ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৪১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
  • / 135
যানজট নিরসনের লক্ষ্যে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু হচ্ছে। বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় প্রথম ধাপে ১২০টি নতুন বাস নামানো হবে।

প্রাথমিকভাবে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলবে নগর পরিবহন। প্রায় ২১ কিলোমিটারের এই রুটে যাত্রীদের প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া গুনতে হবে দুই টাকা ২০ পয়সা।

মঙ্গলবার ডিএসসিসি নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৮তম সভায় এসব বিষয় চূড়ান্ত হয়।

সভা শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের বলেন, নগরের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ও দুরূহ ছিল। এখন আমরা লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি পৌঁছেছি। একটি পাইলটিং রুট নির্ধারণ করেছি। এ রুটে নতুন নিয়ম এবং পদ্ধতিতে বাস চলবে।

তিনি বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে বাস চলাচল শুরু করতে যাচ্ছি। বাসগুলো জয়েন ভেঞ্চারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। পরে পুরো ঢাকায় কয়েকটি কোম্পানির মাধ্যমে বাস চলবে।

মেয়র তাপস জানান, ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে পুরোনো বাস চলবে না। এখন এই রুটে যে বাসগুলো চলছে, সেগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারির পর কেনা বাস থাকবে। বাকি বাসগুলো উঠিয়ে নেওয়া হবে। এর সঙ্গে নতুন বাস যোগ হবে। তাতে পরিবহন মালিকরা সম্মতি দিয়েছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নগর পরিবহন চালুর মাধ্যমে ঢাকায় গণপরিবহনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। এতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আসবে। চালকের মাঝে প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব থাকবে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন এই রুটে ৪০টির বেশি যাত্রী ছাউনি করা হবে। এছাড়াও ১৬টি বাস বে থাকবে। জায়গা সংকুলন হলে বাস বে’র সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, নগর পরিবহনের বাসগুলোর রং কী হবে, তা আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। তারা জমা দিলে ২০ অক্টোবর বাসের রং নির্ধারণ করা হবে।

জানা গেছে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে গণপরিবহনের শৃঙ্খলায় ৬ বছর আগে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ নামে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঢাকা উত্তরের তৎকালীন মেয়র আনিসুল হককে প্রধান করে কমিটি করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রথম দিকে বেশকিছু কাজ হলেও মেয়র আনিসের মৃত্যুর পর তা আর সেভাবে এগোয়নি।

পরবর্তিতে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন কমিটির দায়িত্ব নিয়ে দুই বছরের মধ্যে ঢাকায় বাসের রুট পুনর্বিন্যাস বা রেশনালাইজেশনের কাজ শেষ করার ঘোষণা দিলেও তা সম্ভব হয়নি। এরপর ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেন ঢাকা দক্ষিণের নতুন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’

আপডেট : ০১:৪১:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
যানজট নিরসনের লক্ষ্যে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’ চালু হচ্ছে। বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় প্রথম ধাপে ১২০টি নতুন বাস নামানো হবে।

প্রাথমিকভাবে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলবে নগর পরিবহন। প্রায় ২১ কিলোমিটারের এই রুটে যাত্রীদের প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া গুনতে হবে দুই টাকা ২০ পয়সা।

মঙ্গলবার ডিএসসিসি নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৮তম সভায় এসব বিষয় চূড়ান্ত হয়।

সভা শেষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি শেখ ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের বলেন, নগরের সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি। বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ও দুরূহ ছিল। এখন আমরা লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি পৌঁছেছি। একটি পাইলটিং রুট নির্ধারণ করেছি। এ রুটে নতুন নিয়ম এবং পদ্ধতিতে বাস চলবে।

তিনি বলেন, আগামী ১ ডিসেম্বর ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে বাস চলাচল শুরু করতে যাচ্ছি। বাসগুলো জয়েন ভেঞ্চারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। পরে পুরো ঢাকায় কয়েকটি কোম্পানির মাধ্যমে বাস চলবে।

মেয়র তাপস জানান, ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে পুরোনো বাস চলবে না। এখন এই রুটে যে বাসগুলো চলছে, সেগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারির পর কেনা বাস থাকবে। বাকি বাসগুলো উঠিয়ে নেওয়া হবে। এর সঙ্গে নতুন বাস যোগ হবে। তাতে পরিবহন মালিকরা সম্মতি দিয়েছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, নগর পরিবহন চালুর মাধ্যমে ঢাকায় গণপরিবহনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। এতে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আসবে। চালকের মাঝে প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব থাকবে না।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন এই রুটে ৪০টির বেশি যাত্রী ছাউনি করা হবে। এছাড়াও ১৬টি বাস বে থাকবে। জায়গা সংকুলন হলে বাস বে’র সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, নগর পরিবহনের বাসগুলোর রং কী হবে, তা আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। তারা জমা দিলে ২০ অক্টোবর বাসের রং নির্ধারণ করা হবে।

জানা গেছে, সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে গণপরিবহনের শৃঙ্খলায় ৬ বছর আগে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ নামে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঢাকা উত্তরের তৎকালীন মেয়র আনিসুল হককে প্রধান করে কমিটি করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রথম দিকে বেশকিছু কাজ হলেও মেয়র আনিসের মৃত্যুর পর তা আর সেভাবে এগোয়নি।

পরবর্তিতে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন কমিটির দায়িত্ব নিয়ে দুই বছরের মধ্যে ঢাকায় বাসের রুট পুনর্বিন্যাস বা রেশনালাইজেশনের কাজ শেষ করার ঘোষণা দিলেও তা সম্ভব হয়নি। এরপর ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব নেন ঢাকা দক্ষিণের নতুন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।