ঢাকা ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় ‘বিব্রত’ সিইসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১
  • / 112

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

তিনি বলেন, অনেকগুলো ঘটনা ঘটে গেছে। যেগুলো নিয়ে আমরা বিব্রত। সেটা (সহিংসতা) নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠ পর্যায়ে দিকনির্দেশনা দেবো।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে— সেটি ঠিক। আমরা সেটি প্রত্যক্ষ করেছি। নির্বাচনের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের নির্দেশনা দেওয়া দরকার, সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আমরা আশা করি আগামী ৪ তারিখে বিস্তারিত আলোচনা করব।

মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কতটুকু— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে যদি সহনশীলতা না থাকে, তাহলে তো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। আমরা বারবার বলি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক হবে, কিন্তু প্রতিহিংসামূলক হবে না।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অভিযোগ এলেই আমরা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো ফৌজদারি ঘটনা ঘটলে সে বিষয়ে আমরা এখানে বসে কিছু করতে পারি না। এগুলো পূর্বপরিকল্পিত হয় না বা প্রশাসন তা আগে থেকেই জানতে পারে না। ফৌজদারি ঘটনাগুলো ঘটলে তা মাঠ পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমাদের কঠোর নির্দেশনা আছে।

শরিয়তপুরে কয়েকজন প্রার্থীর সই জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করতে কমিশনের একজন যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই আমরা ঠিক যে অবস্থান, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

রাজনৈতিক দলের ভূমিকা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা খুব ইতিবাচকভাবে (পজিটিভলি) দেখছি না। এটি দুঃখজনক হলেও সত্যি। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার। নির্বাচনের বিষয়টি শুধু নির্বাচন কমিশনের না, এটা সবারই। আমরা কেবল তার ব্যবস্থাপনায় থাকি।

নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বক্তব্য একটিই— নির্বাচনের যেসব বিষয়গুলো আপনারা উল্লেখ করেছেন, যেই ধাপগুলো মূলত নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। আপনাদের মাধ্যমে তাদের কাছে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পরে কিন্তু এর দায় তাদের ওপরই বর্তাবে। আমরা তাদেরও জবাবদিহিতার অধীনে আনব।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.), ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, আইডিইএ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইউপি নির্বাচনে সহিংসতায় ‘বিব্রত’ সিইসি

আপডেট : ০২:০৮:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ নভেম্বর ২০২১

ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

তিনি বলেন, অনেকগুলো ঘটনা ঘটে গেছে। যেগুলো নিয়ে আমরা বিব্রত। সেটা (সহিংসতা) নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কমিশনারদের সঙ্গে আলোচনা করে মাঠ পর্যায়ে দিকনির্দেশনা দেবো।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে— সেটি ঠিক। আমরা সেটি প্রত্যক্ষ করেছি। নির্বাচনের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কী ধরনের নির্দেশনা দেওয়া দরকার, সেটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। আমরা আশা করি আগামী ৪ তারিখে বিস্তারিত আলোচনা করব।

মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ কতটুকু— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণ আছে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে যদি সহনশীলতা না থাকে, তাহলে তো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। আমরা বারবার বলি নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও প্রতিযোগিতামূলক হবে, কিন্তু প্রতিহিংসামূলক হবে না।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, অভিযোগ এলেই আমরা ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তাৎক্ষণিক কোনো ফৌজদারি ঘটনা ঘটলে সে বিষয়ে আমরা এখানে বসে কিছু করতে পারি না। এগুলো পূর্বপরিকল্পিত হয় না বা প্রশাসন তা আগে থেকেই জানতে পারে না। ফৌজদারি ঘটনাগুলো ঘটলে তা মাঠ পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমাদের কঠোর নির্দেশনা আছে।

শরিয়তপুরে কয়েকজন প্রার্থীর সই জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করতে কমিশনের একজন যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই আমরা ঠিক যে অবস্থান, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।

রাজনৈতিক দলের ভূমিকা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা খুব ইতিবাচকভাবে (পজিটিভলি) দেখছি না। এটি দুঃখজনক হলেও সত্যি। এসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ভূমিকা থাকা দরকার। নির্বাচনের বিষয়টি শুধু নির্বাচন কমিশনের না, এটা সবারই। আমরা কেবল তার ব্যবস্থাপনায় থাকি।

নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বক্তব্য একটিই— নির্বাচনের যেসব বিষয়গুলো আপনারা উল্লেখ করেছেন, যেই ধাপগুলো মূলত নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। আপনাদের মাধ্যমে তাদের কাছে আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পরে কিন্তু এর দায় তাদের ওপরই বর্তাবে। আমরা তাদেরও জবাবদিহিতার অধীনে আনব।

নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব.), ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, আইডিইএ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কাশেম মো. ফজলুল কাদের উপস্থিত ছিলেন।