চীনের ২৫ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

- আপডেট : ০৬:২১:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
- / 73
বুধবার (৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বেদনানাশক বা চেতনানাশক ওষুধ ফেনটানাইল উৎপাদনে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ওষুধের যে সংকট চলছে তাতে ফেনটানাইলের অতি ব্যবহারকে দুষছেন কর্তৃপক্ষ।
অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড বলেছেন, ফেনটানাইলের সরবরাহ চেইন সাধারণত শুরু হয় চীনের রাসায়নিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে। তবে এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে চীনের দূতাবাস কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এর আগে এপ্রিলে এ প্রশ্নের জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, চীন ও মেক্সিকের মধ্যে কোনো ফেনটানাইল পাচার হচ্ছে না। অবৈধভাবে ফেনটানাইল সরবরাহ বন্ধে চীন সরকারের কাছে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেঁ ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর আহ্বান জানানোর পর এমন মন্তব্য করে বেইজিং।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যবহারকারীদের কাছে ফেনটানাইল সরবরাহের জন্য মেক্সিকোর ড্রাগ গ্যাংকে দায়ী করেছে ওয়াশিংটন। চিকিৎসকরা বৈধভাবে এই ওষুধ রোগীদের প্রেসক্রাইব করতে পারেন। কিন্তু কয়েক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে এটা দিয়ে তৈরি ওপিয়ডের ব্যবহার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এর উৎপাদনও অবৈধ উপায়ে বেড়েছে। এর ব্যবহারও করা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্তভাবে।
২০২২ সালে কোনো না কোনো সময় এই ওষুধ ব্যবহার করেছেন এমন এক লাখ ৯ হাজার ৬৮০ জনের মৃত্যু হয়। ফলে ফেনটানাইল উৎপাদন এবং সরবরাহ ও পাচারের সঙ্গে যুক্ত চীনভিত্তিক নেটওয়ার্ক এবং অন্য অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে।
কর্মকর্তারা বলছেন, ফেনটানাইল সরবরাহ চেইন নিয়মিতভাবে নিজেদের ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে। লেবেলিং করতে গিয়ে অন্য লেবেল লাগায়, যাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তা শনাক্ত করতে না পারে। এই নিষেধাজ্ঞায় যারা পড়েছে তার মধ্যে আছে ১২টি এনটিটি এবং চীনভিত্তিক ১৩ জন ব্যক্তি। এর বাইরে আছে কানাডাভিত্তিক একজন ব্যক্তি ও দুটি এনটিটি। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত হবে। মার্কিনিরা তাদের সঙ্গে কোনো ব্যবসা করতে পারবে না।
এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর নিকারাগুয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ১০০ কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।