ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সুদানে সেনা-মিলিশিয়ার সংঘাতে নিহত বেড়ে ২০০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট : ০৬:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / 105
সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে তিন দিনের লড়াইয়ে অন্তত ২০০ জন নিহত এবং ১৮০০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ভলকার পার্থেস।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ এপ্রিল) ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি বলেন, এটি খুব কঠিন পরিস্থিতি তাই ভারসাম্য কোথায় স্থানান্তরিত হচ্ছে তা বলা খুব কঠিন।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধরত পক্ষগুলো ‘এই ধারণা দিচ্ছে না যে, তারা এখনই শান্তির জন্য মধ্যস্থতা চায়’।

অন্যদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সুদানে সংঘর্ষে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তিন কর্মীসহ কয়েক ডজন বেসামরিক লোকের নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।

জাতিসংঘ প্রধানের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, গুতেরেস উত্তর দারফুরে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তিন কর্মী নিহত এবং আরও দুজন গুরুতর আহতসহ বেসামরিক লোকদের হতাহতের তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে দায়ি ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

ডুজারিক আরও জানান, জাতিসংঘের এই শীর্ষ কর্মকর্তা অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধ করার এবং আঞ্চলিক নেতা ও সুদানী কর্তৃপক্ষের মধ্যে এই সঙ্কট নিরসনের একটি উপায় খুঁজে বের করতে ‘সংলাপে প্রত্যাবর্তনের’ জন্য পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন।

এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, মিশর, সৌদি আরব, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন এ সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদিকে সোমবারও সুদানের রাজধানী খার্তুম একাধিক শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। অনেক বেসামরিক বাসিন্দা সংঘর্ষের এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে। আহত নাগরিকদের চিকিৎসার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি আরএসএফ-এর নেতৃত্ব দেন, তাদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের পর শনিবার সহিংসতার সূত্রপাত হয়।

২০২১ সালের অক্টোবরে একটি অভ্যুত্থানের পর থেকে সুদান পরিচালনা করছেন সামরিক জেনারেলরা। ডি ফ্যাক্টো নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুগত সেনা ইউনিট এবং সুদানের ডেপুটি লিডার মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে হেমেদতি নামে পরিচিত আরএসএফ-এর মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

জেনারেল দাগালো বলেছেন, সমস্ত সেনা ঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত তার সৈন্যরা লড়াই চালিয়ে যাবে।

প্রতিক্রিয়ায় সুদানের সশস্ত্র বাহিনী ‘আধাসামরিক আরএসএফ বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত’ আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সুদানে সেনা-মিলিশিয়ার সংঘাতে নিহত বেড়ে ২০০

আপডেট : ০৬:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩
সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে তিন দিনের লড়াইয়ে অন্তত ২০০ জন নিহত এবং ১৮০০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ভলকার পার্থেস।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ এপ্রিল) ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ের সময় তিনি বলেন, এটি খুব কঠিন পরিস্থিতি তাই ভারসাম্য কোথায় স্থানান্তরিত হচ্ছে তা বলা খুব কঠিন।

তিনি আরও বলেন, যুদ্ধরত পক্ষগুলো ‘এই ধারণা দিচ্ছে না যে, তারা এখনই শান্তির জন্য মধ্যস্থতা চায়’।

অন্যদিকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সুদানে সংঘর্ষে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তিন কর্মীসহ কয়েক ডজন বেসামরিক লোকের নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এর দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।

জাতিসংঘ প্রধানের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেছেন, গুতেরেস উত্তর দারফুরে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তিন কর্মী নিহত এবং আরও দুজন গুরুতর আহতসহ বেসামরিক লোকদের হতাহতের তীব্র নিন্দা এবং অবিলম্বে দায়ি ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

ডুজারিক আরও জানান, জাতিসংঘের এই শীর্ষ কর্মকর্তা অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধ করার এবং আঞ্চলিক নেতা ও সুদানী কর্তৃপক্ষের মধ্যে এই সঙ্কট নিরসনের একটি উপায় খুঁজে বের করতে ‘সংলাপে প্রত্যাবর্তনের’ জন্য পুনরায় আহ্বান জানিয়েছেন।

এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, মিশর, সৌদি আরব, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আফ্রিকান ইউনিয়ন এ সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদিকে সোমবারও সুদানের রাজধানী খার্তুম একাধিক শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। অনেক বেসামরিক বাসিন্দা সংঘর্ষের এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে। আহত নাগরিকদের চিকিৎসার বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এর আগে সুদানের সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগালো, যিনি আরএসএফ-এর নেতৃত্ব দেন, তাদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের পর শনিবার সহিংসতার সূত্রপাত হয়।

২০২১ সালের অক্টোবরে একটি অভ্যুত্থানের পর থেকে সুদান পরিচালনা করছেন সামরিক জেনারেলরা। ডি ফ্যাক্টো নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের অনুগত সেনা ইউনিট এবং সুদানের ডেপুটি লিডার মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে হেমেদতি নামে পরিচিত আরএসএফ-এর মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

জেনারেল দাগালো বলেছেন, সমস্ত সেনা ঘাঁটি দখল না করা পর্যন্ত তার সৈন্যরা লড়াই চালিয়ে যাবে।

প্রতিক্রিয়ায় সুদানের সশস্ত্র বাহিনী ‘আধাসামরিক আরএসএফ বিলুপ্ত না হওয়া পর্যন্ত’ আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।