ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টের ভুয়া বেঞ্চ অফিসার পরিচয়ে প্রতারণা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:২০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 155
সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতো মো. রাশেদুল ইসলাম নামের এক প্রতারক। এই পরিচয়ে যাত্রাবাড়ীতে অফিসও নেন তিনি।

এরপর সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন অফিসারের সঙ্গে তার হাত রয়েছে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ (এনএসআই) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি, আসামীদের জামিন অথবা খালাসসহ কোর্টের যাবতীয় কাজে পারদর্শী হিসেবে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমান টাকা।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানার মীরহাজিরবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।

তিনি বলেন, মো. রাশেদুল ইসলাম নিজের নাম ব্যবহার করে বেঞ্চ অফিসারের ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে যাত্রাবাড়ীতে অফিস ভাড়া করে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছে। কখনও নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবার কখনও খুলনা ল‘কলেজের সাবেক ভিপি পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতো।

ইমাম হোসাইন বলেন, বেঞ্চ অফিসার হিসাবে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন অফিসারের সঙ্গে তার হাত রয়েছে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ (এনএসআই) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি, আসামীদের জামিন অথবা খালাসসহ কোর্টের যাবতীয় কাজে পারদর্শী হিসেবে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতেন।

এছাড়াও গান লাইসেন্স করিয়ে দেয়া, পাওনাদারের টাকা উদ্ধার করে দেয়া ইত্যাদি নানা কাজের বিনিময়ে কমিশন হিসাবে টাকা নিত রাশেদুল।

এমন প্রতারণার ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৮ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রতারণা করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য পায় সিআইডি।

সিআইডির ডিআইজি বলেন, এই বাকপটু প্রতারক বিভিন্ন অফিসের উচ্চপদস্থ অফিসারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক আছে বিশ্বাস জন্মিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলো।

এসময় তার কাছ থেকে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ অফিসার পরিচয়ে ৪টি ভিজিটিং কার্ড, একেএম জহিরুল হকের নামে ২ লাখ টাকা প্রদানের নিমিত্তে ওয়ান ব্যাংকের একটি চেক ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

এছাড়া তার কাছ থেকে জব্দকৃত মোবাইলে ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন কথাবার্তার অনেক অডিও মেসেজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান ইমাম হোসাইন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

হাইকোর্টের ভুয়া বেঞ্চ অফিসার পরিচয়ে প্রতারণা

আপডেট : ০২:২০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২
সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ অফিসার হিসেবে পরিচয় দিতো মো. রাশেদুল ইসলাম নামের এক প্রতারক। এই পরিচয়ে যাত্রাবাড়ীতে অফিসও নেন তিনি।

এরপর সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন অফিসারের সঙ্গে তার হাত রয়েছে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ (এনএসআই) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি, আসামীদের জামিন অথবা খালাসসহ কোর্টের যাবতীয় কাজে পারদর্শী হিসেবে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমান টাকা।

এসব অভিযোগের ভিত্তিতে এই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানার মীরহাজিরবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।

তিনি বলেন, মো. রাশেদুল ইসলাম নিজের নাম ব্যবহার করে বেঞ্চ অফিসারের ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে যাত্রাবাড়ীতে অফিস ভাড়া করে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছে। কখনও নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবার কখনও খুলনা ল‘কলেজের সাবেক ভিপি পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করতো।

ইমাম হোসাইন বলেন, বেঞ্চ অফিসার হিসাবে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন অফিসারের সঙ্গে তার হাত রয়েছে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাসহ (এনএসআই) বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি, আসামীদের জামিন অথবা খালাসসহ কোর্টের যাবতীয় কাজে পারদর্শী হিসেবে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমান টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতেন।

এছাড়াও গান লাইসেন্স করিয়ে দেয়া, পাওনাদারের টাকা উদ্ধার করে দেয়া ইত্যাদি নানা কাজের বিনিময়ে কমিশন হিসাবে টাকা নিত রাশেদুল।

এমন প্রতারণার ঘটনায় তাৎক্ষণিক ৮ জন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রতারণা করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার তথ্য পায় সিআইডি।

সিআইডির ডিআইজি বলেন, এই বাকপটু প্রতারক বিভিন্ন অফিসের উচ্চপদস্থ অফিসারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক আছে বিশ্বাস জন্মিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলো।

এসময় তার কাছ থেকে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের বেঞ্চ অফিসার পরিচয়ে ৪টি ভিজিটিং কার্ড, একেএম জহিরুল হকের নামে ২ লাখ টাকা প্রদানের নিমিত্তে ওয়ান ব্যাংকের একটি চেক ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

এছাড়া তার কাছ থেকে জব্দকৃত মোবাইলে ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন কথাবার্তার অনেক অডিও মেসেজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান ইমাম হোসাইন।