শ্রমিক সংগঠনের প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৪:৩৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
  • / 146
শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার আরও কমিয়ে প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় শ্রমিকদের সম্মতি বা স্বাক্ষর নেয়ার হার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে প্রক্রিয়া সহজ করা হবে বলে তাদের জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মার্কিন দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি ম্যাথিউ বে ও লেবার অ্যাটাচে লীনা খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

মার্কিন দূতাবাসের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল রাষ্ট্রপতির কাছে যখন শ্রম আইনটি গিয়েছিল, তখন একটি বিশেষ কারণে সেটি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল। কারণটা আগেও আমি ব্যাখ্যা করেছি, আজকের আলোচনায় সেটিও উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমি তাদেরকে (দূতাবাসের প্রতিনিধি) বলেছি- নতুন শ্রম আইনে কোনো গার্মেন্টস বা শিল্প কারখানায় ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক থাকলে সেখানে সংগঠন করতে হলে শতকরা ১৫ ভাগ শ্রমিকের সম্মতি প্রয়োজন হবে। যুক্তরাষ্ট্র ১০ ভাগ বললেও এক্ষেত্রে সরকার ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নেবে। কারখানা মালিকদের সম্মতিরও প্রয়োজন রয়েছে।

মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদের মন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার শ্রম অধিকার নিয়ে সচেতন রয়েছে। এটা এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, এবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেরকমভাবে গুরুত্ব এটিকে দেয়া হয়। আমি এটাও বলেছি যে, আগামী বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসব।

মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে দাবি করে আনিসুল হক বলেন, শ্রম আইন নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল কোনো আপত্তি জানায়নি। গত নভেম্বর নতুন শ্রম আইন সংসদে পাশ হলেও ত্রুটি থাকায় ফেরত পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শ্রমিক সংগঠনের প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হবে: আইনমন্ত্রী

আপডেট : ০৪:৩৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৪
শিল্প কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার আরও কমিয়ে প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় শ্রমিকদের সম্মতি বা স্বাক্ষর নেয়ার হার পর্যায়ক্রমে কমিয়ে প্রক্রিয়া সহজ করা হবে বলে তাদের জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মার্কিন দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি ম্যাথিউ বে ও লেবার অ্যাটাচে লীনা খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

মার্কিন দূতাবাসের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, আজকের আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল রাষ্ট্রপতির কাছে যখন শ্রম আইনটি গিয়েছিল, তখন একটি বিশেষ কারণে সেটি ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল। কারণটা আগেও আমি ব্যাখ্যা করেছি, আজকের আলোচনায় সেটিও উঠে এসেছে।

তিনি বলেন, আমি তাদেরকে (দূতাবাসের প্রতিনিধি) বলেছি- নতুন শ্রম আইনে কোনো গার্মেন্টস বা শিল্প কারখানায় ৩ হাজারের বেশি শ্রমিক থাকলে সেখানে সংগঠন করতে হলে শতকরা ১৫ ভাগ শ্রমিকের সম্মতি প্রয়োজন হবে। যুক্তরাষ্ট্র ১০ ভাগ বললেও এক্ষেত্রে সরকার ধীরে ধীরে ব্যবস্থা নেবে। কারখানা মালিকদের সম্মতিরও প্রয়োজন রয়েছে।

মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিদের মন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকার শ্রম অধিকার নিয়ে সচেতন রয়েছে। এটা এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে, এবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজের হাতে রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেরকমভাবে গুরুত্ব এটিকে দেয়া হয়। আমি এটাও বলেছি যে, আগামী বুধবার শ্রম মন্ত্রণালয়ের একটি টিমের সঙ্গে আলোচনায় বসব।

মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে দাবি করে আনিসুল হক বলেন, শ্রম আইন নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল কোনো আপত্তি জানায়নি। গত নভেম্বর নতুন শ্রম আইন সংসদে পাশ হলেও ত্রুটি থাকায় ফেরত পাঠিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।