

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, নতুন কমিটি গঠনের পরই শাখা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে টিএসসি ও এর আশেপাশের দোকান থেকেচাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে। কিন্তু তারা কেও ছাত্রলীগের কর্মী না। ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয়ে বিভিন্ন লোক টিএসসিতে চাঁদাবাজিকরে থাকে। যার কারণে ছাত্রলীগের দূর্নাম হয়।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, টিএসসি বন্ধ হওয়ায় এখন আর কোন চাঁদাবাজি হবেনা। জগন্নাথ ছাত্রলীগে কোন চাঁদাবাজ বা নেশাগ্রস্থদের জায়গা হবে না। আমরা এখানে সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্যমনোরম পরিবেশে বসার ব্যবস্থা করব।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোর মোস্তফা কামাল বলেন,আমরা এই বিষয়ে কিছু জানিনা। এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে না, এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এখতিয়ার নেই।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চাঁদাবাজি বন্ধে জবির ‘টিএসসি’ বন্ধ

আপডেট : ০১:২১:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২২

চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য জবির ‘টিএসসি’ বন্ধ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। সাধারণের হয়রানীর কথা চিন্তাকরে টিএসসির সকল দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছে তারা। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ আসায় এই টি এস সি বন্ধকরা হয় বলে জানান জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি।

তিনি বলেন, ‘দোকানের জায়গায় ছাত্রছাত্রীদের আড্ডার জন্য পার্কের মতো ব্যবস্থা করা হবে। শিক্ষার্থীদের খাওয়ার ব্যবস্থারজন্য ক্যাম্পাসে ক্যান্টিনের পাশাপাশি নতুন করে ফুডকোড বা খাবারের দোকান খোলা হবে।’

রবিবার (৯ জানুয়ারি) সরজমিনে দেখা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী টিএসসির সকলদোকান বন্ধ রয়েছে এবং মুষ্টিমেয় ছাত্রছাত্রী টিএসসিতে আড্ডা দিচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘আজ সকালে চা খেতে এসে দেখি টিএসসির সকল দোকান বন্ধ।ক্যান্টিনে নিয়মিতজায়গা না পাওয়ায় আমরা সাধারনত টি এস সিতে চা নাস্তা, ভাত খেয়ে থাকি। যাম্পাসে আসপাশে রায় সাহেব বাজার আরসদরঘাট যাওয়া ছাড়া চায়ের দোকান নেই। আজ হঠাৎ এটা কেন বন্ধ বুঝলাম না।’

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, নতুন কমিটি গঠনের পরই শাখা ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে টিএসসি ও এর আশেপাশের দোকান থেকেচাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে। কিন্তু তারা কেও ছাত্রলীগের কর্মী না। ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয়ে বিভিন্ন লোক টিএসসিতে চাঁদাবাজিকরে থাকে। যার কারণে ছাত্রলীগের দূর্নাম হয়।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, টিএসসি বন্ধ হওয়ায় এখন আর কোন চাঁদাবাজি হবেনা। জগন্নাথ ছাত্রলীগে কোন চাঁদাবাজ বা নেশাগ্রস্থদের জায়গা হবে না। আমরা এখানে সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্যমনোরম পরিবেশে বসার ব্যবস্থা করব।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোর মোস্তফা কামাল বলেন,আমরা এই বিষয়ে কিছু জানিনা। এটা তো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে না, এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন এখতিয়ার নেই।