ঢাকা ১২:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাখমুত দখলের দাবি প্রিগোজিনের, অস্বীকার জেলেনস্কির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট : ০৮:১০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / 119
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুতের সিটি হলে রাশিয়ার পতাকা উড়িয়েছে বলে দাবি করেছে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

রোববার রাতে টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেছেন, আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়েছে। শত্রুরা শহরের পশ্চিম অংশে জড়ো হচ্ছে।

যদিও ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও পশ্চিমাঞ্চল ছাড়েনি বলে উল্লেখ করেন ওয়াগনার প্রধান। তাছাড়া ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা কিংবা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছ থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে ভিডিওটিকে ‘লোক দেখানো’ অভিহিত করে প্রিগোজিনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেইন। তাদের দাবি ইউক্রেনের সেনারা এখনও বাখমুতের দখল করে রয়েছে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেন, শত্রুরা বাখমুতের ওপর আগ্রাসন বন্ধ করেনি। তবে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা সাহসের সাথে শহরটিকে রক্ষা করে যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত তারা প্রচুর আক্রমণ প্রতিহত করেছে।

ভলোদিমির জেলেনস্কিও রোববার রাতে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের সেনাদের ধন্যবাদ যারা আভদিভকা, মারিইঙ্কা এবং বাখমুতে যুদ্ধ করছেন। বিশেষ করে বাখমুতে, কারণ সেখানে এখন প্রচন্ড উত্তাপ।

এক বছর আগে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় বাখমুতের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ হাজার। এ শহরের দখল নেয়া হবে রাশিয়ার জন্য অন্যতম বড় সাফল্য। গত বছর আক্রমণের শুরুতেই সরবরাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এই শহরটির দখল নেয় রাশিয়া। পরে সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন আবার শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাখমুত দখলের দাবি প্রিগোজিনের, অস্বীকার জেলেনস্কির

আপডেট : ০৮:১০:৪৭ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুতের সিটি হলে রাশিয়ার পতাকা উড়িয়েছে বলে দাবি করেছে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গোষ্ঠীর প্রধান। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে কিয়েভ বলছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

রোববার রাতে টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেছেন, আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নেয়া হয়েছে। শত্রুরা শহরের পশ্চিম অংশে জড়ো হচ্ছে।

যদিও ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও পশ্চিমাঞ্চল ছাড়েনি বলে উল্লেখ করেন ওয়াগনার প্রধান। তাছাড়া ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা কিংবা প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছ থেকে এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে ভিডিওটিকে ‘লোক দেখানো’ অভিহিত করে প্রিগোজিনের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেইন। তাদের দাবি ইউক্রেনের সেনারা এখনও বাখমুতের দখল করে রয়েছে।

ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ বলেন, শত্রুরা বাখমুতের ওপর আগ্রাসন বন্ধ করেনি। তবে ইউক্রেনীয় যোদ্ধারা সাহসের সাথে শহরটিকে রক্ষা করে যাচ্ছে, এখন পর্যন্ত তারা প্রচুর আক্রমণ প্রতিহত করেছে।

ভলোদিমির জেলেনস্কিও রোববার রাতে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের সেনাদের ধন্যবাদ যারা আভদিভকা, মারিইঙ্কা এবং বাখমুতে যুদ্ধ করছেন। বিশেষ করে বাখমুতে, কারণ সেখানে এখন প্রচন্ড উত্তাপ।

এক বছর আগে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় বাখমুতের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ হাজার। এ শহরের দখল নেয়া হবে রাশিয়ার জন্য অন্যতম বড় সাফল্য। গত বছর আক্রমণের শুরুতেই সরবরাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র এই শহরটির দখল নেয় রাশিয়া। পরে সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন আবার শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।