ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় দক্ষিণ সুদান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট : ০১:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • / 168
কৃষিকাজের জন্য নিজ দেশের বিশাল পতিত জমি বাংলাদেশকে লিজ দিতে চায় আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদান। বাংলাদেশ সফররত দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেক নিজেদের এই চাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাককে।

মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দেখা করে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট খাত চিহ্নিত করতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাবে বাংলাদেশ। এ টিমে কৃষি গবেষক, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ থাকবেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সুদানে ছয় লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি জমি রয়েছে। এর বেশির ভাগ জমি পতিত পড়ে থাকে, চাষাবাদ হয় না। এ বিশাল এলাকাকে কৃষি উৎপাদনের আওতায় এনে অনেক ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সে দেশের সরকারের মালিকানায় খাস জমি লিজ নিয়ে ফসল উৎপাদনের বিষয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অনেকেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সরকারও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ সুদানে কী ফসল উৎপাদন করা যায়, জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, এগুলো তা দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাব। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বেসরকারি খাতের যারা বিনিয়োগ করতে চায়, তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাব। শ্রমিক পাঠানোসহ এসব বিষয়ে সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করবে। দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেক সেদেশে কৃষি উৎপাদন,প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিখাতে আমরা বাংলাদেশের সাফল্য ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। আমাদের বিশাল পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করে নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে চাই।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মেয়ম অ্যালিয়েন, ইথিওপিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো.নজরুল ইসলাম ও সেনা কল্যাণ সংস্থার উপমহাপরিচালক কর্ণেল মো. মাহবুবুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশকে জমি লিজ দিতে চায় দক্ষিণ সুদান

আপডেট : ০১:৪১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
কৃষিকাজের জন্য নিজ দেশের বিশাল পতিত জমি বাংলাদেশকে লিজ দিতে চায় আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদান। বাংলাদেশ সফররত দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেক নিজেদের এই চাওয়ার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাককে।

মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে দেখা করে দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, এ বিষয়ে সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট খাত চিহ্নিত করতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাবে বাংলাদেশ। এ টিমে কৃষি গবেষক, বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ থাকবেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ সুদানে ছয় লাখ বর্গকিলোমিটারের বেশি জমি রয়েছে। এর বেশির ভাগ জমি পতিত পড়ে থাকে, চাষাবাদ হয় না। এ বিশাল এলাকাকে কৃষি উৎপাদনের আওতায় এনে অনেক ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সে দেশের সরকারের মালিকানায় খাস জমি লিজ নিয়ে ফসল উৎপাদনের বিষয়ে অনেকদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। বাংলাদেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অনেকেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সরকারও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ সুদানে কী ফসল উৎপাদন করা যায়, জমি কীভাবে চাষের আওতায় আনা যায়, এগুলো তা দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠাব। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বেসরকারি খাতের যারা বিনিয়োগ করতে চায়, তাদেরকে আমন্ত্রণ জানাব। শ্রমিক পাঠানোসহ এসব বিষয়ে সরকারই উদ্যোগ গ্রহণ করবে। দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়ক উপমন্ত্রী দেং দাউ দেং মালেক সেদেশে কৃষি উৎপাদন,প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিখাতে আমরা বাংলাদেশের সাফল্য ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই। আমাদের বিশাল পতিত জমিতে ফসল উৎপাদন করে নিজেদের প্রয়োজনীয় খাদ্য উৎপাদন ও রপ্তানি করতে চাই।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, দক্ষিণ সুদানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মেয়ম অ্যালিয়েন, ইথিওপিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো.নজরুল ইসলাম ও সেনা কল্যাণ সংস্থার উপমহাপরিচালক কর্ণেল মো. মাহবুবুর রহমান।