ঢাকা ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আন্দোলনে বিমান বাংলাদেশের পাইলটরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:১৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
  • / 81
বেতন কাটায় আন্দোলনে নেমেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটরা। তারা চুক্তির অতিরিক্ত কোনো কাজ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ কর্মসূচির কারণে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দোহাগামী এবং সাড়ে ৭টায় দুবাইগামী ফ্লাইট যথাসময়ে ঢাকা ছেড়ে যায়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, দেড় বছর আগে বিমানে সবার বেতন কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অন্যদের বেতন আবার আগের মতো দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পাইলটদের ক্ষেত্রে তা হয়নি।

তিনি আরও জানান, এজন্য গত জুলাই মাসেও পুরো বেতনের দাবিতে পাইলটরা ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা আন্দোলনে যায়নি। কিন্তু এতো দিনেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পাইলটরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিমানের সঙ্গে তাদের যে চুক্তি, তার বাইরে তারা কোনো কাজ করবে না।

বিমান ও বাপার চুক্তি অনুযায়ী, পাইলটরা মাসে আট দিন ছুটি পান। তাদের সর্বোচ্চ ৭৫ ঘণ্টা উড়োজাহাজ চালানোর কথা। বেতন কর্তনের কারণে সোমবার থেকে এরচেয়ে বেশি সময় বিমান না চালানোর কর্মসূচি পালন করছেন পাইলটরা। তবে এ বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

করোনা মহামারিতে লকডাউনে গত বছর বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আয় বন্ধ হওয়ায় গত বছরে মে মাসে বিমান কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বেতন ২৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়। তবে পাইলটরা বলছেন, ২০ শতাংশ ওভারসিজ ভাতা বন্ধ হওয়ায় তাদের বেতন ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আন্দোলনে বিমান বাংলাদেশের পাইলটরা

আপডেট : ১১:১৩:২৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর ২০২১
বেতন কাটায় আন্দোলনে নেমেছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটরা। তারা চুক্তির অতিরিক্ত কোনো কাজ করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ কর্মসূচির কারণে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দোহাগামী এবং সাড়ে ৭টায় দুবাইগামী ফ্লাইট যথাসময়ে ঢাকা ছেড়ে যায়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, দেড় বছর আগে বিমানে সবার বেতন কাটার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অন্যদের বেতন আবার আগের মতো দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পাইলটদের ক্ষেত্রে তা হয়নি।

তিনি আরও জানান, এজন্য গত জুলাই মাসেও পুরো বেতনের দাবিতে পাইলটরা ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু বিমান কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে তারা আন্দোলনে যায়নি। কিন্তু এতো দিনেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় পাইলটরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিমানের সঙ্গে তাদের যে চুক্তি, তার বাইরে তারা কোনো কাজ করবে না।

বিমান ও বাপার চুক্তি অনুযায়ী, পাইলটরা মাসে আট দিন ছুটি পান। তাদের সর্বোচ্চ ৭৫ ঘণ্টা উড়োজাহাজ চালানোর কথা। বেতন কর্তনের কারণে সোমবার থেকে এরচেয়ে বেশি সময় বিমান না চালানোর কর্মসূচি পালন করছেন পাইলটরা। তবে এ বিষয়ে বিমান কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

করোনা মহামারিতে লকডাউনে গত বছর বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আয় বন্ধ হওয়ায় গত বছরে মে মাসে বিমান কর্তৃপক্ষ কর্মীদের বেতন ২৫ শতাংশ কমিয়ে দেয়। তবে পাইলটরা বলছেন, ২০ শতাংশ ওভারসিজ ভাতা বন্ধ হওয়ায় তাদের বেতন ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।