ঢাকা ০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: আসামিদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ১২:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
  • / 106
বরিশালের গৌরনদীতে ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনু বিভাগের ফৌজদারী শাখার অনুমোদন সাপেক্ষে মঙ্গলবার সকালে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই আপিল দাখিল করেন পাবলিক প্রসিকিউটর একেএম জাহাঙ্গীর।

জেলা জজ আদালত আপিল আবেদনটি গ্রহণ করে আগামী ৩০ নভেম্বর ধার্য্য তারিখে আসামসিদের হাজির হওয়ার সমন জারির নির্দেশ দেন।

নিম্ন আদালতের রায়ে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়ায় এবার জেলা জজ আদালতে ন্যায় বিচার পাবার আশা করেন আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা।

আপিলের বিবরণীতে জানা যায়, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার বরিশাল সফর উপলক্ষ্যে ২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল জেলার গৌরনদীতে একটি মঞ্চ তৈরী করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ওই মঞ্চে হামলা চালিয়ে নুরুল হক নামে একজনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে। পরদিন ২ এপ্রিল সকালে আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক কালিয়া দমন গুহকে মারধর করে তারা।

আপিলের বিবরণীতে বলা হয়, ওইদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনার গাড়িবহর গৌরনদীতে পৌঁছলে বিএনপি নেতাকমীরা তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। রাষ্ট্রপক্ষে পরিবর্তন ঘটলে এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ২০ জুলাই বিএনপি’র ৪৬ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হামলায় আহত নুরুল হক।

২০১১ সালে ৩০ এপ্রিল ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেন গৌরনদী থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুল হক। ২০১৩ সালের ১৯ মে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ২৪ জনকে অব্যাহতি দিয়ে এই মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার আদালত। পরে আদালতে ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত না হাওয়ায় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শিহাবুল ইসলাম অভিযুক্ত ১৬ আসামির সকলে বেকসুর খালাস দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য গত ৮ নভেম্বর অনুমোদন দেন আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর। এরপর আজ আপিল দায়ের করা হলো।

সরকারি কৌঁসুলি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, আপীল আবেদন গ্রহণ করে জেলা ও দায়রা জজ আদালত আগামী ৩০ নভেম্বর এই মামলার ধার্য্য তারিখে সকল আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।

বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, নিম্ন আদালতে এই মামলার ন্যায় বিচার না হয়নি। তবে জেলা জজ আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিএনপি’র সাবেক কেন্দ্রিয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনসহ গৌরনদী বিএনপি’র পদধারী নেতারা এই মামলার আসামি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: আসামিদের খালাসের বিরুদ্ধে আপিল

আপডেট : ১২:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
বরিশালের গৌরনদীতে ২০০৪ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনু বিভাগের ফৌজদারী শাখার অনুমোদন সাপেক্ষে মঙ্গলবার সকালে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই আপিল দাখিল করেন পাবলিক প্রসিকিউটর একেএম জাহাঙ্গীর।

জেলা জজ আদালত আপিল আবেদনটি গ্রহণ করে আগামী ৩০ নভেম্বর ধার্য্য তারিখে আসামসিদের হাজির হওয়ার সমন জারির নির্দেশ দেন।

নিম্ন আদালতের রায়ে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়ায় এবার জেলা জজ আদালতে ন্যায় বিচার পাবার আশা করেন আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা।

আপিলের বিবরণীতে জানা যায়, তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার বরিশাল সফর উপলক্ষ্যে ২০০৪ সালের পহেলা এপ্রিল জেলার গৌরনদীতে একটি মঞ্চ তৈরী করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা ওই মঞ্চে হামলা চালিয়ে নুরুল হক নামে একজনকে কুপিয়ে-পিটিয়ে আহত করে। পরদিন ২ এপ্রিল সকালে আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহ্বায়ক কালিয়া দমন গুহকে মারধর করে তারা।

আপিলের বিবরণীতে বলা হয়, ওইদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনার গাড়িবহর গৌরনদীতে পৌঁছলে বিএনপি নেতাকমীরা তার গাড়িবহরে হামলা চালায়। রাষ্ট্রপক্ষে পরিবর্তন ঘটলে এ ঘটনায় ২০০৯ সালের ২০ জুলাই বিএনপি’র ৪৬ জনকে আসামি করে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হামলায় আহত নুরুল হক।

২০১১ সালে ৩০ এপ্রিল ৪০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই মামলার অভিযোগপত্র দেন গৌরনদী থানার উপ-পরিদর্শক আসাদুল হক। ২০১৩ সালের ১৯ মে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে এবং ২৪ জনকে অব্যাহতি দিয়ে এই মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার আদালত। পরে আদালতে ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত না হাওয়ায় ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. শিহাবুল ইসলাম অভিযুক্ত ১৬ আসামির সকলে বেকসুর খালাস দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য গত ৮ নভেম্বর অনুমোদন দেন আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর। এরপর আজ আপিল দায়ের করা হলো।

সরকারি কৌঁসুলি একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, আপীল আবেদন গ্রহণ করে জেলা ও দায়রা জজ আদালত আগামী ৩০ নভেম্বর এই মামলার ধার্য্য তারিখে সকল আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন।

বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, নিম্ন আদালতে এই মামলার ন্যায় বিচার না হয়নি। তবে জেলা জজ আদালতে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বিএনপি’র সাবেক কেন্দ্রিয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনসহ গৌরনদী বিএনপি’র পদধারী নেতারা এই মামলার আসামি।