ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কর ফাঁকি: ড. ইউনূসের মামলার শুনানি শুরু ৩০ জুলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৭:১২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / 161
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঁচ বছরে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি ও ইনকাম ট্যাক্স সংক্রান্ত ১৩ মামলার শুনানি শুরু ৩০ জুলাই। একই সঙ্গে ১৬ আগস্ট ও ২০ আগস্টও এ মামলাগুলোর শুনানি হবে।

রোববার সকালে বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল শুনানির এ দিন ধার্য করেন। এর আগে ৬ জুন নতুন এই বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন দ্রুত শুনানির আবেদন করেন তবে আদালত শুনানির জন্য নির্দিষ্ট শিডিউল দেখে এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

গত ৫ জুন বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ জানান কনিষ্ঠ বিচারপতি এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছিলেন কাজেই তারা এটি শুনতে পারবেন না। পরে নথি পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।

গত ৭ মে হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০১২-১৭ এ পাঁচ বছরে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে, ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১শ’ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে-সরকারের পাওনা অর্থগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণ ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গ্রামীণ কল্যাণের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে সরকারের পাওনা ২১৫ কোটি টাকা।

ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত ও তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের করসংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠিও দিয়েছিল দুদক। পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দপ্তরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কর ফাঁকি: ড. ইউনূসের মামলার শুনানি শুরু ৩০ জুলাই

আপডেট : ০৭:১২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঁচ বছরে প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি ও ইনকাম ট্যাক্স সংক্রান্ত ১৩ মামলার শুনানি শুরু ৩০ জুলাই। একই সঙ্গে ১৬ আগস্ট ও ২০ আগস্টও এ মামলাগুলোর শুনানি হবে।

রোববার সকালে বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল শুনানির এ দিন ধার্য করেন। এর আগে ৬ জুন নতুন এই বেঞ্চ গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন দ্রুত শুনানির আবেদন করেন তবে আদালত শুনানির জন্য নির্দিষ্ট শিডিউল দেখে এ তারিখ নির্ধারণ করেন।

গত ৫ জুন বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ জানান কনিষ্ঠ বিচারপতি এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেছিলেন কাজেই তারা এটি শুনতে পারবেন না। পরে নথি পাঠানো হয় প্রধান বিচারপতির কাছে।

গত ৭ মে হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০১২-১৭ এ পাঁচ বছরে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে, ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ১১শ’ কোটি টাকার আয়কর রিটার্নের মামলা চালুর জন্য হাইকোর্টে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রাষ্ট্রপক্ষ বলছে-সরকারের পাওনা অর্থগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণ ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গ্রামীণ কল্যাণের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে সরকারের পাওনা ২১৫ কোটি টাকা।

ড. ইউনূসের ব্যক্তিগত ও তার প্রতিষ্ঠিত ৯টি প্রতিষ্ঠানের করসংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠিও দিয়েছিল দুদক। পরে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দপ্তরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেয়া হয়।