ঢাকা ০৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পোল্যান্ডের দিকে এগোচ্ছে ওয়াগনার, উদ্বেগ প্রধানমন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট : ০৮:২৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
  • / 126
পোল্যান্ডের সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে ওয়াগনার বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি। রোববারএক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একশ’র বেশি ওয়াগনার ভাড়াটে সৈন্য সুওয়ালকি গ্যাপের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। সীমান্তের পরিস্থিতিকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। এলাকাটি বেলারুশের গ্রোডনো থেকে খুব দূরে নয়।

যোদ্ধারা অভিবাসী ছদ্মবেশে পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারে বলেও শঙ্কা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী মাতেউস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাদের কাছে তথ্য আছে ওয়াগনারের একশর’ বেশি ভাড়াটে যোদ্ধা বেলারুশের গ্রোডনো থেকে সুওয়ালকির দিকে অগ্রসর হয়েছে।

গ্রোডনো বেলারুশের পশ্চিমে দিকে অবস্থিত। যা ন্যাটোর পোল্যান্ড ও লিথুনিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। রুশ মিত্র বেলারুশ ও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন দেশটির সরকার।

গত জুনে রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাতের ঘোষণা দিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্রোহ ঘটনায় ওয়াগনার। পরবর্তীতে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতায় চুক্তি অনুযায়ী তার দেশে আশ্রয়ে যায় বাহিনীটির হাজারো যোদ্ধা। সে সময় থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে ওয়ারস।

পোলিশ সরকারের অভিযোগ, শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যবহার করে পোল্যান্ড ও ইইউ’র দেশগুলোতে অস্থিরতা তৈরির প্রয়াস চালাচ্ছে রাশিয়া-বেলারুশ। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি অভিবাসনকে হাইব্রিড যুদ্ধ আখ্যায়িত করে থাকে।

আল জাজিরা বলছে, গ্রোডনো অঞ্চলটি বেলারুশের পশ্চিমে অবস্থিত। এখান থেকে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার সীমান্তের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। আর, সুওয়ালকি হচ্ছে বেলারুশ ও রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদের মধ্যে একটি সংকীর্ণ কৌশলগত স্থল করিডোর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পোল্যান্ডের দিকে এগোচ্ছে ওয়াগনার, উদ্বেগ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট : ০৮:২৯:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
পোল্যান্ডের সীমান্তের দিকে এগোচ্ছে রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যরা। এই পরিস্থিতিতে ওয়াগনার বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি। রোববারএক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, একশ’র বেশি ওয়াগনার ভাড়াটে সৈন্য সুওয়ালকি গ্যাপের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। সীমান্তের পরিস্থিতিকে আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। এলাকাটি বেলারুশের গ্রোডনো থেকে খুব দূরে নয়।

যোদ্ধারা অভিবাসী ছদ্মবেশে পোল্যান্ডে প্রবেশ করতে পারে বলেও শঙ্কা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী মাতেউস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাদের কাছে তথ্য আছে ওয়াগনারের একশর’ বেশি ভাড়াটে যোদ্ধা বেলারুশের গ্রোডনো থেকে সুওয়ালকির দিকে অগ্রসর হয়েছে।

গ্রোডনো বেলারুশের পশ্চিমে দিকে অবস্থিত। যা ন্যাটোর পোল্যান্ড ও লিথুনিয়া সীমান্ত থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে। রুশ মিত্র বেলারুশ ও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বিগ্ন দেশটির সরকার।

গত জুনে রাশিয়ার সামরিক নেতাদের উৎখাতের ঘোষণা দিয়ে স্বল্প সময়ের জন্য বিদ্রোহ ঘটনায় ওয়াগনার। পরবর্তীতে বেলারুশের প্রেসিডেন্টের মধ্যস্থতায় চুক্তি অনুযায়ী তার দেশে আশ্রয়ে যায় বাহিনীটির হাজারো যোদ্ধা। সে সময় থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে ওয়ারস।

পোলিশ সরকারের অভিযোগ, শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ব্যবহার করে পোল্যান্ড ও ইইউ’র দেশগুলোতে অস্থিরতা তৈরির প্রয়াস চালাচ্ছে রাশিয়া-বেলারুশ। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি অভিবাসনকে হাইব্রিড যুদ্ধ আখ্যায়িত করে থাকে।

আল জাজিরা বলছে, গ্রোডনো অঞ্চলটি বেলারুশের পশ্চিমে অবস্থিত। এখান থেকে ন্যাটো সদস্য পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার সীমান্তের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। আর, সুওয়ালকি হচ্ছে বেলারুশ ও রাশিয়ার কালিনিনগ্রাদের মধ্যে একটি সংকীর্ণ কৌশলগত স্থল করিডোর।