ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশুরাই গড়বে আগামীর মানবিক বিশ্ব: স্পিকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০১:৩২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১
  • / 121

শিশুরাই আগামীর আলোকিত মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একইসঙ্গে তথ্য প্রযুক্তির সকল সুবিধা গ্রহণ করতে হলে শিশুদের ছোটবেলা হতেই দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’র সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য পাঠ করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।

এ বিষয়ে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পরমত সহিষ্ণুতা, সকলের সঙ্গে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং দেশপ্রেমের মত মৌলিক মূল্যবোধ শিশুদের চিন্তা ও মননে গেঁথে দিলে তারাই গড়ে তুলবে আগামীর আলোকিত মানবিক বিশ্ব। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির সকল সুবিধা গ্রহণ করতে হলে শিশুদের ছোটবেলা হতেই দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত ‘শিশু অধিকার সনদ’ গৃহীত হবার ১৭ বছর আগে বাহাত্তরের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শিশুদের কথা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, যার ২৮ অনুচ্ছেদে পিছিয়ে পড়া শিশুদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বা আইন প্রনয়ণের বিষয় উল্লেখ আছে।

স্পিকার আরও বলেন, মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আয়োজিত এবারের ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’ বিশেষভাবে গুরুত্ববহ। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য কোমলমতি শিশুদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

একইসঙ্গে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে জেনে শিশুদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন ড. শিরীন শারমিন। সবশেষে শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক, শিশু একাডেমির কর্মকর্তারা, আমন্ত্রিত শিশু ও তাদের অভিভাবকরা, সাংবাদিকরা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শিশুরাই গড়বে আগামীর মানবিক বিশ্ব: স্পিকার

আপডেট : ০১:৩২:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

শিশুরাই আগামীর আলোকিত মানবিক বিশ্ব গড়ে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। একইসঙ্গে তথ্য প্রযুক্তির সকল সুবিধা গ্রহণ করতে হলে শিশুদের ছোটবেলা হতেই দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’র সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার এসব কথা বলেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য পাঠ করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম।

এ বিষয়ে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, পরমত সহিষ্ণুতা, সকলের সঙ্গে মিলেমিশে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং দেশপ্রেমের মত মৌলিক মূল্যবোধ শিশুদের চিন্তা ও মননে গেঁথে দিলে তারাই গড়ে তুলবে আগামীর আলোকিত মানবিক বিশ্ব। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির সকল সুবিধা গ্রহণ করতে হলে শিশুদের ছোটবেলা হতেই দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত ‘শিশু অধিকার সনদ’ গৃহীত হবার ১৭ বছর আগে বাহাত্তরের সংবিধানে বঙ্গবন্ধু শিশুদের কথা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন, যার ২৮ অনুচ্ছেদে পিছিয়ে পড়া শিশুদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা বা আইন প্রনয়ণের বিষয় উল্লেখ আছে।

স্পিকার আরও বলেন, মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আয়োজিত এবারের ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১’ বিশেষভাবে গুরুত্ববহ। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটানোর জন্য কোমলমতি শিশুদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

একইসঙ্গে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে জেনে শিশুদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন ড. শিরীন শারমিন। সবশেষে শিশুদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক, শিশু একাডেমির কর্মকর্তারা, আমন্ত্রিত শিশু ও তাদের অভিভাবকরা, সাংবাদিকরা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।