প্রেসিডেন্ট ও তার স্ত্রী ভোট দিতে আসার আগেই ওই কেন্দ্রে হাজার হাজার কর্মী উপস্থিত হন। তারা ওই এলাকাটি বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন।

অপরদিকে এরদোয়ানের সাবেক মিত্র ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী আলী বাবাচান রাজধানী আঙ্কারায় নিজের ভোট প্রদান করেন। বাবাচান মধ্য-ডানপন্থি ডেমোক্র্যাসি অ্যান্ড প্রোগ্রেস (ডিইভিএ) পার্টির নেতা।

এবারের নির্বাচনে এরদোয়ানকে হারাতে যে ছয়টি দল এক হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বাবাচানের ডিইভিএ পার্টি। এই ছয় জোটের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যদি তাদের মনোনীত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলু নির্বাচনে জয় পান তাহলে বাবাচানকে ভাইস-প্রেসিডেন্ট বানানো হবে। তুরস্কের অর্থনৈতিক বিষয়গুলো দেখেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টায় শেষ হবে ভোটগ্রহণ।

বার্তা সংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের এবারের নির্বাচনে নিবন্ধিত মোট ভোটারের সংখ্যা ৬ কোটি ৪১ লাখ। এদের মধ্যে ১৭ লাখ ৬০ হাজার প্রবাসী ভোটার এরইমধ্যে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে দেশজুড়ে ১ লাখ ৯১ হাজার ৮৮৫টি ব্যালট বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রত্যেক ভোটার দুটি করে ভোট দিচ্ছেন; একটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য এবং আরেকটি পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচনের জন্য।

তিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্য থেকে একজনকে বেছে নেবেন ভোটাররা। নির্বাচনে মোট ২৪টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। পার্লামেন্টের ৬০০ আসনের বিপরীতে লড়াই করছেন ১৫১ জন স্বাধীন প্রার্থী।

গত ২০ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন এরদোয়ান। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে এবার ছয়টি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধেছে। আর এ জোটের নেতৃত্বে রয়েছেন কামাল কিলিচদারোগলু। তুরস্কের ইতিহাসে এর আগে কখনও এতগুলো দলকে এভাবে এক হতে দেখা যায়নি। 

সূত্র: আলজাজিরা