বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়েছে, দেশটির ন্যাশনাল অ্যারোস্পেস ডেভেলপমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পরিদর্শন করে কিম বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে আসা “হুমকি” মোকাবেলা করার জন্য গোয়েন্দা সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং এর জন্য বেশ কয়েকটি উপগ্রহের প্রয়োজন রয়েছে।

কিম নির্ধারিত সময়ে স্যাটেলাইট স্থাপনের আহ্বান জানালেও উৎক্ষেপণের তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

গেলো ডিসেম্বরে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছিল, একটি গুপ্তচর উপগ্রহের কাজ “চূড়ান্ত পর্যায়ে” রয়েছে এবং আগামী এপ্রিলের মধ্যে উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করবে।

তিনি আরও বলেছিলেন, প্রতিকূল শক্তির সামরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রিয়েল-টাইম তথ্য সুরক্ষিত করা “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ”।

এদিকে কিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাদের (মার্কিন-কোরিয়া) জোটকে শক্তিশালী করার নামে শত্রুতামূলক সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের জন্য অভিযুক্ত করেছেন।

তিনি দাবি করেছেন যে, মার্কিন বিমানের মতো সামরিক শক্তি মোতায়েন করে “দক্ষিণ কোরিয়াকে আগ্রাসনের একটি উন্নত ঘাঁটি এবং যুদ্ধের অস্ত্রাগারে পরিণত করার” চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ বাড়াতে সম্মিলিত মহড়া বাড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহে দেশ দু’টি প্রায় ১১০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে ১২ দিনের একটি মহড়া শুরু করেছে এবং জাপানের সাথে এক দিনের নৌ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়েছে।

জবাবে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০টি পরীক্ষা চালিয়েছে কিম প্রশাসন। উত্তর কোরিয়া ২০২২ সালে রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। সূত্র: ডয়েচে ভেলে।