যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত পিয়ানোবাদক আহমেদ জামাল আর নেই
- আপডেট : ০৬:৩৫:৫৬ অপরাহ্ন, সোমাবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৩
- / 114
সাত দশকের ক্যারিয়ারে অজস্র সংগীতজ্ঞের সঙ্গে জামালের বন্ধুত্ব হয়েছিল। এসব সংগীতজ্ঞদের মধ্যে বিখ্যাত ট্রাম্পেটবাদক মাইলস ডেভিস অন্যতত। বিখ্যাত এই জ্যাজ আইকন জামালকে নিজেদের গুরু-বন্ধু মনে করতেন।
আত্মজীবনী ‘মাইলস: দ্য অটোবায়োগ্রাফি’তে ডেভিস লেখেন, একভাবে বললে আমার যাবতীয় প্রেরণার মূলে রয়েছে আহমেদ জামাল। সংগীতের জামালের স্পেস, হালকা চালের টাচ, কিছু নোটের অবমূল্যায়ন আমাকে হতবাক করেছে। তার নোটস, কর্ডস প্যাসেজের ব্যবহারে আমি মুগ্ধ। জামালের এসব কাজ একান্ত তার নিজস্ব, মৌলিক। আমি তার এসব উদ্ভাবন থেকে দুই হাতে নিয়েছি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জামাল প্রধানত তার দুলকি চালালের টাচ দিয়ে শ্রোতা ও সমালোচকদের মন কেড়েছিলেন। দুই নোটের মাঝখানে তার নীরবতা ছিল দুর্দান্ত। তার এই শৈলিকে সমালোচকেরা ‘যত অল্প তত গল্প’ বলে প্রাণ খোলে স্বাগত জানিয়েছিলেন।
আমেরিকার কোনো ক্ল্যাসিকাল সংগীত নেই এমন সমালোচনার জবাবে জ্যাজকে আমেরিকার ক্যাসিকাল মিউজিক বলে দাবি করতেন আহমেদ জামাল।
কিশোর বয়সে ৪০ এর দশকের জনপ্রিয় বিবপ স্টাইলে তথা দ্রুত টেম্পোয় পিয়ানো বাজালেও দ্রুত সেখান থেকে সরে নিজের জগত খোঁজে নেন প্রায়ত পিয়ানোকিংবদন্তি আহমেদ জামাল। পরবর্তীতে লেড-ব্যাক বা মন্দালয়ের স্টাইলে নিজেকে থিতু করেন । ১৯৫৮ সালে তার অ্যালবাম ‘অ্যাট দ্য পার্সিং: বাট নট ফর মি’ বের হয়। এটি এ যাবতকালের বেস্ট-সেলিং জ্যাজ ইন্সট্রুমেন্টাল রেকর্ডগুলোর একটি।
পরবর্তীতে যেসব বিখ্যাত পিয়ানোবাদক জামালকে আদর্শ মনে করতেন তাদের মধ্যে হারবি হ্যানকক এবং কিথ জ্যারেট বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। শুধু জ্যাজ ঘরনায় নয়, অন্য বলয়েও বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করেছিলেন জামাল। হিপহপ গায়কদের মধ্যে র্যাপ গায়ক নাস ও দে লা সোল জামালের বিশেষ ঋণ স্বীকার করেন।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক স্বীকৃতি পেয়েছেন জামাল। এসব পুরস্কার ও স্বীকৃতির মধ্যে ফ্রান্সের অর্ডার ডেস আর্টস, ডেস লেটারস এবং গ্র্যামি লাইফটাইম এচিভমেন্ট অন্যতম।
২০২২ সালে টাইমসে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আহমেদ জামাল বলেছিলেন, আমি এখনও নতুন নতুন পরীক্ষা চালাচ্ছি। যখনই আমি পিয়ানোতে বসি নতুন আইডিয়া এসে আমার মাথায় ভিড় করে।
সূত্র: বিবিসি