ঢাকা ১২:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে একযোগে কাজ করতে হবে : স্পীকার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট : ০২:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১
  • / 106

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রতিটি পরতে পরতে জড়িত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষার মর্যাদা প্রদানের জন্য তিনি সর্বাত্মকভাবে সম্পৃক্ত থাকায় তাকে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয়েছে। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু সর্বাগ্রে ভূমিকা রাখেন।

১৯৭১ এর ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে উজ্জীবিত করে। ২৫ মার্চ গণহত্যা, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

তাই, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন জাতির জন্য গৌরবজ্জ্বল একটি অধ্যায়। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য, শোষণ-বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পীকার এসব কথা বলেন।

স্পীকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার ৪০ভাগ থেকে ২১ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কৃষি ভর্তুকি প্রদান, ১০ টাকায় কৃষকের জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা, উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, গৃহহীন মানুষের ঘর নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জিত হইয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, কর্ণফুলি টানেল নির্মাণ, অর্থনৈতিক সূচকে প্রবৃদ্ধি, রেমিটেন্স, পায়রা বন্দর নির্মাণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের সফলতা সারা বিশ্বে প্রশংসিত। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। কোভিডকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রনোদনা প্যাকেজসহ অন্যান্য পদক্ষেপের কারণে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবন সুরক্ষিত ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান এমপি-র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মো. বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মদ চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ এমপি, মোজাফফর হোসেন এমপি, হোসনে আরা এমপি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণে একযোগে কাজ করতে হবে : স্পীকার

আপডেট : ০২:৩৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রতিটি পরতে পরতে জড়িত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।বাংলা ভাষাকে মাতৃভাষার মর্যাদা প্রদানের জন্য তিনি সর্বাত্মকভাবে সম্পৃক্ত থাকায় তাকে দীর্ঘদিন কারাবরণ করতে হয়েছে। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু সর্বাগ্রে ভূমিকা রাখেন।

১৯৭১ এর ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালি জাতিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে উজ্জীবিত করে। ২৫ মার্চ গণহত্যা, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।

তাই, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন জাতির জন্য গৌরবজ্জ্বল একটি অধ্যায়। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য, শোষণ-বৈষম্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।

জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পীকার এসব কথা বলেন।

স্পীকার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। দারিদ্র্যের হার ৪০ভাগ থেকে ২১ভাগে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কৃষি ভর্তুকি প্রদান, ১০ টাকায় কৃষকের জন্য ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুবিধা, উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ, শতভাগ বিদ্যুতায়ন, গৃহহীন মানুষের ঘর নির্মাণ, নারীর ক্ষমতায়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সফলতা অর্জিত হইয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, কর্ণফুলি টানেল নির্মাণ, অর্থনৈতিক সূচকে প্রবৃদ্ধি, রেমিটেন্স, পায়রা বন্দর নির্মাণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশের সফলতা সারা বিশ্বে প্রশংসিত। আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। কোভিডকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রনোদনা প্যাকেজসহ অন্যান্য পদক্ষেপের কারণে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জীবন সুরক্ষিত ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সম্ভব হয়েছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান এমপি-র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. মো. বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মদ চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ এমপি, মোজাফফর হোসেন এমপি, হোসনে আরা এমপি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লুৎফুল হাসান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।