ঢাকা ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কংগ্রেস শুনানিতে যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:১৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 99

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ইস্যুকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের শুনানিতে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে অন্তত দুজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থিত রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ব্লিংকেনের পদত্যাগ চেয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্লিংকেন আইনপ্রণেতাদের সাথে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার শুনানিকালে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখান। মার্কিনি ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আরও কিছু করা উচিত ছিল অভিযোগ করে পরিকল্পনার অভাবের জন্য পূর্ববর্তী প্রশাসনকে দায়ী করেন ব্লিংকেন। এ সময় ব্লিংকেন বারবার বলেন, বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে পুনরায় আলোচনা করার সুযোগ ছিল না। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে তালেবানের সাথে চুক্তি করেছিল। আলোচনার প্রসঙ্গে আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিনিদের আবার হত্যা শুরুর হুমকি দিয়েছিল তালেবান।

ব্লিংকেন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ২০২১ সালের ১ মের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি করেছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে সেনা প্রত্যাহারের একটি সময়সীমা পাই। কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য কোনো পরিকল্পনা পাইনি।’

তিনি জানান, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান দীর্ঘায়িত করলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বা সরকার আরও বেশি স্থিতিশীল ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠতো – এমন কোনো প্রমাণ নেই।

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সামনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিলেন বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কূটনীতিক ব্লিংকেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে তার।

শুনানিতে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কতিপয় রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ব্লিংকেনের কথা বলায় বাধা সৃষ্টি করেন। এমনকি তারা চিৎকারও করেন। প্যানেলের শীর্ষ রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইকেল ম্যাককল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ হারতে পছন্দ করে না, বিশেষ করে সন্ত্রাসীদের কাছে। অথচ, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে ঠিক এটাই ঘটেছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কংগ্রেস শুনানিতে যা বললেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আপডেট : ০২:১৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার ইস্যুকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের শুনানিতে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার অনুষ্ঠিত এ শুনানিতে অন্তত দুজন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থিত রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ব্লিংকেনের পদত্যাগ চেয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্লিংকেন আইনপ্রণেতাদের সাথে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার শুনানিকালে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখান। মার্কিনি ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আরও কিছু করা উচিত ছিল অভিযোগ করে পরিকল্পনার অভাবের জন্য পূর্ববর্তী প্রশাসনকে দায়ী করেন ব্লিংকেন। এ সময় ব্লিংকেন বারবার বলেন, বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে পুনরায় আলোচনা করার সুযোগ ছিল না। কারণ, ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে তালেবানের সাথে চুক্তি করেছিল। আলোচনার প্রসঙ্গে আফগানিস্তানে অবস্থানরত মার্কিনিদের আবার হত্যা শুরুর হুমকি দিয়েছিল তালেবান।

ব্লিংকেন বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ২০২১ সালের ১ মের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের চুক্তি করেছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে সেনা প্রত্যাহারের একটি সময়সীমা পাই। কিন্তু তা বাস্তবায়নের জন্য কোনো পরিকল্পনা পাইনি।’

তিনি জানান, আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান দীর্ঘায়িত করলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী বা সরকার আরও বেশি স্থিতিশীল ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠতো – এমন কোনো প্রমাণ নেই।

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর এই প্রথম মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সামনে হাজির হয়ে সাক্ষ্য দিলেন বাইডেন প্রশাসনের শীর্ষ কূটনীতিক ব্লিংকেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেয়ার কথা রয়েছে তার।

শুনানিতে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কতিপয় রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা ব্লিংকেনের কথা বলায় বাধা সৃষ্টি করেন। এমনকি তারা চিৎকারও করেন। প্যানেলের শীর্ষ রিপাবলিকান প্রতিনিধি মাইকেল ম্যাককল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ হারতে পছন্দ করে না, বিশেষ করে সন্ত্রাসীদের কাছে। অথচ, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে ঠিক এটাই ঘটেছে।’