ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাভার্ডভ্যান থেকে গার্মেন্টস পণ্য চুরি, গ্রেপ্তার ৫

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৪৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 130
দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান গার্মেন্টস খাতের। কিন্তু রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য চুরির কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে একটি চক্র। চক্রটি রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কৌশলে কাভার্ড ভ্যানের কার্টুন থেকে ৩০-৩৫ শতাংশ পণ্য চুরি করে।

এরপর কার্টুনগুলো হুবহু আগের অবস্থায় রাখে এবং গাড়িরচালক গাড়িটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দেয়। এই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের একটি টিম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মো. সবুজ, মো. মোতাহার হোসেন, মো. হানিফ, মো. নজরুল ইসলাম ও মো. আবুল কাশেম।

শনিবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা ও মিরপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি কাভার্ড ভ্যান ও ৮ হাজার পিস গার্মেন্টস পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, সম্প্রতি মানতা অ্যাপ্যারেলস লি. (এনভয় গ্রুপ) এর কাভার্ড ভ্যানে থাকা ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ৮ হাজার ৫৩ পিস জিন্স মেনস লং প্যান্ট ড্রাইভার ও হেলপারের সহযোগিতায় চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা ও মিরপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কৌশলে কাভার্ড ভ্যানের কার্টুন থেকে ৩০-৩৫ শতাংশ পণ্য চুরি করে। এরপর চক্রটি কার্টুনগুলো হুবহু আগের অবস্থায় রাখে এবং গাড়িচালক গাড়িটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দেয়।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, সংঘবদ্ধ চোর চক্রটি প্রতিদিন একাধিক রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান থেকে ড্রাইভার ও গাড়ির মালিকের যোগসাজসে কৌশলে কার্টুন থেকে পণ্য চুরি করে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে গার্মেন্টস খাত। রপ্তানি আয়ের মূল খাত এই গার্মেন্টস ব্যবসার উপর দেশের প্রায় ২ কোটি লোকের জীবিকা নির্ভর করে। সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য চুরির কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি মালিক পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।

রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য চুরির সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাভার্ডভ্যান থেকে গার্মেন্টস পণ্য চুরি, গ্রেপ্তার ৫

আপডেট : ১১:৪৯:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান গার্মেন্টস খাতের। কিন্তু রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য চুরির কারণে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে একটি চক্র। চক্রটি রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কৌশলে কাভার্ড ভ্যানের কার্টুন থেকে ৩০-৩৫ শতাংশ পণ্য চুরি করে।

এরপর কার্টুনগুলো হুবহু আগের অবস্থায় রাখে এবং গাড়িরচালক গাড়িটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দেয়। এই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের একটি টিম।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, মো. সবুজ, মো. মোতাহার হোসেন, মো. হানিফ, মো. নজরুল ইসলাম ও মো. আবুল কাশেম।

শনিবার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা ও মিরপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি কাভার্ড ভ্যান ও ৮ হাজার পিস গার্মেন্টস পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ সব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

তিনি বলেন, সম্প্রতি মানতা অ্যাপ্যারেলস লি. (এনভয় গ্রুপ) এর কাভার্ড ভ্যানে থাকা ৬০ লাখ টাকা মূল্যের ৮ হাজার ৫৩ পিস জিন্স মেনস লং প্যান্ট ড্রাইভার ও হেলপারের সহযোগিতায় চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা হয়। মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগ।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা ও মিরপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম বন্দরে যাওয়ার পথে কৌশলে কাভার্ড ভ্যানের কার্টুন থেকে ৩০-৩৫ শতাংশ পণ্য চুরি করে। এরপর চক্রটি কার্টুনগুলো হুবহু আগের অবস্থায় রাখে এবং গাড়িচালক গাড়িটি নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দেয়।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, সংঘবদ্ধ চোর চক্রটি প্রতিদিন একাধিক রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান থেকে ড্রাইভার ও গাড়ির মালিকের যোগসাজসে কৌশলে কার্টুন থেকে পণ্য চুরি করে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় অবদান রাখছে গার্মেন্টস খাত। রপ্তানি আয়ের মূল খাত এই গার্মেন্টস ব্যবসার উপর দেশের প্রায় ২ কোটি লোকের জীবিকা নির্ভর করে। সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য চুরির কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি মালিক পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।

রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস পণ্য চুরির সঙ্গে জড়িত অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।