ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন দশক পেরিয়ে ‘চাঁদনী’ জুটি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩৫:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
  • / 187
দেশীয় চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় জুটি নাঈম-শাবনাজ চলচ্চিত্রে এখন আর অভিনয় না করলেও এই অঙ্গনের প্রতি এবং এই অঙ্গনের মানুষদের প্রতি রয়েছে এক অন্যরকম টান। যে টান তারা দু’জনই আত্মা দিয়ে অনুভব করেন। আর তাই প্রিয় প্রিয় সেইসব মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে একটি নির্দিষ্ট দিন তারা বেছে নিয়েছিলেন তাদের অভিনীত প্রথম সিনেমা এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’র রজত জয়ন্তী’তে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে।

১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর শুক্রবার মুক্তি পেয়েছিলো ‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রটি। সেই হিসেবে চলতি বছরের ৪ অক্টোবর ‘চাঁদনী’ ৩০ বছর পূর্ণ করেছে। রজত জয়ন্তীকে উপলক্ষ্য করেই শাবনাজ ও নাঈম উদ্যোগ নিয়েছিলেন ‘চাঁদনী সন্ধ্যা’র। কিন্তু তিন দশক পুর্তি উপলক্ষ্যে নাঈম-শাবনাজ করোনার কারণে ছোট্ট করে হলেও কোন আয়োজন করতে পারেননি। এ নিয়ে অবশ্য তাদের নিজেদেরও কিছুটা মন খারাপ। সারা বিশ্বেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে যাওয়াটাও যেন ঝুকিপূর্ণ।

তাই ‘চাঁদনী’ মুক্তির তিন দশক পুর্তিতে নিজেরাই ঘরে বসে সময় পার করেছেন। আবার গতকাল ছিলো তাদের বিবাহিত জীবনের ২৮ বছরে পদার্পণ। অনেকেই ‘চাঁদনী’র ত্রিশ বছর পুর্তি এবং বিবাহিত জীবনের ২৮ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে তাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানিয়েছেন।

‘চাঁদনী’র তিন দশক পুর্তি উপলক্ষ্যে নাঈম বলেন,‘দেখতে দেখতে জীবন থেকে আমাদের প্রথম সিনেমা মুক্তির এতোটা বছর পেরিয়ে গেছে তা ভাবতেই পারিনা। সময় এতো দ্রুত যায়, তা হিসেব করলেই অবাক হই। চাঁদনী’র নির্মাতা আমাদের গুরু এহতেশাম সাহেব আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আমরা দু’জনই তাকে প্রতিনিয়ত অনুভব করি। সত্যি বলতে কী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তার যে অবদান তা এড়িয়ে যাবার বা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। চাঁদনী’র তিন দশক পুর্তিতে তাই তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসীব করুন-আমীন। সেই সাথে আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন আমরা যেন ভালো থাকি, সুস্থ থাকি, আমাদের দুই কন্যা নামিরা ও মাহাদিয়া’কে নিয়ে যেন ভালো থাকতে পারি, তাদের যেন মানুষের মতো মানুষ করতে পারি।’

শাবনাজ বলেন,‘আমরা দু’জনই এখন আর কাজ না করলেও চলচ্চিত্রকে আমরা আমাদের পরিবারের মতোই মনে করি। এখানে একজনের সাফল্যে যেমন আনন্দিত হই, অনুরূপভাবে এখানে কারো কষ্ট দেখলে নিজের ভেতরও কষ্ট অনুভব করি সমানানুভুতি নিয়ে। কারণ আমি এবং নাইম দু’জনই এখানে এসে একে অপরের সান্নিধ্যে এসেছি। পরবর্তীতে দু’জন বিয়ে করি এবং এখনো আলহামদুলিল্লাহ সুখে আছি। চাঁদনী মুক্তির এতো বছর পরও এখনো দর্শক যেভাবে আমাদের স্মরণ করেন, শ্রদ্ধা করেন, ভালোবাসেন তাতে সত্যিই বিস্মিত হই। সব আসলে আল্লাহর অশেষ রহমত। সবাইকে আল্লাহ ভালো রাখুন।’

উল্লেখ্য, নাঈম এবং শাবনাজের অভিষেকের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে জুটি প্রথার নতুন এক ধারা শুরু হয়। ঢাকাই চলচ্চিত্রে এই জুটির অভিষেকের মধ্য দিয়ে আরেক রোমান্টিক জুটির সফল যাত্রা শুরু হয়। এরপর একে একে এই জুটি দর্শককে উপহার দেন ‘দিল’, ‘সোনিয়া’,‘চোখে চোখে’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘অনুতপ্ত’ ,‘টাকার অহংকার’, ‘সাক্ষাৎ’, ‘জিদ’, সহ আরো বেশকিছু চলচ্চিত্র। সর্বশেষ তারা দু’জন ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে জুটি হয়ে অভিনয় করেছিলেন। ছবি : মোহসীন আহমেদ কাওছার

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

তিন দশক পেরিয়ে ‘চাঁদনী’ জুটি

আপডেট : ০১:৩৫:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ অক্টোবর ২০২১
দেশীয় চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় জুটি নাঈম-শাবনাজ চলচ্চিত্রে এখন আর অভিনয় না করলেও এই অঙ্গনের প্রতি এবং এই অঙ্গনের মানুষদের প্রতি রয়েছে এক অন্যরকম টান। যে টান তারা দু’জনই আত্মা দিয়ে অনুভব করেন। আর তাই প্রিয় প্রিয় সেইসব মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে একটি নির্দিষ্ট দিন তারা বেছে নিয়েছিলেন তাদের অভিনীত প্রথম সিনেমা এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী’র রজত জয়ন্তী’তে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে।

১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর শুক্রবার মুক্তি পেয়েছিলো ‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রটি। সেই হিসেবে চলতি বছরের ৪ অক্টোবর ‘চাঁদনী’ ৩০ বছর পূর্ণ করেছে। রজত জয়ন্তীকে উপলক্ষ্য করেই শাবনাজ ও নাঈম উদ্যোগ নিয়েছিলেন ‘চাঁদনী সন্ধ্যা’র। কিন্তু তিন দশক পুর্তি উপলক্ষ্যে নাঈম-শাবনাজ করোনার কারণে ছোট্ট করে হলেও কোন আয়োজন করতে পারেননি। এ নিয়ে অবশ্য তাদের নিজেদেরও কিছুটা মন খারাপ। সারা বিশ্বেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবনে যাওয়াটাও যেন ঝুকিপূর্ণ।

তাই ‘চাঁদনী’ মুক্তির তিন দশক পুর্তিতে নিজেরাই ঘরে বসে সময় পার করেছেন। আবার গতকাল ছিলো তাদের বিবাহিত জীবনের ২৮ বছরে পদার্পণ। অনেকেই ‘চাঁদনী’র ত্রিশ বছর পুর্তি এবং বিবাহিত জীবনের ২৮ বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে তাদেরকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন জানিয়েছেন।

‘চাঁদনী’র তিন দশক পুর্তি উপলক্ষ্যে নাঈম বলেন,‘দেখতে দেখতে জীবন থেকে আমাদের প্রথম সিনেমা মুক্তির এতোটা বছর পেরিয়ে গেছে তা ভাবতেই পারিনা। সময় এতো দ্রুত যায়, তা হিসেব করলেই অবাক হই। চাঁদনী’র নির্মাতা আমাদের গুরু এহতেশাম সাহেব আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু আমরা দু’জনই তাকে প্রতিনিয়ত অনুভব করি। সত্যি বলতে কী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে তার যে অবদান তা এড়িয়ে যাবার বা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। চাঁদনী’র তিন দশক পুর্তিতে তাই তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসীব করুন-আমীন। সেই সাথে আমাদের জন্য সবাই দোয়া করবেন আমরা যেন ভালো থাকি, সুস্থ থাকি, আমাদের দুই কন্যা নামিরা ও মাহাদিয়া’কে নিয়ে যেন ভালো থাকতে পারি, তাদের যেন মানুষের মতো মানুষ করতে পারি।’

শাবনাজ বলেন,‘আমরা দু’জনই এখন আর কাজ না করলেও চলচ্চিত্রকে আমরা আমাদের পরিবারের মতোই মনে করি। এখানে একজনের সাফল্যে যেমন আনন্দিত হই, অনুরূপভাবে এখানে কারো কষ্ট দেখলে নিজের ভেতরও কষ্ট অনুভব করি সমানানুভুতি নিয়ে। কারণ আমি এবং নাইম দু’জনই এখানে এসে একে অপরের সান্নিধ্যে এসেছি। পরবর্তীতে দু’জন বিয়ে করি এবং এখনো আলহামদুলিল্লাহ সুখে আছি। চাঁদনী মুক্তির এতো বছর পরও এখনো দর্শক যেভাবে আমাদের স্মরণ করেন, শ্রদ্ধা করেন, ভালোবাসেন তাতে সত্যিই বিস্মিত হই। সব আসলে আল্লাহর অশেষ রহমত। সবাইকে আল্লাহ ভালো রাখুন।’

উল্লেখ্য, নাঈম এবং শাবনাজের অভিষেকের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে জুটি প্রথার নতুন এক ধারা শুরু হয়। ঢাকাই চলচ্চিত্রে এই জুটির অভিষেকের মধ্য দিয়ে আরেক রোমান্টিক জুটির সফল যাত্রা শুরু হয়। এরপর একে একে এই জুটি দর্শককে উপহার দেন ‘দিল’, ‘সোনিয়া’,‘চোখে চোখে’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘অনুতপ্ত’ ,‘টাকার অহংকার’, ‘সাক্ষাৎ’, ‘জিদ’, সহ আরো বেশকিছু চলচ্চিত্র। সর্বশেষ তারা দু’জন ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’ চলচ্চিত্রে জুটি হয়ে অভিনয় করেছিলেন। ছবি : মোহসীন আহমেদ কাওছার