ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্ত খুললো থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া: বিমানবন্দরে কান্না-আলিঙ্গন  

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৫০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ১ নভেম্বর ২০২১
  • / 92
থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েল ভ্রমণকারীদের জন্য তাদের আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার তারা এ সীমান্ত খুলে দেয়। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ ৬০টির বেশি থেকে ভ্যাকসিন নেয়া শত শত ভ্রমণকারীরা থাইল্যান্ডের রাজধানীতে পৌঁছেছেন। এ ভ্রমণকারীদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার অস্ট্রেলিয়া তাদের আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দেয়ার পর বিমানবন্দরে আবেগঘন দৃশ্য দেখা গেছে। করোনা মহামারির পর অনেক স্বজন একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে বিমানবন্দরে তারা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন; অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

 সিডনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৃষ্টি হয় আবেগঘন পরিবেশ।

কোভিড-১৯ এর কারণে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এ পরিস্থিতির মধ্যে থেকেছে দেশটি। সোমবার থেকে লাখ লাখ অস্ট্রেলীয়রা স্বাধীনভাবে ভ্রমনের সুযোগ পাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তাদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের পর কোনো অনুমতি নেয়া বা কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন পড়বে না।

আপাতত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এ অনুমতি কার্যকর হয়েছে। তবে শিগগিরই বিভিন্ন দেশের ভ্রমণকারীদের জন্যও অস্ট্রেলিয়ার দুয়ার খুলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকা অস্ট্রেলীয় বা তাদের স্বজনরা সোমবার সকালে সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস থেকে সিডনি বিমানবন্দরে নামেন। এ সময় স্বজনরা তাদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। সৃষ্টি হয় আবেগঘন এক পরিবেশ। তারা একে অন্যকে আলিঙ্গন করতে থাকেন; অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

বিমানের ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছেন খোদ বিমান পরিবহন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা এ যাত্রীদের অস্ট্রেলীয় ফুল ও চকোলেট বিস্কুট দিয়ে স্বাগত জানান।

দুই বছর দেশের বাইরে থেকে লস এঞ্জেলেস থেকে কুয়ান্টাস এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে সিডনিতে এসেছেন ইথান কার্টার। তিনি বলেন, ‘কিছুটা উদ্বিগ্ন ও উত্তেজিত; আমি আমার মাকে দেখতে দেশে এসেছি; কারণ তিনি অসুস্থ।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সীমান্ত খুললো থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া: বিমানবন্দরে কান্না-আলিঙ্গন  

আপডেট : ১১:৫০:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ১ নভেম্বর ২০২১
থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েল ভ্রমণকারীদের জন্য তাদের আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার তারা এ সীমান্ত খুলে দেয়। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ ৬০টির বেশি থেকে ভ্যাকসিন নেয়া শত শত ভ্রমণকারীরা থাইল্যান্ডের রাজধানীতে পৌঁছেছেন। এ ভ্রমণকারীদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার অস্ট্রেলিয়া তাদের আন্তর্জাতিক সীমান্ত খুলে দেয়ার পর বিমানবন্দরে আবেগঘন দৃশ্য দেখা গেছে। করোনা মহামারির পর অনেক স্বজন একে অন্যের থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিলেন। দীর্ঘদিন পর অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে বিমানবন্দরে তারা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন; অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

 সিডনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৃষ্টি হয় আবেগঘন পরিবেশ।

কোভিড-১৯ এর কারণে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে এ পরিস্থিতির মধ্যে থেকেছে দেশটি। সোমবার থেকে লাখ লাখ অস্ট্রেলীয়রা স্বাধীনভাবে ভ্রমনের সুযোগ পাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে তাদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের পর কোনো অনুমতি নেয়া বা কোয়ারেন্টিনে থাকার প্রয়োজন পড়বে না।

আপাতত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য এ অনুমতি কার্যকর হয়েছে। তবে শিগগিরই বিভিন্ন দেশের ভ্রমণকারীদের জন্যও অস্ট্রেলিয়ার দুয়ার খুলবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকা অস্ট্রেলীয় বা তাদের স্বজনরা সোমবার সকালে সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলস থেকে সিডনি বিমানবন্দরে নামেন। এ সময় স্বজনরা তাদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন। সৃষ্টি হয় আবেগঘন এক পরিবেশ। তারা একে অন্যকে আলিঙ্গন করতে থাকেন; অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

বিমানের ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছেন খোদ বিমান পরিবহন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা এ যাত্রীদের অস্ট্রেলীয় ফুল ও চকোলেট বিস্কুট দিয়ে স্বাগত জানান।

দুই বছর দেশের বাইরে থেকে লস এঞ্জেলেস থেকে কুয়ান্টাস এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে সিডনিতে এসেছেন ইথান কার্টার। তিনি বলেন, ‘কিছুটা উদ্বিগ্ন ও উত্তেজিত; আমি আমার মাকে দেখতে দেশে এসেছি; কারণ তিনি অসুস্থ।’