ঢাকা ০৭:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত তিন: ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১১:০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৮ নভেম্বর ২০২১
  • / 103
নরসিংদীর চরাঞ্চল আলোকবালীতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহতের ঘাটনায় মামলা হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রোববার রাতে নিহত আমির হোসেনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৯২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত ৪ নভেম্বর সকালে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আমির হোসেন (৪৫), আশরাফুল মিয়া (২২) ও খুশি বেগম (৫০) নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

মামলার এজহারে আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম, ইউপি মেম্বার প্রার্থী রিপন মোল্লা, ইমান হাসান, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মতিন মিয়া, রুহুল আমিন, ফারুক মিয়া, ইব্রাহীম, মনসুর আলী, রুবেল মিয়া, লিয়াকত আলী, জাকারিয়া, কাউসার, ফেরদৌস মিয়াসহ আরও ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই উনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিলো। ১১ নভেম্বর দুই প্রার্থীই দলের মনোনয়ন প্রত্যার্শী করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পায় বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। মনোনয়ন না পেয়ে অ্যাডভোট আসাদুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের চাপে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।

এনিয়ে আসাদুল্লাহ সমর্থক মেম্বার প্রার্থী রিপন মোল্লা ও দীপু সমর্থক মেম্বার প্রার্থী আবু খায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এর জেরে ৪ নভেম্বর সকালে আসাদুল্লাহর সমর্থক ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী রিপন মোল্লার সমর্থকরা টেঁটা বল্লম ও অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে নেকজানপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আবু খায়ের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১০ জনসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।

নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘সহিংসতায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। রোববার রাত ১১ টার দিকে স্বপন মিয়া নামে নিহতের একজনের স্বজন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এলাকায় এখনো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নির্বাচনি সহিংসতায় নিহত তিন: ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট : ১১:০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমাবার, ৮ নভেম্বর ২০২১
নরসিংদীর চরাঞ্চল আলোকবালীতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহতের ঘাটনায় মামলা হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হারুনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রোববার রাতে নিহত আমির হোসেনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে নরসিংদী সদর মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৯২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত ৪ নভেম্বর সকালে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আমির হোসেন (৪৫), আশরাফুল মিয়া (২২) ও খুশি বেগম (৫০) নামে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।

মামলার এজহারে আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুল্লাহ, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম, ইউপি মেম্বার প্রার্থী রিপন মোল্লা, ইমান হাসান, আনোয়ার হোসেন, আব্দুল মতিন মিয়া, রুহুল আমিন, ফারুক মিয়া, ইব্রাহীম, মনসুর আলী, রুবেল মিয়া, লিয়াকত আলী, জাকারিয়া, কাউসার, ফেরদৌস মিয়াসহ আরও ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই উনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিলো। ১১ নভেম্বর দুই প্রার্থীই দলের মনোনয়ন প্রত্যার্শী করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পায় বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দীপু। মনোনয়ন না পেয়ে অ্যাডভোট আসাদুল্লাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন। পরে দলীয় নেতাকর্মীদের চাপে তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়।

এনিয়ে আসাদুল্লাহ সমর্থক মেম্বার প্রার্থী রিপন মোল্লা ও দীপু সমর্থক মেম্বার প্রার্থী আবু খায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এর জেরে ৪ নভেম্বর সকালে আসাদুল্লাহর সমর্থক ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী রিপন মোল্লার সমর্থকরা টেঁটা বল্লম ও অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে নেকজানপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আবু খায়ের বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১০ জনসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।

নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘সহিংসতায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। রোববার রাত ১১ টার দিকে স্বপন মিয়া নামে নিহতের একজনের স্বজন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এলাকায় এখনো অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে।