ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০৫:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
  • / 121
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা; তারা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক।

সোমবার সকালে বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিন নেতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সরকার বিএনপিকে এতদিন ছাড় দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বরে যদি বাড়াবাড়ি ও বিশৃঙ্খলা করে তাহলে সরকার ছাড় দেবে না।

সরকার কখনও দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় না দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সরকার বিএনপিকে অনেক ছাড় দিয়েছে; কিন্তু সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে রাজপথেই তাদের মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।

প্রসঙ্গত, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর ছোট ছেলে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন।

শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অবিস্মরণীয় বিজয়। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধীসমাজ তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করে।

১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মারা যান তিনি। ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তাকে সমাহিত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা: কাদের

আপডেট : ০৫:৫৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমাবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২২
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির সমাবেশ নিয়ে মানুষ আতঙ্কে আছে। বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বাধা; তারা সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষক।

সোমবার সকালে বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তিন নেতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, সরকার বিএনপিকে এতদিন ছাড় দিয়েছে। ১০ ডিসেম্বরে যদি বাড়াবাড়ি ও বিশৃঙ্খলা করে তাহলে সরকার ছাড় দেবে না।

সরকার কখনও দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় না দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, সরকার বিএনপিকে অনেক ছাড় দিয়েছে; কিন্তু সমাবেশের নামে নৈরাজ্য করলে রাজপথেই তাদের মোকাবিলা করবে আওয়ামী লীগ।

প্রসঙ্গত, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারক স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর ছোট ছেলে। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করেন।

শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অবিস্মরণীয় বিজয়। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধীসমাজ তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করে।

১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে মারা যান তিনি। ঢাকার সুপ্রিম কোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তাকে সমাহিত করা হয়।