শনিবার দুপুরে শিবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিহত মোফাজ্জল হোসেন উপজেলার লক্ষীপুর চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার ভাসবিহার গ্রামের ফজলার রহমানের ছেলে রুবেল (৩০), ইসাহাকের ছেলে মিলন (৪৫) ও মৃত অমির উদ্দিনের ছেলে সামাদ (৫০)।

নিহতের স্ত্রী রাশেদা বেগম জানায়, তার স্বামী বিভিন্ন জেলা থেকে পান কিনে হাট-বাজারে বিক্রি করতেন। গত ১৯ আগস্ট সকাল ৮টায় তিনি পান কেনার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। রাত ৯টায় তাকে ফোন করা হলে তিনি জানান এখন মোকামতলায় আছেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে গত ২৩ আগস্ট শিবগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের গ্রামের রুবেলের সাথে তার স্বামী বেশি সময় কাটাতো। এ জন্য রুবেলের বাড়িতে গিয়ে রুবেলকে না পাওয়ায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে গ্রামের লোকজন রুবেলকে খোঁজাখুঁজি করে জানতে পারে রুবেল রালমনির হাটে অবস্থান করছে। স্থানীয়রা গত ৯ সেপ্টেম্বর লালমনিরহাট থেকে রুবেলকে গ্রামে নিয়ে আসে।

পরে পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রুবেল স্বীকার করে যে তারা ৩ জন মিলে মোফাজ্জলকে মোকামতলা থেকে অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে যান। সেখানে আশুলিয়া মরাগাং নামক কাঁশবনে গলাকেটে হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হয়েছে।

তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ আশুলিয়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় কাঁশবন থেকে অপহরণকৃত মোফাজ্জলের গলিত লাশ উদ্ধার করে।

শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা মোফাজ্জলকে মোকামতলা থেকে অপহরণ করে ঢাকার আশুলিয়ায় নিয়ে গলাকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রাখে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।