ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৬ মাসে নতুন দরিদ্র ৭৯ লাখ মানুষ: জরিপ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:৫৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
  • / 157
দেশে গত ছয় মাসে ৭৯ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে। করোনাকালের মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে দরিদ্রের এই সংখ্যা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার ‘জীবিকা, খাপ খাইয়ে নেয়া ও উত্তরণে কোভিড-১৯–এর প্রভাব’ শীর্ষক জরিপের ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়।

জরিপটি যৌথভাবে তৈরি করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি)।

করোনাকালে মানুষের খাদ্যের ক্ষেত্রে ব্যয় তুলনায় কমে গেছে উল্লেখ করে জরিপে বলা হয়, খাদ্য ছাড়াও বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ব্যয়, শিক্ষা ও যোগাযোগ খাতে দরিদ্র মানুষের ব্যয়ও বেড়েছে।

মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়ের বিষয়ে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চ মাসে শহরের বস্তিতে এ ব্যয় ছিল ৯৩৬ টাকা। গ্রামে এ–সংক্রান্ত ব্যয় ৬৪৭ টাকা থেকে বেড়ে হয় ৭৭৭ টাকা। এছাড়াও শহরে দরিদ্র মানুষের মাথাপিছু ব্যয় ছিল ৬৫ টাকা। এখন তা ৫৪ টাকা। গ্রামে ব্যয় ছিল ৬০ টাকা, এখন ৫৩ টাকা।

দৈনন্দিন চলার জন্য এ বাড়তি ব্যয় মেটাতে মানুষদের ধার করতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধার করতে হয়েছে দোকানিদের কাছ থেকে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনাকালে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ। এ কারণে দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ শহর থেকে গ্রামে চলে যায়। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাদের মধ্যে ১৮ শতাংশ মানুষ শহরে ফিরে এসেছে।

জরিপটিতে অংশ নেয় ৪ হাজার ৮৭২টি পরিবার। এর মধ্যে শহরের ৫৪ শতাংশ, গ্রামের ৪৫ শতাংশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এক শতাংশ পরিবার ছিল।

বিআইজিডি ও পিপিআরসি করোনাকালে মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর প্রভাব নিয়ে চার দফায় জরিপ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৬ মাসে নতুন দরিদ্র ৭৯ লাখ মানুষ: জরিপ

আপডেট : ১১:৫৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ নভেম্বর ২০২১
দেশে গত ছয় মাসে ৭৯ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে। করোনাকালের মধ্যে চলতি বছরের এপ্রিল মাস থেকে দরিদ্রের এই সংখ্যা বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার ‘জীবিকা, খাপ খাইয়ে নেয়া ও উত্তরণে কোভিড-১৯–এর প্রভাব’ শীর্ষক জরিপের ফলাফলে এ তথ্য জানানো হয়।

জরিপটি যৌথভাবে তৈরি করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি)।

করোনাকালে মানুষের খাদ্যের ক্ষেত্রে ব্যয় তুলনায় কমে গেছে উল্লেখ করে জরিপে বলা হয়, খাদ্য ছাড়াও বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ব্যয়, শিক্ষা ও যোগাযোগ খাতে দরিদ্র মানুষের ব্যয়ও বেড়েছে।

মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়ের বিষয়ে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চ মাসে শহরের বস্তিতে এ ব্যয় ছিল ৯৩৬ টাকা। গ্রামে এ–সংক্রান্ত ব্যয় ৬৪৭ টাকা থেকে বেড়ে হয় ৭৭৭ টাকা। এছাড়াও শহরে দরিদ্র মানুষের মাথাপিছু ব্যয় ছিল ৬৫ টাকা। এখন তা ৫৪ টাকা। গ্রামে ব্যয় ছিল ৬০ টাকা, এখন ৫৩ টাকা।

দৈনন্দিন চলার জন্য এ বাড়তি ব্যয় মেটাতে মানুষদের ধার করতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধার করতে হয়েছে দোকানিদের কাছ থেকে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, করোনাকালে নতুন করে দরিদ্র হয়েছে ৩ কোটি ২৪ লাখ মানুষ। এ কারণে দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ শহর থেকে গ্রামে চলে যায়। পরিস্থিতির উন্নতি হলে তাদের মধ্যে ১৮ শতাংশ মানুষ শহরে ফিরে এসেছে।

জরিপটিতে অংশ নেয় ৪ হাজার ৮৭২টি পরিবার। এর মধ্যে শহরের ৫৪ শতাংশ, গ্রামের ৪৫ শতাংশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় এক শতাংশ পরিবার ছিল।

বিআইজিডি ও পিপিআরসি করোনাকালে মানুষের জীবন ও জীবিকার ওপর প্রভাব নিয়ে চার দফায় জরিপ করে।